2 য় পর্ব

9 0 0
                                    

মেলনের কান্না দেখে মিঃ ওয়াটসন মুচকি হেসে বললো এখন যা হবার হয়ে গেছে। এসব ভেবে কাজ নেই। যাও

স্নান সেরে খেয়ে নাও বলেই একটা তোয়ালে আমার দিকে ছুঁড়ে দিল। আমার কান্না তখন রাগে ফেটে পরেছে ।ওর তোয়ালে ওর মুখের উপর ছুঁড়ে দিয়ে বললাম আমি মাকে সব বলে দেব। লোকটা উত্তরে হেঃ হেঃ করে বিকট এক শয়তানে এর হাসি দিয়ে আমার কথা উড়িয়ে দিল।

আমি বুঝতে পারছিলাম না আমার এই রকম নেশা নেশা লাগছে কেন। কেন ই বা এই রকম একটা কাজ করলাম। কিভাবে আমি নিজেই ওর কাছে সমর্পণ করলাম।

আমি তীব্র ভাবে এর প্রতিবাদ কেন করলাম না।

প্রচন্ড কৌতুহল নিয়ে ঐ লোক টা কে দেখতে লাগলাম। মিঃ ওয়াটসন তার হাতের মোবাইল আমাকে দেখিয়ে বলল এখানে সব রেকর্ড করে রাখা আছে তুমি যা করেছ নিজের ইচ্ছায় করেছ। এখন মা বা অন্য কাউকে এসব বলে লাভ হবে না। আমি তোমাকে যেন প্রতি রাতে এইভাবে পাই রেডি থাকবে সুধু আমি না আমার সকল মক্কেল কেও তোমাকে খুশি করতে হবে।

মেলন কিছুই বুঝতে পারল না।

পরের দিন রাতের ডিনারের পর আবার সেই নেশা আবার শরীরের যৌন আকাঙ্খা উন্মুক্ত দেহ । আমার যৌনাংগ ওদের পুরুষাঙ্গ ....পরের দিনও তাই এবার দুই জন পুরুষ । এর পরে দিন, চার জন । তাঁকে খুবলে কামড়ে মাংসপিন্ডে পরিনত করেছে। ক্রমশ ইন্টারনেটে মেলনের উলঙ্গ শরীরের চমক, পোর্ণ সাইটে সে জনপ্রিয় পর্ণ স্টার।

ছোয় মাসে তিন বার গর্ভধারণ তিনবার অপারেশন ঔষধ সেবন সাথে নেশার ইনজেকশন ড্রাগ্সের টেবলেট। মা বা মিঃ ওয়াটসন এর পাত্তাই নেই শহরের এক নোঙরা গলিতে একটি চারদেয়ালে সে আজ আবদ্ধ।

মাত্র একটি আইসক্রিম মেয়েটির জীবনকে একেবারে শেষ করে দিল।

মেসেল বাড়ি এসেই তার মা বোনের খোঁজ নিতে সেই সপিংমল গেল কিন্তু কেউ কিছুই বলতে পারল না অবশেষে এক ছুটির দিনে সে মিঃ ওয়াটসন বাসভবনে গেল মা এবং বোনের সাথে দেখা করার জন্য। কিন্তু আশ্চর্য লাগলো কারোর দেখা সে পেল না। পরের দিন সে সোজা সাপটা মিঃ ওয়াটসন এর সাথে দেখা করে জানতে পারল তার মায়ের সঙ্গে মিঃ ওয়াটসন ডিভোর্স হয়ে গেছে তার মা বা বোন কথায় আছে সে জানে না।মেসেল অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোন সন্ধান পেল না।

মাস তিনেক পরে বন্ধুর এক জন্মদিনে র পার্টি তে রাসেল যায়।সে জানতো না যে সেখানে কি তার জন্য অপেক্ষা করছে .......

রাত সাতটা নাগাদ সে সোজা তার বন্ধুর বাসবভনে উপস্থিত হয়। পার্টি বেশ জমে উঠেছে। তার বন্ধু তাকে সাদরে বাড়ির তিন তোলায় চলমান পার্টিতে নিয়ে যায়। পরিপাটি করে সাজানো সোফা টেবিল তার উপর সাজানো বিভিন্ন নামী দামি ব্র্যান্ডের তরল পানীয় মদ খাবারের প্লেট । সামনে সামান্য উঁচু ডায়াস, রঙিন স্পট লাইট বিরাট বড় কয়েকটি সাউন্ড বক্স আ্যমপ্লিফায়ার ডিজে ইত্যাদি । সেখানে আরও তার বন্ধু আছে কিন্তু কোন বান্ধবী নেই। কারণ জানতে চাইলে ওর বন্ধু বলল যে এখানে লেডিস দের পারমিশন নেই কারণ এটা ব্যেচেলার পার্টি।এখানে মেয়েরা আসবে ঠিক তবে তারা আসবে আমাদের আনন্দ সুখ সেক্স যৌনতৃপ্তি দেবার জন্য। সারা রাত আমরা তাদের সঙ্গে আনন্দে সুখে রাত কাটাব। তাই অন্য কোন মেয়েবন্ধু দেরকে ইনভাইট করা হয়নি। মেসেল কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ভাবল-আমি এই রকম পার্টিতে আগে কখনো আসি নি তবে আমার বন্ধুরা এসব নাইট পার্টি খুব পছন্দ করে। আমিও করি বিশেষ করে এখনো কোনো মেয়ের উষ্ণ স্পর্শ অনুভব করিনি তাই ।কারণ খুব কষ্ট করে নিজের কেরিয়ার করতে হয়েছিল । এসব বড়লোক বন্ধু তখন ছিলো না। থাকলেও পাত্তাই দিত না। তবে বন্ধুরা মিলে এইরকম পার্টি নতুন কিছু নয়। অথবা মেয়েদের নিয়ে পিকনিক বা নাইট ক্লাবে উদ্দাম যৌনতা বড়লোক ছেলেদের একটা ফ্যসন এবং বন্ধু মহলে নিজেকে জাহির করার একটি সহজ পথ। রাসেল গরিব তাই তার কাছে কেরিয়ারটাই ছিল প্রকৃত উদ্দেশ্য।তবে এখন সময় পাল্টেছে সে এখন মোটা মাইনে পায় তাই ধীরে ধীরে বড়লোক ছেলেদের বন্ধুত্ত্ব বাড়তে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সে পার্টি তে সহজ হবার চেষ্টা করে। সামান্য উত্তেজনা অনুভব করে আজ রাতের আশণ্য নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ার জন্য। বন্ধু টি ভাল ওর বাবার অনেক ব্যাবসা টাকার অভাবে নেই।

  প্রতিশোধ Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang