পর্বঃ ৩

15 2 0
                                    

এই কথা বলার সাথে সাথে আরাফ আমার মুখ চেপে ধরে।
আর রিক্সাওয়ালাকে বলে,যত টাকা চাই তোর,আমি তোকে দিবো। কিন্তু আমি না বলা পর্যন্ত রিক্সা থামাবিনা। আর তখনই একজন লোক আচমকা রিক্সার সামনে এসে দাঁড়ান। আর আরাফ আমার মুখ ছেড়ে দেয়। আমার মুখ থেকে হাত সরিয়ে নেয়।

-নীলা কি হচ্ছে এসব?
-নীলা কে উনি?
-আসসালামু আলাইকুম স্যার!
-ছেলেটা তোমার মুখ এইভাবে চেপে ধরেছিলো কেন?
আর তুমিই বা কোথায় যাচ্ছো ওর সাথে?(স্যার)
-ও আমার কাজিন।আমরা শপিং এ যাচ্ছিলাম।আমি ফান করে ওর মুখ চেপে ধরি। এইতো ছেড়েও দিয়েছি।তাইনা নীলা?

আমি ভীত চোখে শহীদ স্যারের দিকে তাকিয়ে আছি।
তিনি আমার হিসাব বিজ্ঞান টিচার। তার কাছে আমি হিসাব বিজ্ঞান প্রাইভেট পড়ি।স্যারের বয়সও তেমন নন। তিনি এবারই মাস্টার্স পাশ করেছেন।

-নীলা আমি রাস্তায় কোন সীন ক্রিয়েট করতে চাইনা।
তুমি কি ওর সাথে যাবে নাকি আমার সাথে তোমার বাসায় যাবে? আগামীকাল তোমার এক্সাম,মনে আছে কি?
-আপনি আপনার মত যেখানে যাচ্ছিলেন যান।আমি ওকে শপিং করে বাসায় দিয়ে আসবো।

স্যার কথাটা শোনা মাত্রই আরাফের গালে ঠাস করে একটা থাপ্পড় বসিয়ে দেন।

-আমি নীলার সাথে কথা বলছি তোমার সাথে না। আর শোনো,সময় থাকতে ভালো হয়ে যাও।ভালো হতে পয়সা লাগেনা। তবে থানা,জেল থেকে ছুটতে অনেক টাকা লাগে।

কয়েক জন লোক আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে দেখে,
আরাফ কোন কথা না বলেই ওখান থেকে চলে গেলো।

-কোন সমস্যা ভাই?
-না ভাই,কোন সমস্যা না।আমার ছাত্রী ও। আমি হেঁটে যাচ্ছি বলে আমাকে রিক্সায় উঠতে বলছে।
-ও আচ্ছা।
-চলুন স্যার।

এত ক্ষণে আমার মুখ থেকে কথা বের হলো। ভয়ে আমার সারা শরীর কাঁপছে। স্যার রিক্সায় উঠে বসলেন।

-ভাই আমি কি করতাম,লোক টা আমারে ভয় দেখাইছে।তাই আমি রিক্সা চালায় যাইতেছিলাম।(রিক্সাওয়ালা)
-ও আপনাকে টাকার লোভ দেখিয়েছে তাই আপনি রিক্সা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মিথ্যা কেন বলেন?
-শানায়া,থামো। আমি কিন্তু বাচ্চা নই।আমিও এই বয়স টা পাড় করে এসেছি। আমি বুঝেছি ওই ছেলেটা তোমার সাথে জোর যবরদস্তি করছিলো। আর রিক্সাওয়ালা হয় টাকার জন্য নয়তো ভয়েই রিক্সা চালিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু তুমি?
তুমি ওই ছেলের সাথে এখানে কি করছো? আগামীকাল না তোমার এক্সাম? ও কি সত্যি তোমার কাজিন?নাকি অন্য কিছু?

অচেনা মানুষ - Strangers | (Complete)Donde viven las historias. Descúbrelo ahora