এভাবেই কেটে গিয়েছে তিনটে বছর। অবন্তী সাজিদের Graduation শেষ হয়েছে প্রায় ছয় মাস। আজ ওদের বিয়ে। বিয়েটা ঠিক লাভ ম্যারেজ না অনেকটা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের মতোই।এক উড়ো খবর পেলাম অবন্তীর বিয়ে। ওকে দেখি না প্রায় সাত বছর। অনেক দিনের অদেখা বলেই হয়তো যতোটা খারাপ লাগবে ভেবেছিলাম ঠিক ততোটা খারাপ লাগছে না।
আচ্ছা আমার কথা কি ওর মনে আছে। হয়তো নেই। তবুও একগুচ্ছ গোলাপ আর প্রিয় রঙা শার্টটা পড়ে ওদের বাড়ির লাল নীল তারাবাতি জ্বলা বাড়ির গেইটটার সামনে এসে দাড়ালাম।
জানি অবন্তী আজকে অনেক সুন্দর করে সেজেছে। লাল শাড়ি পড়েছে। দুহাত রাঙিয়েছে মেহেদীতে। কপালে হয়তো দিয়েছে রক্তিম টিপ। কপালে টিপ এতে বরাবরই বেমানান ও। কিন্তু গহনার ভারী সাজে অবন্তীকে অনেক সুন্দর মানায়। অবন্তীকে এসাজে দেখার তীব্র ইচ্ছেটা মনের মধ্যে রেখেই ফিরে গেলাম।একটা সময় ছিল, আমি ছাদে কবুতর পুষতাম। একদিন মনে হলো ওদের মুক্তি দেই। খাচা খুলে দিয়ে আমি ওদের চলে যাওয়া দেখেছিলাম। ভেবেছিলাম মুক্তির স্বাদ হয়তো এমনি। সেদিন আমি পেয়েছিলাম স্বাধীনতা আর সে পেয়েছিল মুক্তি
(সমাপ্ত)
YOU ARE READING
অপেক্ষার প্রহর [Completed]
Short StoryBroken family র মেয়ে অবন্তী। তার Life এর কিছু বিষন্ন স্মৃতি। আর ছোট্ট একটা প্রেমের কাহিনী নিয়ে "অপেক্ষার প্রহর" গল্পটা। তবে সমাপ্তিটা একটু ভিন্ন। এখানে আপনি হ্যাপি এন্ডিং আর স্যাড এন্ডিং দুটোর মজাই পাবেন। শেষটা জানার জন্য আপনাকে পুরো গল্পটা পড়তে হবে...