গা গুলিয়ে আসতেই মুখে হাত চাপা দিল মায়া।। তার অদ্ভুদ অনুভুতি হতে লাগল।। চোখ মুখে খিচুনি আসতে লাগল।। শরীরে কাপুনি চলে আসলো।। অলোক মায়ার অবস্থা দেখে খানিক টা ঘাবড়ে গেল।। তাড়াতাড়ি পানির পাত্র এগিয়ে দিল।।
.
------ মা-মায়া পানি নাও!!!
.
মায়া পানি নিল।। কিন্তু খেতে পারলো না।। তার মনে হল পাত্রে কোনো পানি নেই।। সব রক্ত!! হাত থেকে ছুটে পড়ে পাত্রটা।। অলোক তাড়াতাড়ি আসন ছেড়ে মায়ার পাশে চলে এলো।।
.
------ মায়া কি হয়েছে??
.
ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিয়ে কাপতে কাপতে মায়া বলল
.
----- ও ওখানে স-সব রক্ত।। আ-আমার রক্ত কে ভ-ভয় লাগে!!!
.
----- রক্ত??
.
ভ্রু কুচকে অলোক পানির পাত্র টা হাতে নিল।। কিন্তু সেখানে রক্ত দেখলো না।। তাহলে কি মায়ার ভ্রম হচ্ছে নাকি তার রক্ত ভীতি আছে??
.
----- মায়া শান্ত হও!!! কোনো রক্ত নেই।। সব ঠিক আছে।।
.
দু হাতে শক্ত করে ধরে মায়ার কাপুনি থামানোর চেষ্টা করল অলোক।। এরপরও কাপুনি না থামলে অলোক মায়া কে বুকের মধ্যে চেপে ধরল।। তারপর পিঠের মধ্যে হালকা ভাবে হাত বুলাতে লাগল।। মায়াকে বুকের সাথে চেপে ধরতেই পরম শান্তি অনুভুত হল অলোকের।। সেই সাথে তার বুকের মধ্যে একটা সুক্ষ একটা ব্যাথাও হচ্ছে।। অলোক বুঝতে পারছেনা কেন এই ব্যাথা টা হচ্ছে?? এর ঔষুধ কি??
মায়া খানিকটা শান্ত হলে অলোক তাকে ধীরে ধীরে নিজের বাহু বন্ধন হতে মুক্ত করল।। তারপর সে খাবার গুলো সরিয়ে ফেলল সামনে থেকে।। এরপর ফলের ঝুড়ি টা নিয়ে সেখান থেকে কিছু ফল নিল।। নিজেই খঞ্জর দিয়ে টুকরো টুকরো করল।। তারপর মায়াকে খাওয়াতে লাগলো।। মায়া কিছু না বলে চুপ চাপ খেতে লাগলো।। হঠাৎ আপন মনে অলোক বলে উঠল
.
------ আমি জানি মায়া!! তুমি আমাকে পছন্দ কর না।। তোমার জন্য আমি একজন হত্যাকারি, খুনি, নিষ্টুর, বর্বর!! আমি জানি তুমি আমার উপর ভীষন রেগে আছো। হয়ত তোমার পিতা আমার হাতে মারা গেছে।। তোমার রাজ্যতে আমি আক্রমন চালিয়েছি।। তারপরও আমি বলব তুমি আমার উপর বিশ্বাস করতে পারো।। আমি অযৌক্তিক কোনো কাজ করি নি।।
.
মায়া নিশ্চুপ ভাবে অলোকের কথা শুনছে।। সে অলোকের দিকে বিন্দু মাত্রও তাকালো না।। তার এখানে বলার কিছু নাই। বললেও অলোক শুনবেনা।। অলোক অাবার বলল
.
------- এখানে তোমার কোনো কিছুর অভাব হবেনা।। তুমি দেখো মায়া!!! তুমি যা চাইবে তোমার জন্য হাজির হবে মায়া!!
KAMU SEDANG MEMBACA
Every Thing Is Fair In Love And War ♥
Spiritualপ্রেম আর যুদ্ধে নাকি সব জায়েজ? আসলে কি তাই?