প্রথম পর্ব

15 0 1
                                    

প্রতিশোধ........
লেখক: প্রেম কুমার
বি:দ: এই গল্পের প্রধান চরিত্র মেসেল, রাসেল,মিসেল এক ই ব্যাক্তিকে নির্দেশ করে। এগুলো ঐ ব্যাক্তির good name and nick name.

দিগন্তের শেষ আলো যখন অন্ধকারে মিশে যায় কমলা আকাশের রং ধূসর হয়ে আসে মেসেল এর শরীর এক অজানা অদ্ভুত শিহরন অনুভব করে । দেহের প্রতিটি রোম দৃঢ় হয়ে ওঠে চোখের রঙ পরিবর্তন হয়ে আসে দেহের হাড় মাংস গুলো পরিবর্তন হয়ে শক্ত ইস্পাতের মতো রুক্ষ শুষ্ক শক্ত হয়ে অন্যায় অত্যাচার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।

মেসেল এক অতি সাধারণ ঘরের মাত্র ১৯ বছরের এক যুবক। এক ভাই, এক বোন, বাবা এক দোকানের কর্মচারী মা জুয়ান একজন ফরাসি কৃষকের মেয়ে।ইটালীর এক অখ্যাত গ্রাম তুয়াসে র এক প্রান্তে পুরোনো একতলা বাড়িটিই ওদের একমাত্র সম্পত্তি।

সামান্য যা রোজগার তাতেই খুব হিসাব করে ওদের এই বাজারে চলছে হয়।

মিসেল এই বার হাইস্কুল শেষ করেছে ওর খুব ইচ্ছে পেরিস বা লন্ডন গিয়ে ইউনিভার্সিটি ভর্তি হতে।

অনেক চেষ্টা অনেক কাটখোর পুরিয়া জার্মানের বার্লিন শহরে এক সাধারণ ইউনিভার্সিটি তে সে ভর্তি হয়।

সবকিছু ঠিকঠাক ই চলছিল বাঁধ সাধে তাঁর পিতার মৃত্যুতে। কোনো অসুখ নেই হঠাৎ ই স্ট্রোক করে দোকানের মালিক এর সামনে। হাসপাতালে যাওয়ার আগেই সব শেষ।খবর পেয়ে রাসেল ছুটে যায় তাদের গ্রামে । সবকাজ শেষ করে দোকানের মালিক এর সাথে দেখাও করে হিসাব নিকাশ শেষে ওদের যা প্রাপ্য সমস্ত কিছু বুঝিয়ে দোকানের মালিক যেন পালিয়ে বাঁচে।

দিন শেষে রাত হয় রাতের পরে দিন। রাসেল কি করবে কিভাবে সংসার চলবে কিভাবে ছোট বোনের পড়াশোনা চালাবে কিভাবে নিজের কেরিয়ার.......উউফ্। কিছুই ভেবে পায় না।

মা পিছনের এসে খুব স্নেহে ওর মাথায় হাত দিয়ে সান্ত ভাবে আশ্বাস দিয়ে বললেন চিন্তা করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি ঐ দোকানে কাজ করব।

পরের দিন মা কাজে চলে গেলেন ।ছোট বোন মেলন একা ঘরে সে এই বার হাইস্কুলে ভর্তি হয়েছে। খুব সুন্দর ও শান্ত মেয়ে চুপচাপ থাকে কিন্তু খুব রাগী অভিমানী। ছোটবোন এখন কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের দ্বারে।

  প্রতিশোধ Dove le storie prendono vita. Scoprilo ora