পর্বঃ ১

64 3 0
                                    

ক্লাস 9 এ পড়ে নীলা।
বান্ধুবীরা প্রেম ভালোবাসা নিয়ে অনেক দূরে এগিয়ে গেলেও নীলা অসহায়ের মতো পড়ে আছে লেখাপড়া নিয়ে।

হঠাৎ করে আচমকা এক দমকা হাওয়ার মত জীবনে এলো আমার হিরো। যে কিনা আমার কাজিন হয়।
করলো আমাকে প্রপোজ।রাজি হয়ে গেলাম। প্রেম চলছে আমাদের। একে তো প্রথম প্রেম,প্রথম ভালোবাসা। তার উপর অন্য রকম এক অনুভূতি।ভালোবাসায় যেন হাবুডুবু খাচ্ছি।
যেহেতু রিলেটিভ। ভেবেই নিয়েছি বিয়েটা হবেই আমাদের।
আস্তে আস্তে ভালোবাসার সময় বাড়তে থাকলো।

নাইন থেকে টেন এ উঠলাম।

এত দিনে আবেগ কাটিয়ে যেন সিরিয়াস ভাবে ভালোবাসাটাকে বুঝতে শিখেছি। আরাফের জন্য এখন বুকের ভেতর অদ্ভুত এক অনুভূতি কাজ করে। ওকে না দেখলে ওর সাথে কথা না হলে দম বন্ধ হয়ে আসে।

ভালোবাসলে বুঝি এমনই হয়।
ভালোবাসা বুঝি একেই বলে।

কিন্তু অবাক হতাম এই ভেবে যে,এত দিনের সম্পর্ক আমাদের। ও আমাকে এত দিনে একটা সুতাও দেয়নি।মাঝে মাঝে ভাবতাম এ কেমন প্রেমিক? ভালোবাসার মানুষরা নাকি ভালোবাসার মানুষকে কত গিফট দেয়, জন্মদিনে উইশ করে, কত সারপ্রাইজ দেয়। অথচ আমার বেলায় এমন কেন?

বান্ধবীরা কত রকম গিফট দেখিয়ে বলে আমার বফ আমাকে দিয়েছে। আমি কোন দিন কিছু দেখিয়ে বলতে পারিনা ও আমাকে এটা দিয়েছে। কারণ ও আমাকে কখনোই কিছু দেয়না বরং কয়দিন পর পরই আমার কাছে টাকা পয়সা,এটা সেটা চায়। আমিও ভালোবাসার খাতিরে দেই। আব্বু আমাকে হাত খরচ দেন সেই টাকা আমি ওকে দেই। তেল,লোশন,স্নো,ফেইসওয়াশ,চুলের জেল সব কিনে দেই। এমন কি পাঞ্জাবি ফতুয়া থেকে শুরু করে শীতের সুয়েটার অবধি আমার ওকে কিনে দিতে হয়েছে।
ওহ হ্যাঁ,ওর হাতের মোবাইল টা পর্যন্ত কিনে দিয়েছি আমি।

আমাদের একটা রেস্টুরেন্টে দেখা হতো। আমার ফ্রেন্ডরা মিলে ওর সাথে দেখা করতাম।আমার ফ্রেন্ডরা আরাফকে খুব পছন্দ করতো। ও ছিলোই পছন্দ করার মত ছেলে।
রেস্টুরেন্টের বিল টা পর্যন্ত আমি দিতাম। ওর সাথে দেখা হলেই ও আমার ব্যাগ টা ঘেটে দেখতো কোথায় কি আছে।

অচেনা মানুষ - Strangers | (Complete)Where stories live. Discover now