পর্বঃ ৬

18 2 0
                                    

এরপর সে আমাকে অনেক গুলো মেসেজ দেয়।
কিন্তু আমি কোন রিপ্লাই করিনা। শেষমেস হঠাৎ একদিন আমার ফোন বেজে উঠে, আর আমি ফোন রিসিভ করতে গিয়ে দেখি, ”অচেনা মানুষ“ নামটা ভেসে উঠেছে।
আর আমি রিসিভ করেই বলি,

-আসসালামু আলাইকুম!কে বলছেন?

ওপাশ থেকে কোন আওয়াজ আসেনা। তাই আমি আবার বলি,
-ওই হ্যালো,কে বলছেন?
-উহুম উহুম।আমি বলছি।

নাহ ভয়েজ টা তো জব্বর সুন্দর। কিন্তু ভয়েজটা হালকা চেনা চেনা মনে হলেও,পুরোপুরি চিনতে পারছিনা। এক জনের ভয়েজের মতও তো কত মানুষ এর ভয়েজ হয়।

-আমি কে?আমি'র কি কোন নাম নেই?
-আমি ফোন দেয়ার পর স্ক্রিনে কি নাম ভেসে উঠেছে?
-অচেনা মানুষ।ধুর থুক্কু,কিছুনা।
-আমি ওই অচেনা মানুষই।
-আপনার নাম টা বলবেন প্লিজ?আর কিভাবে আমার নাম্বার, না মানে আমার সিমের নাম্বার পেলেন সব কিছু একটু খুলে বলুন।
-কথা বলতে চেয়েছো বলেছি। এখন আবার এত বায়না?
-সব কিছু না বললে কিন্তু কথা বলবোনা।
-সত্যি বলবেনা?
-না মানে।
-না মানে কি?একটুও খারাপ লাগবেনা?
-জানিনা,

জানিনা বলে আমি লাইন টা কেটে দেই। ছেলেটাকে ভালোই মনে হয়। কি সুন্দর ভাবে কথা বলে, আমাকে এক্সামের সময় কত পড়া,লিখে বুঝিয়ে দিলো। কত এডভাইজ দিলো। না না,আমি মানুষ চিনতে ভুল করি।
এত সহজে কাউকে ভালো বলা আমার উচিৎ না। কারণ আমি মানুষ চেনায় বড্ড কাঁচা। এরপর থেকে ছেলেটা মাঝে মাঝে কল,মাঝে মাঝে মেসেজ দেয়। ভালোই লাগে কথা বলতে। কথা বলার সময় আম্মু আব্বু কেমন আছেন।
তাদের কথা মত যেন চলি। এই সেই সব সময় বলবে সে।
প্রতিটা কথায় যেন এডভাইজ থাকে। যেমন পড়াশোনা যেন কক্ষনো না ছাড়ি,বিয়ে হয়ে গেলেও যেন পড়াশোনা করি।নিজের পায়ে যেন দাঁড়াই।আম্মু আব্বুর স্বপ্ন যেন পূরণ করি।গরীব দুঃখীদের যেন সেবা করি। খুব ভালো লাগে তার এসব কথা গুলো। দেখতে দেখতে কয়েক মাস কেটে গেলো।

-আচ্ছা তোমার বৃষ্টি ভালো লাগে?
-হুম খুব।
-বৃষ্টিতে ভিজতে কেমন লাগে?
-খুবই ভালো।
-আমারো খুব ভালো লাগে। আমি না প্রায়ই ভিজি বৃষ্টিতে।
-আমিও ভিজি।
-বাহ আমাদের মাঝেতো খুব মিল। আর কি কি ভালো লাগে তোমার?
-এই ধরুণ,আকাশ,চাঁদ,রাত,শাড়ী,চুড়ি,নথ।
-আর আমাকে?

অচেনা মানুষ - Strangers | (Complete)Место, где живут истории. Откройте их для себя