বিরিয়ানি প্রেমিক এবং একটি ব্রেকআপের গল্প

35 1 0
                                    

আমি আর রিমি রেস্টুরেন্টের কোনার একটা টেবিলে বসে আছি। রিমির মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে বেশ বড় একটা ঝামেলা হয়েছে। এবং সেটা যে আমাকে নিয়ে হয়েছে সেটা ভালো মতোই বুঝতে পারছি। কিন্তু আমার দোষটা কোথায় সেটাই তো জানি না। আমি মনে করার চেষ্টা করলাম যে আমি কোন ভুল করেছি নাকি যার কারণে রিমি আমার উপর রাগ করতে পারে। নাহ। কিছুই মনে করতে পারছি না। তবুও রিমির রাগ ভাঙ্গানোর জন্য বললাম,

: সরি।

রিমির মুখে কোন সারা নাই। আমি আবার বললাম,

: আমি সত্যিই সরি।

নাহ। এবারও রিমি কিছু বলছে না। আমি এবার জিজ্ঞেস করলাম,

: আচ্ছা, রিমি, একটু খুলে বলবা কি হয়েছে ?

এবার রিমি আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো যে ওই চোখ দিয়েই আমাকে একেবারে গিলে খাবে। তারপর সে রাগী স্বরে বলল,

: আমার কোন কথায় যখন শুনবে না তখন আমার সাথে রিলেশনটা রেখেই বা কি করবে ?

: আচ্ছা আমি কি করলাম সেটা তো বলবা, নাকি ? আর আমি তোমার কোন কথাটা শুনিনা বলো ? আমি তোমার কথা শুনবনা এটা কি হতে পারে বলো ? তুমি তো জানোই যে আমি তোমাকে কতোটা ভালবাসি।

: ভালোবাসো না ছাই। যদি সত্যিই আমাই ভালবাসতে তাহলে তো আমার কথা শুনতেই। তুমি আমাকে ভালোবাসনা। এজন্যই আমার কথা শুনো না। আর এজন্যই তো তুমি আবারো বিরিয়ানি খেয়ে অসুখ বাঁধিয়েছ।

এবার আমি সবটা বুঝতে পারলাম। গতকাল মেসের কাজের বুয়া আসে নাই। তাই সবাই মিলে প্ল্যান করে হাজীর বিরিয়ানি খেতে গিয়েছিলাম। আর বিরিয়ানি আমার সবথেকে প্রিয় জিনিস। কিয়ামত বেঁধে গেলোও আমি বিরিয়ানি ছারব না। কিন্তু গতকাল বিরিয়ানি খেয়েই বাঁধল তুমুল পেটের ব্যাথা। রাতে অবশ্য রিমি যখন দিয়েছিল তখন বলে ছিলাম মেসের খাবার খেয়ে খেয়ে আমার ইদানিং সমস্যা হয়। ব্যাস, শুরু হয়ে গেলো রিমির ঝারি। আমি কেন মেসের খাবার খাই, কেন খাবারের কষ্ট তাকে বলি না এসব আর কি। আমিও ওকে বুঝালাম যে আমি ব্যাচেলর মানুষ। রাজধানীর মতো একটা শহরে থাকতে গেলে একটু আকটু কষ্ট করতেই হয়। শেষমেষ রিমিকে বুঝাতে পারলাম। ও যখন ফোনটা রেখে দিল তখন আমি জানতাম যে রিমি কান্না করবে। কিন্তু আমি যে বিরিয়ানি খেয়েছি সে কথা রিমি জানলো কি করে। তখনই আমার আমার মাথায় আস্ল নিশ্চয় আশিক বলেছে। ও আমার রুমমেট। রিমি আশিকের কাজ থেকেই আমার সব খোঁজখবর নেয়। ব্যাটা শালা, তোরে যদি পাইতাম তাহলে আসতো চাবাই খাইতাম। আমি একটু আকুতির স্বরে বললাম,

নিঃসঙ্গ ছায়ার গল্পগুলিWhere stories live. Discover now