দেখতে দেখতে রমজান মাস প্রায় শেষ। কয়েকদিন পর ঈদ। সাজিদ ভেবেছে আম্মুকে একটা শাড়ি কিনে দিবে। ও অবন্তীকে ফোন দেয়---
---হ্যালো, অবন্তী কেমন আছো??
---হুম ভালো আছি। তুমি??
---হুম আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আচ্ছা তুমি আমার সাথে একটু মার্কেটে যেতে পারবা? আম্মুর জন্য একটা শাড়ি কিনবো ভেবেছি তুমি থাকলে ভালো হতো।
---আচ্ছা ঠিক আছে।
সাজিদ অবন্তীর কেনাকাটা শেষ। সাজিদের হঠাৎ মনে পড়ে একটা জিনিস কিনতে ভুলে গেছে।
---অবন্তী চলো তো একটা ছোট্ট মেয়ের জন্য কাপড় কিনবো।
---কার জন্য কিনবে??
---আমার বোন।
অবন্তীর জানা মতে সাজিদের কোন বোন নেই। অবন্তীর জানার অনেক ইচ্ছা সত্ত্বেও সাজিদকে কোন প্রশ্ন করে না।
অবন্তী সাজিদ ওভার ব্রীজের উপরে চলে এসেছে। বরাবরের মতো বৃদ্ধা আর ছোট্ট মেয়েটা সেখানে বসে আছে। সাজিদ কাপড়ের প্যাকেটটা বৃদ্ধার দিকে বাড়িয়ে দেয়। অবন্তী এবার ব্যাপারটা বুঝতে পারে।
অবন্তী প্যাকেট থেকে কাপড়টা বের করে পড়িয়ে দেয়। ছোট্ট মেয়েটাকে বেশ মানিয়েছে। অবন্তী ওকে কোলে নেয়। অবন্তীর বারবার ইচ্ছে করছে ছোট্ট মেয়েটার হাসির মধ্যে হারিয়ে যেতে। ছোট ছোট বিষয়ে এতোটা আনন্দ পাওয়া অবন্তীর কাছে এই প্রথম।
YOU ARE READING
অপেক্ষার প্রহর [Completed]
Short StoryBroken family র মেয়ে অবন্তী। তার Life এর কিছু বিষন্ন স্মৃতি। আর ছোট্ট একটা প্রেমের কাহিনী নিয়ে "অপেক্ষার প্রহর" গল্পটা। তবে সমাপ্তিটা একটু ভিন্ন। এখানে আপনি হ্যাপি এন্ডিং আর স্যাড এন্ডিং দুটোর মজাই পাবেন। শেষটা জানার জন্য আপনাকে পুরো গল্পটা পড়তে হবে...