সবাই চুপচাপ খাবার খাচ্ছে।মিশু অবাক হয়ে চেয়ে আছে মর্ম'র দিকে।একটা সময় বুঝতে পারলো সবাই ওর দিকেই চেয়ে আছে।তখন লজ্জা পেয়ে টুক টুক করে খেতে আরম্ভ করলো।
খাওয়া শেষ হতেই সাফায়েত উল্লাহ সাহেব সকলকে বিয়ের কাজের দায়িত্ব ভাগ করে দিলেন। মৈত্রীর উপর দায়িত্ব পড়েছে বিয়ের কার্ড সবার বাসায় পৌছে দেওয়া, ডেকোরেশনের কাজগুলো দেখাশুনা করা।মর্ম'র কাজ হচ্ছে বর কনের পোশাক থেকে শুরু করে আপ্যায়ন পর্যন্ত সবরকম কেনাকাটা,ওয়েডিং প্লানারকে সাহায্য করা,রান্নাবান্না পর্যবেক্ষণ করা।তানিন সকলের সাজসজ্জা আর মেকাপের ডিরেকশন দেবে।ওর কাজটাই সবচেয়ে মজার।গায়ের হলুদের আগের দিন থেকে বৌভাত পর্যন্ত বাসার সকলে কে কোন পোশাক পড়বে,কেমন গেট আপ নেবে,বর কনের ড্রেস আপ,কেনাকাটা,এসকল কাজ।তবে নিজ দায়িয়্বের বাইরেও সবাইকে সব ধরণের কাজে সহযোগিতা করতে হবে।কাজের মেয়ে হিমুর কাজ হচ্ছে সবার নির্দেশ মেনে কাজ করা আর আত্মীয়স্বজন দের কারো যাতে কোনো অসুবিধা না হয়,সেদিকে খেয়াল রাখা।
সবাই মিলে আলোচনা শেষ হলে যে যার কর্মস্থলে যাবার জন্য প্রস্তুত হলো।মিশু লিস্ট হাতে নিয়ে সাফায়েত উল্লাহ সাহেবকে দিয়ে বললেন, এইসব জিনিস কিনতে হবে।আজকেই ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।
সাফায়েত উল্লাহ সাহেব লিস্ট হাতে নিয়ে বললেন, আমার ম্যানেজার এসে দিয়ে যাবে।আজ সবাই সবার কর্মস্থলে যাচ্ছি।বাসায় শুধুমাত্র তুমি আর হিমু থাকবে।টেক কেয়ার ওকে?
- জি আংকেল।আপনি ও নিজের খেয়াল রাখবেন।
সাফায়েত উল্লাহ সাহেব হেসে বেড়িয়ে পড়লেন। ওনার সাথে ওনার স্ত্রী ও বেড়িয়ে গেলেন।মাত্রা খুজিন্তাকে নিয়ে বেড়াতে যাবার জন্য অনেক আগেই বেড়িয়ে পড়েছে।মর্ম ও তানিন একসাথে এফডিসির দিকে রওনা দিয়েছে।এখন বাকি শুধু মৈত্রী।ও এখনো বেরোচ্ছে না কেন?মিশু কৌতুহলী হয়ে মৈত্রীর ঘরের দরজায় এসে উকি দিলো। দেখল মৈত্রী খুব মনোযোগ দিয়ে কি একটা কাজ করছে।ওকে বিরক্ত করা ঠিক হবেনা।এটা ভেবে মিশু চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই মৈত্রী নরম গলায় ডাকল,মিশু..
মিশু থমকে দাঁড়িয়ে বলল,কাজ করছিলেন বলে ডিস্টার্ব করিনি।
- আসো,ভিতরে আসো।
মিশু মৈত্রীর ঘরে এসে বসতে বসতে বলল,সবাই চলে গেছে।আপনি ই শুধু বাকি।
- আজ যদি আমি সারাদিন বাসাতেই থাকি?
- বাসায় থেকে কি করবেন?
- তোমার সাথে সারাদিন গল্প করবো।
- একদিন চেম্বারে বসলেই আপনার অনেক টাকা আয় হয়।আমার জন্য অযথা কেন বাসায় বসে থাকবেন?
CZYTASZ
অদ্ভুত মুগ্ধতা (সম্পূর্ণ)
Romansমৈত্রী অবাক হয়ে গেল কথাটা শুনে।দারুণ একটা কথা বলেছে মিশু।দুনিয়ায় সবাই সুস্থ, সুন্দর হয়ে গেলে এত বিচিত্রতা তো থাকবে না।সবাইকেই একরকম লাগবে।কিছু অস্বাভাবিক মানুষ থাকলেও কোনো ক্ষতি তো নেই।যেমন, মিশু একটু পাগল পাগল স্বভাবের।ওর এই পাগলামি গুলোর জন্যই ওকে...