শেষ পর্যন্ত জুনিয়রের প্রেমে পড়তে হবে কে জানতো!
আরে আরে ভুল বুঝবেননা, ছেলেটা আর কেউ না, আমারই হাজবেন্ড। গত মাসের ১০ তারিখ আমার বিয়ে হয়েছে আমার দুই বছরের ছোট একটা ছেলের সাথে। আসলে মাত্র দুমাসের ছোট। কিন্তু বেচারা হিফজ পড়তে গিয়ে দুই বছর লস দিয়েছিল, আর সার্টিফিকেটে তো একটু-আধটু কম করেই দেয় সবাই। তো সেই সার্টিফিকেটের সুবাদে বয়সে যেমন কমে গেছে, তেমন পড়াশোনায়ও হয়ে গেছে জুনিয়র। এমনিতে তো এমন অসম বিয়ে হওয়ার কথা না। কিন্তু, আমার বাবা আর ওর বাবা বাচ্চাকালের বন্ধু। বড় হওয়ার পর যোগাযোগ হারিয়ে গেছিল। এতদিন পর খুঁজে পেয়ে বন্ধুত্বকে আত্মীয়তায় পরিণত করতে আর দেরী করেনি কেউ।
ছেলে মা শা আল্লাহ সেই লেভেলের ব্রিলিয়ান্ট। মাত্র দুই বছরে সে হিফজ কমপ্লিট করেছে! চার চারটা সোনালী এ প্লাস এর মালিক গত বছর স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডনে গিয়েছিল ডাক্তারি পড়তে। তার বাবা মা তো ছেলের চরিত্রের টেনশনে রাতে ঘুমাতে পারেননা। কিছুদিন আগে নাকি ছেলে ফেসবুকে ক্লাসমেটদের সাথে একটা গ্রুপ ফটো শেয়ার করেছিল। ছবির মেয়েদের ছোট ছোট পোশাক-আশাক দেখে তো আমার শশুরের মাথায় হাত। সাথে সাথে ছেলেকে ডেকে পাঠিয়ে আমার সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেন।
ছেলে আমার জুনিয়র শুনে তো আমি মহাখাপ্পা ছিলাম। কিন্তু বাবা মায়ের কথা জীবনে যে অমান্য করেনি সে আর কি করবে। কেঁদেকেটে একসা হয়েও শেষমেশ কবুল বলে ফেললাম ছেলেকে না দেখেই। কিন্তু বাসর রাতে ছেলেকে দেখেই আমি ধপাস করে পড়ে গেলাম। মানে আধুনিক ভাষায় যেটাকে ক্রাশ বলে আর কি। আমার বরের রূপের বর্ণনা দিতাম কিন্তু আপনারাও যদি ক্রাশ খেয়ে যান, তাই আর রিস্ক নিলামনা। কিন্তু তার রিএকশন দেখে আমি একেবারে কনফিউজড হয়ে গেলাম। বউ সাজে আমাকে দেখে কতক্ষণ ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থেকে চোখ নামিয়ে নিল, যেন গায়রে মাহরাম মহিলাকে দেখেছে। ভাবলাম লজ্জা পেয়েছে। কিন্তু ব্যাটা মিনমিন করে বলে কিনা, আব্বুর টেনশনে কয়েক রাত ঘুম হয়নি, আমি কি একটু ঘুমাতে পারি? যাব্বাবা, বিয়ের সময় আবার বাবাকে নিয়ে কিসের টেনশন? সে কাহিনী জানলাম পরদিন। তাকে নাকি আমার শশুর ভীষণ অসুস্থ, একথা বলে ডেকে এনে বিয়ে দেয়া হয়েছে।
YOU ARE READING
ছোট গল্প ও অণুগল্প
Short Storyব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় সাহিত্যের গদ্য ধারাগুলোর মধ্যে ছোটগল্প লেখা সবথেকে কঠিন। অল্প পরিসরে দারুণ কিছু করে ফেলেন একজন দক্ষ গল্পকার। সেখানে আমার মত নিতান্তই অপটু এবং শিক্ষানবিশ লেখক পুরোই অকেজো। তারপরও হয়ত কখনো মন চাইলে কিছুমিছু লিখে ফেলতে পারি। স...