(Way to Mysterious hidden cave)🎬

133 2 0
                                    

★সর্প পর্বত★→লেখক- MD Mazharul Islam (পথ)।→অধ্যায়-২→দৃশ্য-৪→দুই দফা বিরতি নিয়ে আনুমানিক ৭ ঘন্টা দূর্গম পাহাড়ি পাথুরে এবড়োখেবড়ো ঢাল বেয়ে, ২,০০০ হাজার ফুট ওপরে, গন্তব্যের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছি আমরা, বড়জোর আর মিনিট বিশেক লাগতে পারে।এখন চারিদিকে থে...

Oops! Questa immagine non segue le nostre linee guida sui contenuti. Per continuare la pubblicazione, provare a rimuoverlo o caricare un altro.

★সর্প পর্বত★

লেখক- MD Mazharul Islam (পথ)।

অধ্যায়-২

দৃশ্য-৪

দুই দফা বিরতি নিয়ে আনুমানিক ৭ ঘন্টা দূর্গম পাহাড়ি পাথুরে এবড়োখেবড়ো ঢাল বেয়ে,
২,০০০ হাজার ফুট ওপরে, গন্তব্যের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছি আমরা, বড়জোর আর মিনিট বিশেক লাগতে পারে।
এখন চারিদিকে থেকে থেকে ঘন জমাটবদ্ধ তুষার বরফ দেখা যাচ্ছে, গাছপালা কমেছে এই জায়গাটায়, ও প্রায় সমতল, জায়গাটা ছোট বড় পাথুরে টিলা সহ একটা অর্ধেক ফুটবলমাঠের মত।
হঠাৎ আবহাওয়া কেমন যেনো বৈরি হতে লাগল,
আকাশে সাদা মেঘ গুলো কালো হয়ে এলো।
থেকে থেকে ওখান থেকে বিদ্যুৎ চমকাতে লাগলো।

আমার পালানোর কোনো পথ নেই, কয়েক জোড়া SAR-21 এসাল্ট রাইফেল আমার পায়ের দিকে তাক করা।
একটু এদিকওদিক হলেই অটোমেটিক রাইফেল গুলোর 5.54x45mm এর গুলিতে আমার পা ঝাঁজরা হয়ে যাবে।
ভেটারিয়ান হাল্কা ফোল্ডিং স্ট্রেচার ঝুলছে একজনের কাঁধে।
সুস্থ অথবা আহত, আমাকে এরা গন্তব্যে নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
সামনে পথ দেখিয়ে ৮ জনের টিম-A এর সাথে আমি ও মুসা খান আগে আগে চলছি।
বাকি ৮-১০ জনের টিম-B বহনযোগ্য ভারি কিছু মাইনিং ইকুইপমেন্ট (খনন সামগ্রী) সামগ্রি সহ পেছনে আসছে।
হঠাৎ মনে হলো পেছনে হাল্কা নারী কন্ঠ পেলাম, নাতাসার কন্ঠ মনে হলো, নাহ মনের ভুল হয়ত।

মাস দশেক আগে সাইবেরিয়ার,
NORTHERN EURASIAN ARCHAEOLOGY university তে পি এইচ ডি শেষ করে দেশে ফেরার আগে উদ্দেশ্যহীন ভাবে রাশিয়ার বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জায়গায় ঘুরছিলাম।
কিন্তু কিছু লোক আমাকে সব জায়গায় ফলো করছিল, আমি টের পাচ্ছিলাম ব্যাপারটা।

