কুয়াশাচ্ছন্ন সন্ধ্যা ( A story of twice Murder)
লেখাঃ তামজিদ হাসান
মানুষের জীবন, কিছু মুহুর্ত, কিছু স্মৃতি ব্যাপারগুলো কেমন যেন অদ্ভুত। এই ধরুন আজকে, আপনি আপনার পরিচিত মুখ, প্রিয় মানুষগুলোর সাথে সময় কাটাচ্ছেন কিন্তু হয়তো আগামীকাল আপনি কিংবা আপনার প্রিয় মানুষগুলো হয়ে যাবে স্মৃতির পাতা। আহা মৃত্যু....। ঠিক তেমনি আমার জন্য আজকের দিনটা। বিগত সাত বছর ধরে এমনই হয়ে আসছে। কাউকে ভুলে থাকা যায় তবে একেবারে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। কিছু স্মৃতি আমাদের মনে চিরস্থায়ী গভীর দাগ কেটে দেয়। আজকে আমার প্রিয় মানুষটার মৃত্যু বার্ষিকি। আমার প্রথম ভালোবাসা। আমার বাগদত্তা নিশানূর। তখন সবে মাত্র পড়াশুনার পাঠ চুকিয়েছি । জীবনের এই পঁচিশটা বসন্ত শুধু অন্যের ভালোবাসার গল্প শুনে কাটিয়ে দিলাম। প্রেমে পরিনি ব্যাপারটা এমন না তবে প্রেম করি নি। জীবনের যে সন্ধিক্ষণে ভালোবাসা প্রবলভাবে ধরা দেয় তখন থেকেই ঠিক করে নিয়েছিলাম মায়ের পছন্দ মতো বিয়ে করব। তাছাড়া আমি কল্পনা প্রবণ এবং ভীতু টাইপের একজন মানুষ। প্রেম করা হতো কি না জানা নেই। তবে না হওয়ার সম্ভাবনা টাই ছিল বেশি। একবার এক বন্ধু বলেছিল প্রেম করতে না কি সাহস লাগে। তাছাড়া মনে মনে একটা লজিক দাড় করেছিলাম আমি যদি কারো সাথে প্রেম করি তার সাথে বিয়ে নাও হতে পারে আর যখন অন্যকোন মেয়েকে বিয়ে করব তাখন হয়ত ভালোবাসার সমস্তটা দিতে পারব না। কারন তার আগেই যে দেয়া হয়ে গিয়েছে। মানে পুরনো গল্প গুলো নতুন করে বলতে হবে। তারচেয়ে বরং ভালোবাসার সমস্তটা জমা থাক।
কল্পনা প্রিয় মানুষদের ভাবনাগুলো তাদের জীবনে ঠিক যেমনটা গভীর প্রভাব ফেলে আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটে নি।
YOU ARE READING
এ্যা স্টোরি অফ টোয়াইস মার্ডার
Mystery / Thrillerলেখকের সাথে নিশানূর নামের একটা মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। নিশাকে প্রথম দেখেই ভালো লেগে যায়। বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু বিয়ের আগের দিন নিশার জন্মদিনেই নিশা আত্মহত্যা করে বসে। টেবিলে রাখা ছিল একটা suicide নোট। তবে প্রশ্ন হলো নিশা কি আদৌ আত্মহত্যা করেছিলো না কি খুন হ...