পর্ব-৩

297 10 0
                                    

#হরর_গল্প
#ত্রয়ী
লেখা : নীলা মনি গোস্বামী

পর্ব-৩

অনবরত কপাল চাপড়ে যাচ্ছিলো নিজের দুর্ভাগ্যের জন্য। হঠাৎ দেখলো গাছটা আবার নড়েচড়ে উঠছে। লকলকে জিহ্বাটা বের হয়ে আসছে আবার।তৃপ্তির একটা হাসি ফুটে উঠলো ত্রয়ীর চোখেমুখে। গাছটা এখন ওকেও গিলে খাবে।।। 
যাক ভালোই হয়েছে।। যে জীবনে শোয়েন নেই, সে জীবনে বেঁচে থাকতে চায় না ত্রয়ী। পরম নির্ভরতার সাথে ধীরপায়ে চোখ বন্ধ করে এগিয়ে যেতে লাগলো গাছটার দিকে। গায়ের মধ্যে শীতল পিচ্ছিল কিছু একটার উপস্থিতি টের পেলো ত্রয়ী। জিনিসটা ওর সমস্ত শরীরজুড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।..........টের পেলো অসংখ্য পিচ্ছিল জিনিস ওকে জাপটে ধরছে ধীরে ধীরে.......

সাত মাস পর.....

ত্রড়য়ীর সাথে আমার দেখা হয়েছিলো হয়েছিলো গহীন জঙ্গলের ভেতর অদ্ভূত একটি গাছের নিচে। আমি আর আমার টিম তখন গাছটির ওপর রিসার্চ করতে গিয়েছিলাম।মেয়েটি তখন জুবুথুবু হয়ে বসেছিলো গাছটির নিচে।সমস্ত শরীর রক্তাত্ব ছিলো,চোখের নিচে একগাদা কালো ছোপ ছোপ দাগ, শুকনো চিমসানো দেহ আর বেঢপ আকৃতির ফুলে যাওয়া পেট- বিদঘুটে দেখাচ্ছিলো মেয়েটাকে। ঠকঠক করে কাঁপছিলো আর বিড়বিড় করে কি যেনো বলছিলো সে, কিছুই বুঝতে পারিনি আমরা।

পাশেই এক বুড়ো মহিলার কুটির ছিলো। মেয়েটিকে মাঝে মাঝে এসে দেখে যেতো সে। তার কাছে শুনেছিলাম - ইচ্ছে পূরন করা এই গাছটির নাকি বিশেষ এক দিনে কি যেনো হয়ে যায়। সেদিন সামনে যা পায়,তাই গিলে খায় এই গাছ।এমন দিনে গাছটির ধারে কাছে কেউ যায় না।তুর্ভাগ্যক্রমে সেদিন মেয়েটা তার স্বামীকে নিয়ে গিয়েছিলো মনের ইচ্ছে পূরন করতে।গাছটি তার স্বামীকে গিলে ফেলে।কোন এক বিচিত্র কারনে মেয়েটাকে কিছু করেনি গাছটা । শুধু জিভ বের করে চেটেপুটে দিয়েছিলো।অসংখ্য গাছের শুড় কিলবিল করতে করতে ঢুকে গিয়েছিলো মেয়েটার শরীরের ভেতর। ব্যাথায় আতঙ্কে পুরো এলাকা কাঁপিয়ে চিৎকার করেছিলো অসহায় মেয়েটা। বৃদ্ধা মহিলা দূর থেকে সব দেখেছিলো। কাছে যাওয়ার সাহস করেনি । 

মাঝে মাঝে এসে খাবার দিয়ে যেতো মেয়েটিকে। মন চাইলে মেয়েটা খুটে খুটে খাবার খেতো।নাহলে ছুঁড়ে ফেলে দিতো ।  এভাবেই চলছিলো দিন।

তারপর আমরা এলাম এখানে।রিসার্চ শেষে মেয়েটাকেও সঙ্গে নিয়ে নিলাম।

চলবে.......।। 😖

ত্রয়ী Where stories live. Discover now