পর্ব - ২

1.4K 49 5
                                    

মায়ের রাগ ভাঙানোর জন্য অনেক গুলো চকোলেট কিনে এনেছেন আব্বু।মা খুব অভিমানী কিন্তু আব্বুর অভিমান ভাঙানোর দৃশ্যটা এত আকর্ষণীয় যে রাগ করে আর থাকাই যায় না।

গুটিগুটি পায়ে হেটে আব্বু রুমে ঢুকলেন। মা খুব মনোযোগ দিয়ে কি যেন করছেন।
আব্বু বললেন, তিন্নি একটু শুনবে?
- শুনছি।বলো..
- আমার চুল গুলো একটু আচড়ে দেবে?

এ কথায় মা হকচকিয়ে মুখ তুলে তাকান।তারপর রেগে বললেন,
- পারবো না।
- আরে তিন্নি! তোমাকে তো আজ বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে।মেকাপ করেছ নিশ্চয় ই?
- উহু,আমি মেকাপ দেইনা।
- তাহলে এত মিষ্টি দেখাচ্ছে যে!

সাফায়েত উল্লাহ সাহেবের এই বাক্য এ জীবনে প্রায় ৯৯৯ বার শুনেছেন তিনি।তবুও একথা টা শুনলে ওনার মুখ লজ্জায় লাল হয়ে ওঠে।সকল রাগ এক নিমেষে বরফের মত গলে বাষ্পের মত উরে হাওয়ায় ভাসতে ভাসতে শূন্যে মিলিয়ে যায়।

মা লাজুক স্বরে বলেন, কি যে বলছ! তুমিও না।ছেলেমেয়েরা শুনলে কি ভাববে?
- ভাব্বে আমাদের আব্বুটা আম্মুকে কত্ত ভালোবাসে!
- যাও.. ভারি দুষ্টু হয়েছ!

বাবা এ কথা শুনে মিষ্টি করে হাসেন।মা তখন উঠে এসে বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন,কি অবস্থা হয়েছে চুলের!
- তোমার হাত আছেনা? চিরুনি করার জন্য?
- আমি মরে গেলে কে চুল ঠিক করে দেবে?
- আরেক টা বিয়ে করবো।

আম্মু রেগে কটমট করে তাকালেন আব্বুর দিকে।তারপর চুল গুলো টেনে একদম পাগল বানিয়ে দিলেন আব্বুকে।বাবা তখন পকেট থেকে এক গাদা চকোলেট বের করে দিয়ে সরি বলেন। ব্যস! সব রাগের সমাপ্তি এখানেই।

সাফায়েত উল্লাহ সাহেবের একমাত্র মেয়ে তানহা তানিন।খুব ভালো আর্টিস্ট। এর মধ্যেই অনেক সুনাম কুড়িয়েছে।সিনেমাওয়ালা রা তানিন ম্যাডাম বলতেই ফিদা!
মেয়েটা সবসময় কি যেন ভাবে।দেখলেই মনে হয় জাতির সকল চিন্তা এই মেয়ের মাথায় ভর করে আছে।কিন্তু দেখতে বেশ সুশ্রী!
তানিন অনেক ক্ষণ ধরে কিছু একটা আঁকিবুঁকি করছে।এমন সময় বড় ভাইয়া মৈত্রী তানিনের নাম ধরে ডাকতে ডাকতে এলো।
তানিন ভাইয়ার হাত থেকে ব্যাগ টা নিয়ে বলল,আব্বু আম্মুর ঝগড়া মিটেছে?
- হ্যা।
- তোরা সবাই খেয়েছিস?
- হ্যা।
- মাত্রা বাসাতেই আছে?
- হ্যা।
- হ্যা ছাড়া আর কিছু জানলে বল?
- তুমি তো শুধু হ্যা টাই জানতে চেয়েছ।
- হ্যা।এবার খাবার রেডি কর।আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।

অদ্ভুত মুগ্ধতা (সম্পূর্ণ)Where stories live. Discover now