পশ্চিম আয়ারল্যান্ডীয়রা খুব কুসংষ্কারাচ্ছন্ন জাতি।এরা যদি কোন পীশাচ বা নেকড়ের আসল পরিচয় জেনে যায় তবে পুজো করে আড়ম্বরে তাদের হত্যা করে।শুধু তাই নয় ডাইনি পরঅঅজাতির মানুষদের এরা সহয়তানের উপাশক মঅঅনে করে আর বহু শতক ধরে পুরিয়ে মারছে এদের।ফলে ওলা জআআতির যে ডাইনিরা থাকতো তারা পরিচয় গোপন রাখতো।আদলে সারা ইউরোপে এই আয়ারল্যান্ড একমাত্র স্থান যেখানে ডাইনি বা পীশাচ,নেকড়েমানব থাকতে ভয় পায়।তাই পরিচয় গোপন রাখলে আয়ারল্যান্ড নিরাপদ স্থান।শত্রুপক্ষ এখানে খুজতে আসবেনা।সাগর পারে ওলাদের ছোট্ট বসতি,চাষাবাদ করে,রাজাকে কর ও দেয় যাতে স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারে।লোগান গ্রামের বাইরে পেড্রোকে অপেক্ষা করতে বঅলে নিজে গরাম প্রধানের সাথে সাক্ষাতে যায়।লিওল এদের প্রধান।লোগান খামুন গোত্রের তাই ওলাদের সামনে সম্মান দেখাতে হবে আর নজরানা দিতে হবে যেটা বন্ধুত্বের প্রতীক।লোগান যাওয়ার সময় বন থেকে একটা হরীণ শিকার করেছিল,সেটাই দিল।লিওলকে সব খুলে বলল।ওলা জাতির চোখে আমি এতোই বদনাম ছিলাম যে আমার বন্ধুকে ওরা কখনোই সাহায্য করবেনা তাও লওগান তার বুদ্ধিমত্তা ও যোগ্যতা দিয়ে লিওলের মন জয় করতে পারে,এবার সে মন্ত্রবলে পেড্রোকে ডেকে পাঠায়।পেড্রো আর লোগান ওদের অতিথি হয়ে বেশ কয়েক দিন থাকে।না দিন নয় বছর।পারস্পরিক দেওয়া -নেওয়া ছিল সম্পর্ক এরর ভিত্তি।আমায় খুঁজে সুস্থ স্বাভাবিক করার মুল্য নেহাত কম নয়।ওলা জাতির প্রধান হয় মহিলা কইইন্তু লিওল পুরুষ তাই নিজের ক্ষমতা বাড়াতে তার লোগানের সাহায্য দরকার।খামুন জাতির সাথে যুগ যুগ ধরে চলে আসা দ্বন্দ্বের অবসান করে লিওল ডাইনি জাতি গুলোর প্রধান হতে চায়।লিওলের উচ্চাকাঙ্ক্ষা লোগানকে কিন্তু সমস্যায় ফেলেনি।লোগান বুদ্ধিমান জানে যে সব ডাইনি জাত লিওলের শাসন মানবে না,লিওলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করবে।নিজেরদের কাজ হাসিলের জন্য সে লিওলকে আশ্বাস দেয়।ওলাদের আর বাকি যতগুলো দল ছিল তারা সকলেই প্রায় ইউরোপে,এদের সকলের কাছ থেকেই লিওলের লোক খালি হাতে ফেরে।শুধু একটি দল আমেরিকায়।লোগানের সাহায্যে লিওল ইউরোপের ডাইনি জাতি দের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়।তাকে প্রধান হিসেবে না মানলেও পারস্পরিক বাদানুবাদ মিটে যায়।আসলে বিজ্ঞানের যুগে এদের সকলেরই অস্তিত্ব দোদুল্যমান। নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে।