একদিন মা টেলিফোন করে বললেন তোর জন্য মেয়ে দেখিছি। বাড়িতে আয়। আমি যথা সময়ে চলে আসলাম। সবাই মিলে নিশাদের বাড়িতে গেলাম। বাড়িতে অনেক মানুষ এসেছে ওদের মেহমান হবে হয়তো। এ্যাতোগুলো মানুষের চোখ আমার দিকে নিবদ্ধ এজন্য আমার একটু লজ্জাও লাগছিলো। আমরা ড্রইং রুমে বসে আছি। নিশাকে নিয়ে আসা হলো। মানুষের মনে কল্পনায় যে প্রিয় মানুষটা থাকে তখন মনে হচ্ছিলো আমার কল্পনার বাস্তব প্রতিবিম্ব হলো নিশা। আমাদের আলাদা ঘরে কথা বলার ব্যবস্থা করা হলো। একেঅপরকে জানলাম। ও বই পড়তে খুব ভালোবাসে আর এদিকে আমারও বই পড়ার প্রতি বেশ ঝোক। কলেজ লাইফ থেকে টুকটাক লেখালেখিও করি। নিশাও তেমন। নিশা চমৎকার লিখতো। আমি ক্রমেই ওর প্রতি ভালোলাগা অনুভব করি। আমাদের বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু বিয়ের আগের দিন নিশা আত্মহত্যা করে বসে। সেদিন যেনো আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরেছিলো।
পেছনের কথাগুলো ভাবতে ভাবতে কখন যে চোখের কোণে অশ্রু জমে তা গাল বেয়ে নেমে এসেছে বুঝতেই পারি নি। বেশ কিছুক্ষণ হাঁটতে হাঁটতে একটা দোকান পেলাম। আমার এক বন্ধু বলেছিলো সিগারেট খেলে না কি কষ্ট ভুলে থাকা যায়। আমি সিগারেট খাই না। তবুও দোকান থেকে দুইটা সিগারেট নিয়ে একটা পকেটে রেখে আরেকটা ধরিয়ে আবার হাঁটা শুরু করলাম। মানুষ শুধুই বলে সিগারেট খেলে কষ্ট ভুলে থাকা যায়। এটা কেবলই একটা ভ্রান্ত ধারণা ছাড়া অন্য কিছু নয়। আসলে এসব কিছুই illusion. সিগারেটটা ফেলে দিলাম। বেশ কিছুক্ষণ হাটার পর আকাশের হালকা চাঁদের আলোয় রাস্তার এক কোণে দেখতে পেলাম একটা মেয়ে দাড়িয়ে। সবুজ শাড়ি আর গায়ে চাদর পরা যেন সহস্র সবুজ নেমে এসেছে। মনে মনে ভাবলাম এ কেমন ধারার মেয়ে এ্যাতো রাতে এখানে কি করছে। আমি মেয়েটিকে যেইমাত্র পাশ কাটিয়েছি তখন চিরচেনা এক পরিচিত কন্ঠস্বর আমার নাম ধরে ডাকলো পাশ ফিরে এবার আবছা চাঁদের আলোয় মেয়েটার মুখটা দেখলাম, নিশানূর....।
YOU ARE READING
এ্যা স্টোরি অফ টোয়াইস মার্ডার
Mystery / Thrillerলেখকের সাথে নিশানূর নামের একটা মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। নিশাকে প্রথম দেখেই ভালো লেগে যায়। বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু বিয়ের আগের দিন নিশার জন্মদিনেই নিশা আত্মহত্যা করে বসে। টেবিলে রাখা ছিল একটা suicide নোট। তবে প্রশ্ন হলো নিশা কি আদৌ আত্মহত্যা করেছিলো না কি খুন হ...