তারপর একদিন নাতাসার সাথে পরিচয় হয় আল্টাই পেলেস কেসিনোতে।
বয়স ২৩-২৪,
হাই সোসাইটির মেয়ে ও কাঁধ পর্যন্ত লম্বা বলন্ড (সাদা) চুল,
আকর্ষণীয় চেহারা ও ফিগার,
চঞ্চলা মন, হাসিখুশি একটি মেয়ে,
যেকোনো পুরুষের হৃদ যন্ত্র দ্রুত হবার কারন হতে সময় নিবে না।
প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যায় ওকে, অনেক ভিন্নদেশীয় মেয়ের সাথে মিশেছি কিন্তুমত ওর দৈহিক প্রশান্তি কোনো মেয়ে দিতে পারেনি।
আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব থেকে প্রেম ভালোবাসা হয়ে যায়, কথা বিয়ে পর্যন্ত চলে আসে।
ঠিক তখনই দাদু সংবাদ পাঠায় দেশে আসবার জন্য।
পড়াশোনা শেষ এখন বাইরে ঘুরাঘুরি না করে যেনো দেশে চলে আসি।
বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে তিনি কথা বলে রেখেছেন।
আমার জন্মের আগেই বাবা মারা যান আর মা মারা যান জন্ম দিয়েই।
তারপর দাদুই আমাকে সামরিক ভাবে বিভিন্ন ট্রেনিং দিয়ে বড় করেন বা প্রস্তুত করেন।
অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক তিনি এত সম্পদের মালিক কিভাবে হয়েছে এটা একটা রহস্য।
প্রত্যেক বছর তার পক্ষ হতে বড় একটা অনুদান দেশের সরকারি কোষাগারে যায়, তাই দেশের সরকারও তার ব্যাপারে নাক গলায় না।
তার শেষ ইচ্ছা আমি যেনো দেশের বড় প্রত্নতত্ত্ববিদ হয়ে দেশ জাতির কল্যাণকর কাজে অবদান রাখতে পারি।
আর এই সুযোগ নাতাসা কে দাদুর সামনে আনার, তাই নাতাসাকে ব্যাপারটা জানালে ও রাজি হয়ে যায় আমার সাথে দেশে আসতে।

দেশে ফেরার পরে পথ রয় দাদু কেনো যেনো নাতাসা কে পছন্দ করেননা, আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে একটি পাণ্ডুলিপি দিয়ে বলেন প্রথম প্রজেক্ট যদি সফল হই বা কিছু পাই তার ৬০% যেনো দেশ পায়,
এবং তা যত অল্প পরিমাণেই হোকনা কেনো,
তবে বিপুল পরিমাণ ধনরাশির আশংকা করছেন তিনি।
পাণ্ডুলিপিটি হাতে নিয়ে দেখলাম ওপরে পাহাড়ি সিংহের চর্বি ও হাড়ের পোড়া ছাইয়ের সংমিশ্রণে তৈরি আদিম ও বিশেষ কালিতে আদি হিন্দু বেদিক ভাষায়, লেখা
(Age's of Serpents Goddess)
★সর্পিণি দেবীর স্বর্ণ যুগ★ কিছুটা এইরকম।
তারপর তিনি আরো বলেন পাণ্ডুলিপিটি তার বাবা পথিক রয়ের।
আর তিনি অন্যসব প্রত্নতত্ত্ব গবেষণায় ব্যস্ত থাকার দরুন এটায় সময় দিতে পারেননি তাই এই গুরুদায়িত্ব আমাকে দেয়া হলো।
আর আমি যেনো সতর্ক থাকি, মিশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে যেনো সহজে বিশ্বাস না করি,
এমন কি তাকেও না।

শুরু হয়ে যায় আমার গবেষণা, সরকারি ভাবে কোনো উৎসাহ না পাওয়ায় ব্যাক্তিগত ভাবে কাজ শুরু করি আমি।
তারপর একদিন হোটেল রেডিসনে আমার আর নাতাসার এংগেজমেন্ট পার্টিতে এই মূসা খানের সাথে পরিচয় হয় আমার।
সেও নাকি ব্যক্তিগত ভাবে প্রত্নতত্ত্ববিদ।
প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে কথায় কথায় ভালো বন্ধু হয়ে যাই আমরা, একবার তার বাংলো বাড়িতে দাওয়াত করে বেশ কিছু মহা মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও দেখান।
সেই দিনই বিশ্বাস করে আমি আমার সর্প যুগ গবেষণার কথা তাকে বলি, সেও আগ্রহী হয়ে আমাকে এই বিষয়ে সাহায্যের কথা বলে আর আমি ভালো মনে করে রাজি হয়ে যাই, এবং নাতাসাও সায় দেয় এব্যাপারে।
তারপর আমরা প্রথম প্রজেক্ট মায়া স্টোন ও শতবৎসর পুরনো শাপের চামড়ার তৈরি একটি ম্যাপ উদ্ধার করি বান্দরবনের নির্জন দূর্গম অঞ্চলের এক পরিত্যাক্ত আদি মন্দির হতে।
পাণ্ডুলিপি মতে দুইশত বৎসর আগে এখানে পথিক রয়ের বিশেষ আনাগোনার সুত্র পেয়েছিলাম।
তারপরে পাণ্ডুলিপি ও ম্যাপের সুত্র অনুসরণ করে পরে প্রজেক্ট বেরিয়ে আসে,
★নাঙ্গা পর্বত★, হিমালয় পর্বত মালা,
পৃথিবীর নবম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮,১২৫ মিটার উপরে।
এটি হিমালয়ের পশ্চিমা অ্যাঙ্কর, যার পাশ দিয়ে সিন্ধু নদী বয়ে গেছে যা পাকিস্তানের ভূপৃষ্ঠে অবস্থিত।
অবস্থান: গিলগিট-বালতিস্তান, পাকিস্তান। নাঙ্গা পর্বত প্রায় ২৭ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থিত ...
মূল পরিসীমা: হিমালয়
সবচেয়ে সহজ রুট: Diamer জেলা (পশ্চিম মুখ)