অনেকে দল ছেরে পালিয়ে যাচ্ছে,যারা আছে তারাও গোপন জীবন কাটাচ্ছে।পেড্রো এবার আমায় খোজার একটা বুদ্ধি বের করল।ওর কথানুযায়ী লোগান ওলাদের জানালো যে আমেরিকায় প্রভু পিতাপ দি নিও এর প্রচুর সম্পিত্তি আছে।সেখানে তারা নিরাপদে থাকতে পারবে শুধু প্রভুর আনুগত্য মানতে হবে।সেই মতো আয়ারল্যান্ড থেকে জাহাজে পেড্রো ওলাদের সকলকে আর লোগানকে নিয়ে পারি দিল।
আর কেটে গেল সব মিলিয়ে একশো বছর।পীশাচের জীবন অনন্ত তাই সময়ের কোন বাধা নেই।কিন্তু মানুষের কাছে সময় সবচেয়ে দামী,আর ১৭৭০খ্রিষ্টাব্দ আমেরিকানদের কাছে তো অমুল্য।ওদের স্বাধীনতার লড়াই শুরু হয়েছে।ইউনিয়ন ইংরেজদের মতো এতো শক্তিশালী নয়।খাদ্য,অর্থ সবের চাহিদা যোগানের তুলনায় কম।যুদ্ধ চলছে,মানুষের যুদ্ধের আবহে গোপনে চলছে আমার খোজ। আমার পুরনো সাথী বন্ধুরা এখন সবাই প্রায় ম্যানরের মালিক।তাদের আমি একটা সময় জীবন দান করেছিলাম।জাহাজের কাজ থেকে মুক্ত হয়ে দক্ষিণ পূর্ব উপকূল জুরে গড়ে উঠেছিল আমার বিশাল রাজত্ব।দাস ব্যবসায় যুক্ত হয়ে আমি আমেরিকা ছেরে ইউরোপ আফ্রিকায় ব্যবসা করতে থাকি দেড়শো বছর আগে আর তখনই ঘটে ওই বিপত্তি।আমার সব সাথী আমার অনুগত,তারা পেড্রোর আহ্বানে সাড়া দেয়।কিন্তু যুদ্ধ শেষ না হলে ওলাদের পাওয় সমস্যা।ওরা নিশ্চ্য গোপন ডেরায় আছে! আমার পুরানো সাথী দিয়াগো সন্দেহ প্রকাশ করল যুদ্ধ নিয়ে যে হয়তো যুদ্ধ ইংরেজ রা জিতে যাবে।তাহলে আমায় খোজা তো দূর ওদের সকলের এদেশে থাকা দায় হয়ে যাবে।তাই আমেরিকান মানুষদের যুদ্ধজয় আগে দরকার।এতো বচর যখন দেরী হয়েছে তখন আর কয়েক বছর দেরীতে ক্ষতি হবেনা।বরং আমেরিকাকে যুদ্ধে জিততে সাহায্য করলে এখানে তাদের ক্ষমতা বাড়বে।সিদ্ধান্ত হল ভোটের মাধ্যমে।দিয়াগোকে প্রায় সবাই সমর্থন করল।ওলা দাইনিবিদরা পীশাচ মন্ত্র বানায় রাজা সলমনের সেনাকে অপ্রতিরোধ্য করার জন্য।আর এই ১৭৭০খ্রিষ্টাব্দে তারা আর তাদের মন্ত্রপুত্ররা একজোট হয়ে লড়বে আমেরিকার হয়ে।আমেরিকার শক্তি যদি পীশাচরা হয় তবে ভবিষ্যতে আমেরিকা বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করবেই।
পেড্রোর মুখ থেকে আজ স্বাধীন আমেরিকায় বসে এসব শুনতে শুনতে নিজের দেশের কথা বড্ড মনে পরে যাচ্ছে।আমার দেশ তো যুগ যুগ ধরে পরাধীন,দেশের তেত্রিশ কোটি দেবতা কি পারেনা তার ভক্তদের স্বাধীন করতে?ঈশ্বর থেকে তো শয়তানই ভাল যে ডাইনিদের শক্তি দিয়েছে, পীশাচ,নেকড়েমানব,ইচ্ছাধারীদের জন্ম দিয়েছে।তারাই তো আমেরিকাবাসির পাশে।আমার দেশের মানুষ গুলোর পাশে কে?