১০( যতসব আজগুবি কথা! )
র্যাচেল সাবধানে জেফ এর পিস্তলের দিকে তাকিয়ে র্যাচেল বলল, এর কোন দরকার হবেনা তোমার জেফ।
তা ঠিক আছে, তবে কিছু টা নিরাপত্তার খাতিরেই আমার দূরত্ব বজায়ে রাখা উচিৎ। মানুষ বেশি কাছে আসলে অনেক খারাপ কিছু হয়ে যায় জীবনে। জেফ হাসল, আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।
তুমি অনেক সুন্দর জেফ... মৃদু হাসল র্যাচেল। যে কোন মেয়ে কেই তুমি আকর্ষণ করতে পারো। তোমার গার্ল-ফ্রেন্ড আছে?
প্রশ্ন টা শুনে বেশ অবাক হল জেফ... নাহ, বেশ কয়েক মাস আগেই আমাদের ব্রেক আপ হয়ে গিয়েছে। বলেই জেফ ভাবল,আমি এখানে পার্সোনাল লাইফ ডিসকাস করতে তো আর আসিনি!
তুমি কি আমাকে এসব প্রশ্ন করছ কেন র্যাচেল? বেশি কাছে আসা ঠিক না , অনেক খারাপ কিছু হয় এতে।
কি ধরনের খারাপ কিছু? ঈষৎ হেলে র্যাচেল জিজ্ঞেস করে।
তুমি তো ডেনভার এর মৃত্যুর সময় তার খুব কাছে ছিলে, তাই নয় কি?
হুম, তা তুমি বলতে পারো।
ইন ফ্যাক্ট, ডেনভার যখন মারা যায় তখন তুমি ঠিক তার উপরেই ছিলে নিথর অবস্থায়। মানে তুমি তখন কোমা তে ছিলে।
হেসে উঠলো র্যাচেল, ডিটেকটিভ হিসেবে তুমি আসলেই অনেক বুদ্ধিমান। ভালো লাগছে জেনে যে তুমি দেখতেই শুধু হ্যান্ডসাম নও, তোমার মাথায় অনেক বুদ্ধি ও আছে।
শ্রাগ করল জেফ, এমন কি মিঃ ক্রেইন যখন মারা যায় তখন ও তুমি জানালা এর পিছনে ছিলে ডেনভার এর সাথে।
কে মারা যাওয়ার সময় আমি জানালার পিছনে ছিলাম? র্যাচেল কিছু টা অবাক হয়।
কেন? মিঃ ক্রেইন যখন মারা যায় সেখান থেকেই তো পুরো ঘটনার উৎপত্তি। আমার ধারনা তখন তুমি ও সেখানে উপস্থিত ছিলে।
র্যাচেল, দ্রুত মাথা নাড়ায়। জত্তসব আজগুবি কথা বার্তা বলছ জেফ। সেদিন ঐ রুমে আমি ছিলাম ই না । যদি আমি থাকতাম তাহলে আমি বের হয়ে আসলাম কিভাবে? দরজা তো ভিতর থেকে বন্ধ ছিল ।
ভ্রু কুচকে জেফ তাকায়, আজগুবি লাগছে? তুমি কি সেটা আমি ঠিক জানিনা, তবে এটা বুঝতে পারছি যে এক শরীর থেকে আরেক শরীরে যেয়ে এড-জাস্ট হতে তোমার বেশ কিছু সময় প্রয়োজন হয়। সে সময় টা তুমি কোমায় থাকো। পিস্তল টা শক্ত করে ধরে রেখে জেফ দৃঢ় চোখে তাকায় র্যাচেল এর দিকে । তুমি যখন আমাকে হাসপাতালে দেখলে তখন তুমি সতর্ক হয়ে যাও সাথে সাথেই, তুমি বুঝতে পারো যে আমি একজন ডিটেকটিভ । কি? আমার আজগুবি কথা বার্তা গুলো কেমন লাগছে তোমার কাছে?
র্যাচেল হেসে উঠলো, তুমি আমাকে অবাক করে দিচ্ছ জেফ। তুমি বুদ্ধিমান জানতাম, তবে এত টা! সেটা বুঝতে পারছিনা। তোমার কথা গুলা সত্য হলেও খুব আজগুবি কিন্তু , কেউ তোমার কথা বিশ্বাস করবেনা।
জেফ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল, সে যা অনুমান করেছিলো সেগুলা সত্যি। প্রথমে জেফ এর নিজেকেই পাগল মনে হচ্ছিল এগুলা ভাবার জন্য। সে র্যাচেল এর দিকে তাকিয়ে থাকে।
কেবিনের দরজা খোলা থাকার কারণে র্যাচেল এর খোলা চুল গুলো বাতাসে উড়ছিল বার বার । সেগুল কে সামলাতে সামলাতে জেফ এর দিকে তাকিয়ে বলে, আমি তো বলেছি আমি তোমাকে সব খুলে বলব। যদিও তোমার কাছে কোন প্রমাণ নেই এসব কথার। মুচকি হাসে র্যাচেল।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে জেফ, আসলেই তার কাছে কোন প্রমাণ নেই। তুমি কতদিন ধরে আছ? মানে আমি বুঝাতে চাচ্ছি তোমার বয়েস কত? আর কয়টা শরীর এই পর্যন্ত তুমি ব্যাবহার করেছ?
র্যাচেল কোন উত্তর দেয়না, ধীরে ধীরে জেফ এর দিকে এগিয়ে আসে। জেফ র্যাচেল এর দিকে পিস্তল উঁচিয়ে ধরে, আর সামনে এসো না তুমি, তাহলে আমি গুলি করতে বাধ্য হব কিন্তু। র্যাচেল জেফ এর কথা মনে হয় যেন শুনতেই পায়নি, সে এগিয়ে আসতেই থাকে জেফ এর দিকে। (চলবে)
YOU ARE READING
"পরজীবী" ( বিদেশী গল্পের অবলম্বনে )
Mystery / Thrillerএটা একটা সাইফাই থ্রিলার ধরনের লেখা। পড়তে পড়তে রহস্য, রোমাঞ্চ এমনকি ভালোবাসার ও কিছু ছোঁয়া পেয়ে যেতে পারেন এর মধ্যে।