#হরর_গল্প
#ত্রয়ী
#লেখা : নীলা মনি গোস্বামীপর্ব-১
" গাছটা অদ্ভূত।" দাঁতের ফাঁকের ময়লা খোঁচাতে খোঁচাতে মন্তব্য করলো শোয়েন।
ত্রয়ী কিছু বললো না। শুধু মুখ বিকৃত করে তাকিয়ে থাকলো ওর স্বামীর দিকে। লোকটা জঘন্য।কোন ভদ্রতার ধার ধরে না। চার পাঁচদিন পরপর গোসল করে।দুদিন পর পর দাঁত মাজে।বাথরুমে পানি দেয় না ঠিকমতো।মাঝে মাঝেই বাথরুমে গেলে দেখা যায় হলুদ তরল পদার্থ ভেসে বেড়াচ্ছে কমোডের ওপর।খাবারের পর বিকৃত শব্দে ঢেকুর তোলে হলুদ দাঁত বের করে হেসে ফেলে। বমি চলে আসে তখন ত্রয়ীর। ঘেন্না হয় ভীষন।ঘুমোতে গেলেও শান্তি নেই।সারা বিছানা জুড়ে হাত পা ছড়িয়ে ঘুমোয় বিচ্ছিরি লোকটা।লুঙ্গিতে জড়ানো পা দুটো কেমন বিচিত্র ভঙ্গিতে ছড়িয়ে রাখে। ফ্যানের বাতাসে লুঙ্গি উড়ে গিয়ে ওর লোমশ পাছাটা দৃশ্যমান হয়ে যায় মাঝে মাঝে। ত্রয়ী কিছু বলে না। খালি মনে মনে গালি দেয় নিজের কপালকে।
একসময় এই খচ্ছর লোকটাকে ভীষন ভালোবাসতো ত্রয়ী। প্রেম করে বিয়ে হয়েছিলো ওদের। বিয়ের আগে লোকটা এমন ছিলো না। ভীষন পরিপাটি আর গোছানো মানুষ ছিলো। কিন্তু বিয়ের পরে হঠাৎ করেই কেমন যেনো বদলে যায় লোকটা । কদর্য হয়ে যায় ওর স্বভাব চরিত্র। প্রথম প্রথম অনেক রাগ হতো ত্রয়ীর। এখন আর রাগ হয় না। খালি একটু ঘেন্না লাগে।
সেদিন মায়ের কাছে কেঁদে কেঁদে নিজের দুঃখের কথা বলেছিলো ত্রয়ী। মা সব শুনে কিছুক্ষন চুপ করে থাকে। তারপর গম্ভীর মুখে বলে, " টাকার গাছের কাছে গিয়ে তোর দুখের কথা বলে আয় মা। দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে। "চোখ বড় বড় হয়ে গেলো ত্রয়ীর। কৌতুকের স্বরে বললো, " রূপকথার গল্প শোনাচ্ছো আমাকে?? "
-" না । ওটা কোন রূপকথা না গাছটা আলৌকিক। সবার মনের ইচ্ছা পূরন করে. " চিবিয়ে চিবিয়ে জবাব দিলো ত্রয়ীর মা।
চলবে..... !
(😂🔫 ১ম পর্বটা ইট্টু মজা করে লিখলাম।কারন আজকাল আমি অনেক ফাজলামোর মুডে আছি 😂.. ২য় পর্বটায় হরর কিছু দেয়ার চেষ্টা করবো।😂🔫)