আমার দাদার বাবা পথিক রয়ের ভাষ্যমতে সেই কিংবদন্তীর প্রাচুর্যের সর্প প্রসাদটি লাখো বছরের কালের বিবর্তনে এই পর্বতেরই নিচে কোথাও দেবে আছে।

সকল প্রস্তুতি সেরে আমি, নাতাসা ও মূসা খান তার প্রাইভেট জেটপ্লেনে করে পাকিস্তান চলে এলাম,
ইমিগ্রেশনের সকল ঝক্কিঝামেলা মূসা খানই দেখল।
আমি বুঝতে পারলাম সে অনেক বড় মাপের লোক, কিন্তু তখনো টের পাইনি তার আসল পরিচয়।

পরেরদিন করাচীর পার্ল কন্টিনেন্টাল হোটেলের রয়েল সুইটের বারান্দায় বসে ইমেইল চেক করছি আর ভাবছি।
সাফল্যের প্রায় কাছাকাছি আমরা আর কয়েকদিনের ব্যবধান, তারপর প্রফেসর প্রণয় রয়ের নাম সারা বিশ্বময় আলোকিত হয়ে উঠবে।
ঠিক তখনি দাদুর ইমেইলে চোখ পড়ল।
Don't trust M & N!!
কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে দৌড়ে গেলাম রুমে দেখলাম নাতাসা বিছানায় নেই,
বুকের ভেতর টায় যেনো কোনো হিংস্র সিংহ তার ধারালো থাবা বসালো।
বেডের পাশে টেলিফোনের উদ্দেশ্যে ছুট লাগালাম।
টেলিফোন ছুতে যাবো ঠিক তখনি পিছন হতে কে যেনো জাপটে ধরল, আমিও সহজাত প্রবৃত্তি বশে আমার মাথাটা পেছনে সাজোরে বারি দিলাম, আততায়ী আমাকে ছেড়ে দিয়ে তার ভাঙা রক্ত মাখা নাক চেপে ধরল, পাশে টেবিলে ফল কাটার ছুড়ি তুলে নিয়েই ঝাপিয়ে পরলাম আততায়ী লোকটির ওপর, স্রেফ গলা কেটে ফেললাম লোকটার, তারপর রক্ত মাখা ছুড়ি নিয়ে উঠে দাড়ালাম।
উঠতেই দেখি আরেক জন আততায়ী আমার কাছে দ্রুত বেগে এগিয়ে এলো, ও কাছাকাছি আসতেই এক ঝটকায় ডান পাশে সরে গিয়ে বা হাতে ৭ ইঞ্চি ছুড়িটা লোকটার পিঠের বা পাশে পুরোটা ঢুকিয়ে দিলাম, ওর হৃদ পিন্ডে আমার ছুরিটার প্রবেশ টের পেলাম।
এই হাতাহাতির ছুরির লড়াই পথ রয় দাদু আমাকে নিজে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
এভাবে এদের মত ৬-৭ জনকে একা সামলানো কোন ব্যাপার না আমার জন্য।

★সর্প পর্বত★Dove le storie prendono vita. Scoprilo ora