অব্যক্ত

67 2 0
                                    

ভাবিনি কখনো আবার গল্প লেখা শুরু করব। তাও এভাবে। তবে আজকের গল্প লিখতে বসে কোনো চিন্তা নিয়ে উপস্থিত হয়নি। আজকের এই গল্প আমার নিজেকে নিয়েই। নিজের মনে লুকিয়ে থাকা কিছু না পাওয়া নিয়ে। হয়তো নিজের করা ভুলের অনুতাপ কাটিয়ে উঠার জন্যে।

ছোটবেলা থেকেই গল্প পড়তে পছন্দ করতাম। পড়ালেখার পাশাপাশি খাতায় টুকিটাকি গল্প লেখার অভ্যাস ছিল। কখনো সখনো লিখে ফেলতাম কয়েকটি কবিতা। তবে সেই লেখা আজীবনই বন্দি থাকতো আমার কাছে। তা কখনো প্রকাশ পায়নি কারো সামনে। নিজের মনের কথা গুলো যেন নিজের চিন্তা ধারার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার একমাত্র মাধ্যম ছিল এই গল্প। যেন এটা আমার একমাত্র স্বাধীন পৃথিবী। যার নেই কোনো নিয়মনীতি। ছোটবেলা থেকেই অনেক সিনেমা দেখতাম। আমার একজন প্রিয় হলিউড পরিচালক জ্যাক স্নাইডারের একটি উক্তি ছিল এমন, "আমাদের বাস্তবতা যদি কোনো জেলখানা হয়, তবে আমাদের মস্তিষ্ক সেই জেলখানা থেকে মুক্তির একমাত্র চাবি।"

নিজের প্রত্যেক সৃজনশীল কাজকর্মের মাধ্যমে নিজের বাস্তবতাকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারতাম। শৈল্পিক ভাবনা গুলো যেন আমাকে আমার নিজস্ব সত্তাকে চিনতে সাহায্য করত। ছোটবেলা থেকেই ভীষণ একগুঁয়েমি স্বভাবের ছিলাম আমি। কারো সাথেই ঠিকমতো মিশতাম না। ধীরে ধীরে স্কুল জীবনে অনেক বন্ধু বানিয়ে ছিলাম অবশ্য। একটা সময় মনে হলো কিছু একটা আমার মনের মধ্যে উড়ে খেলে বেড়ায়। সেই বয়সে তা কি বুঝতে পারিনি। তবে একজনকে পছন্দ হয়েছিল ভীষণ। সেই বয়স তখনকার সাপেক্ষে সেসবের উপযুক্ত ছিলও না। পরিপক্কতা জীবনের এমন এক অধ্যায় যা আমাদের এটা বুঝতে শিখায় যে তা আদৌও আমরা চাই কিনা।

ছোটবেলায় আমরা কতকিছুই না পছন্দ করি। সেসব পছন্দ কি আর বড় হয়ে টিকে থাকে ? কতজন তো কতকিছুই হতে চায় বড় হয়ে। সবাই কি হতে পারে ? তবে সেই পছন্দ অনেক বছর টিকে ছিল। মাঝে মাঝে ভাবি যদি সাহস করে কিছু একটা করতাম তবে কি হতে পারতো। প্রত্যেক পদক্ষেপ ভবিষ্যতের জন্য বিভিন্ন সম্ভাবনা তৈরি করে দেয়। শখের বশে একবার লিখা শুরু করলাম। তবে আমার আবার কোনো কিছু বেশিদিন ভালো লাগে না। ছোটবেলা থেকেই এরকম। সবসময় ভাবতাম ভবিষ্যতে গিয়ে কি আদৌও কোনো বিষয়ে স্থির থাকতে পারব ? আমার ছোটবেলার এক বন্ধু একবার কৌতুক করে বলেছিল, "দেখিস আবার অস্থিতিশীল মনের ভারে একটার পর একটা বিয়ে করিস না।"

নিঃসঙ্গ ছায়ার গল্পগুলিDonde viven las historias. Descúbrelo ahora