অস্তিত্বহীন
(তামজিদ হাসান)
সূর্য পশ্চিম দিগন্তে অস্ত গিয়েছে। তবুও আমি বাসার ছাদেই বসে আছি। এলাকায় নতুন। সপ্তাহখানেক হয়েছে এখানে এসেছি। আশেপাশের রাস্তাঘাট চিনি না। আর পরিচিত কোন বন্ধুও নেই। তাই বিকেল হলেই ছাদে চলে আসি। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ছাদের পাশের ইউকেলিপটাস গাছটা দোল খাচ্ছে। কেন জানি না মনে এক অদ্ভূত ভালোলাগা খেলা করছে। হঠাৎ পেছনে থেকে মৃদু শব্দ শুনতে পেলাম। শব্দটা খুব বেশি শুনিনি। যা এতোটাই অপ্রতুল যে এক আঙ্গুল দিয়েই গুণতে পারব। কিন্তু সাহিত্যে তার সম্বন্ধে বহুবার পড়েছি। যাক আর রহস্য করব না। শব্দটা ছিল একগুচ্ছ কাঁচের চুড়ির। পেছনে তাকালাম। একটা মেয়ে দাড়িয়ে। লাল শাড়ি পড়া। আর দুই হাতে কাঁচের চুড়ি। তবে পায়ে নূপুর নেই। এর মধ্যেই চারদিক অন্ধকার হয়ে এসেছে। তবুও পায়ে যে নূপুর নেই সেটা আমার চোখ এড়ায় নি। আচ্ছা আমার চোখে কি অটো নাইট ভিশন ক্ষমতা চলে এলো?(হাহা)। পায়ে নূপুর নেই অন্য কারো কাছে হয়তো বেমানান কিন্তু আমার কাছে মানান সই। প্রেয়সীকে নূপুরের ঝুনঝুন শব্দের মাধ্যমে খুঁজে নেয়ার মধ্যে আমি কখনো স্বার্থকতা খুজে পাই না। শব্দহীন পদচারণায় যে তার প্রিয়তমর উপস্থিতি বুঝতে পারে তাহলে বুঝতে হবে তার ভালোবাসা যান্ত্রিক নয়। তবে একটা জিনিস তার সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিলেও আমার মন তার পক্ষ নিতে পারছে না। সেটা হলো তার খোলা কেশ। হৃদয় বলে দ্যাখছো খোলা চুলে বেশ লাগছে। আবার মস্তিষ্ক বিদ্রোহ করে বলে, মেয়েটার কানে ধরে যদি বলতে পারতাম, "এই মেয়ে চুল খুলা ক্যান??"
YOU ARE READING
নীলাক্ষী [Completed]
Romanceলেখকের সাথে নীলাক্ষীর পরিচয়টা কাকতালীয়। তবে শেষটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত... #নীলাক্ষী আমার লেখা তৃতীয় গল্প:)