লিসবনে আমার প্রাসাদে কলম্বাস নিজেই এলো একদিন।দেখা হতেই প্রভু পিতাপ দি নিও বলে সম্ভ্রম দেখালো।অবাক হলাম দেখে ওই কলম্বাস নাকি স্পেনের রাজাকেও সম্মান দেখায়না।ও জাতে ইটালীয় তাই এতো অহংকার আর আমায় যেভাবে সম্মান দিল!!ওহ আমার নামেও তো ইতালি ভাব তাই হয়তো।কিন্তু যখন বলল যে আমি ওকে নাবিক করেছি তখন বুঝলাম পুরানো পরিচয়।একটু ভয় হল আমার আসল পরিচয় প্রকাশ পাওয়ার।না তা হওয়ার নয়।পেড্রো জানালো যে এই সেই ক্রিস্টোফার আর আমিও টের পেলাম ওর চোখ দেখে।
যাত্রা শুরু হল অচীরেই।আবার সেই সমুদ্রজীবন।দুবছর পর এলাম মশলা দেশ এ।কিন্তু এযে সে দেশ নয় তা তো আমি বাতাসের গন্ধে বুঝেছি।যত কাল ব্যয় হোক নিজ দেশ সব প্রানী চিনতে পারে।আমিও পারতাম তাই কলম্বাসকে নঙ্গর ফেলার আগেই বলেছিলাম যে সে অন্য কোথাও এসেছে।ও মানেনি সেদিন।তাই ওকে ছেড়ে আমার নিজের দুটো জাহাজ নিয়ে আরো উত্তরে পারি দিলাম।এবার নিজেই নাবিক।পরে শুনেছিলাম কলম্বাস দেশে ফিরে গেছে।প্রতিভা ছিল ওর কিন্তু ওর অহংকার পথের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।যাত্রাপথে এক ভয়ংকর ঝড় এসেছিল সেটা এবারের মত নয় তবে বড় ছিল,অথচ তাতেই আমার একটা জাহাজ শিশুর খেলনার মত ভেঙে পড়ল।আর একটা জাহাজ তীরে এসেছিল।সে এক নতুন জায়গা।নতুন জীবন।কত গুলো অসভ্য নীলরঙা মানুষখেকো মানুষের বাস।আমার প্রয়োজনে জাহাজের সঅব কর্মীদের আমার মত করে তুলতে হয়েছিল।সে কাজটা পেড্রো করে আর ওদের জন্যই এই নতুন জায়গায় আমরা একটা স্বাধীন জীবন পেলাম।যথেচ্ছাচার শুরু করেছিল আমার সাথীরা।
তবু শহর গড়েছিলাম আমরা।আমার শহর,আমার রাজত্ব ছিল বেশ ক'বছর।ইউরোপ থেকে অভিযাত্রীর দল এখানে যতই আসতে লাগল ততই আমার প্রভাব বাড়ল।হ্যা আমি তো জমির মালিক।নতুন দেশের অনেকটা নিয়ে আমার রাজত্ব। নতুন সভ্যতায় আমি আর আমার সাথী শাষক।তাই উন্নতি এতো দ্রুত ঘটেছিল।শারীরিক শক্তিকে,সম্মোহনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা একটা দেশ গড়েছিলাম।আর মানুষ সেই দেশ টা স্বাধীন করতে লড়ছে।আমাদের অস্তিত্ব আবার বিপন্ন। এখন আর আমেরিকায় যuেতে পারবনা।স্পেন তাই নিরাপদ।ক'দিনের মধ্যেই স্পেন এসে যাবে।সিন্ত্রায় ফিরব আবার।