এবারই প্রথমবারের মতো গ্রামের বাইরে পা রেখেছি। ট্রেনে আসতে আসতে রাত হয়ে গেলো। জ্যাম ঠেলে যখন ওর বাসায় আসলাম, তখন রাত ১১টা বাজে। দুজনে এত টায়ার্ড ছিলাম যে খাবার খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ি।
সকালে ও অফিসে গেলে আমি পুরো বাসাটা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম, কি কি আছে আর লিস্ট করলাম কি কি লাগবে। সব অগোছালো জিনিসগুলো গুছিয়ে থাকার ব্যবস্থা করলাম। আমার সংসার, করতে তো হবেই..☺
ও অফিস থেকে বেশ তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরে এলো, আমি একা আছি বলে। এসে তো নিজের ঘর নিজেই চিনতে পারছিলো না। আমাকে গাল টেনে আদর করে বললো,
- বাহ, আমার বৌ দেখছি অনেক গুণবতী।
- হুহ, এগুলো সব মেয়েরাই পারে।
ও আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বললো,
- আমার বউ এর মত আর কেউ পারেনা।
আমিঃ আচ্ছা, তা আর কার কারটা দেখেছো, শুনি?
- একজনের টা দেখেই দেখার সাধ মিটে গেছে।
- তাইনা?
বলেই আমি ওকে ছাড়িয়ে দিয়ে ফ্রেশ হয়ে খেতে আসতে বললাম।
রাতে বিছানা করার সময় ও ছাদে যাওয়ার প্রস্তাব দিলো। আমিও রাজী হয়ে গেলাম। সেদিন পূর্ণিমা না হলেও একটু একটু চাঁদের আলো ছিলো।
আমিঃ বাহ, ছাদটা তো অনেক সুন্দর। তুমি বাসায় না থাকলে এখানে এসে সময় কাটানো যাবে।
সৌরভঃ একদম না। আমি চাইনা আমার বৌ এর দিকে আশেপাশের কেউ নজর দিক।😜
আমি মুচকি হেসে ছাদের কিনারে গিয়ে দাঁড়ালাম। হঠাৎ বুঝলাম সৌরভ আমার পিছনে এসে দাঁড়িয়েছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ও আমার ঘাড়ে কিস করলো। আমি কেঁপে উঠলাম। ওর দিকে ফিরে কিছু বলতে যাব, তখনই ও আমার ঠোঁট চেপে ধরে কিছু বলতে মানা করলো। তারপর ও আমাকে কোলে করে রুমে নিয়ে আসে। অতঃপর, আমরা দুজন দুজনাতে মিশে গেলাম.. ☺☺
ভালোই কেটে যাচ্ছিলো দিনগুলো। আস্তে আস্তে সৌরভের পছন্দ অপছন্দ সবই জানতে পারলাম। চেষ্টা করতাম সবসময় ওকে হ্যাপি রাখার।
সপ্তাহখানেক হলো ঢাকায় এসেছি। এরমধ্যে সৌরভ অনেকবার আমার কাছে এসেছে, আমাকে আদর করেছে, আমি বাধা দেইনি।
ওর ছুটির দিনগুলো আমরা পুরো ঢাকা শহর রিক্সা করে ঘুরে বেড়িয়েছি।
সামনের মাসে ও শাশুড়ি আম্মাকে ঢাকা নিয়ে আসবে। ভালোই লাগছে, গল্প করার একজন মানুষ পাব। দেখতে দেখতে এই মাসটাও কেটে গেলো।
