লাভিং জার্নি
বছর তিনেক অাগের দিকে। অামি তখন সিএমসিতে পড়ছি। ফাইনাল পরীক্ষার মাঝামাঝি এসে অামার ভীষণ জ্বর হয়ে গেলো। বাসায় জানালাম না, বাসায় জানানো মানে বাবা বলবেন, পরীক্ষা কুইট কর! সুতরাং জানানোর প্রশ্নই অাসে না।
বছর তিনেক অাগের দিকে। অামি তখন সিএমসিতে পড়ছি। ফাইনাল পরীক্ষার মাঝামাঝি এসে অামার ভীষণ জ্বর হয়ে গেলো। বাসায় জানালাম না, বাসায় জানানো মানে বাবা বলবেন, পরীক্ষা কুইট কর! সুতরাং জানানোর প্রশ্নই অাসে না।
অামি তখন ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে ভর্তি কোচিং করছি।নতুন কোচিং এ ভর্তি হয়ে অামার একটি চমৎকার অসুখ দেখা দিলো। তা হচ্ছে, কোচিং এর যেই ভাইয়াকেই দেখছি তাঁরই প্রেমে পড়ে যাচ্ছি! ধরা যাক, অাজ রিশাদ ভাই বায়োলজি ক্লাস করলো, পুরো ক্লাস অামি তাঁর প্রেমে মুগ্ধ! অাবার পরদিন বর্ণ ভাই ক্লাস নিলো, পুরো ক্লাস মনে হলো, একেই বিয়ে করবো অামি...
মা যেদিন রিমিকে পছন্দ করে অাসলেন, বললেন, -- হীরে কাটতে যেমন হীরে লাগে, রিমির রূপের সাথে তুলনা করবার জন্য সেরকম অারেকটা রিমিই লাগবে। অামার মা বরাবরই সব বাড়িয়ে বলেন। অামি ব্যাপারটা হালকাভাবে নিলাম।
উনি তখন বিমানবাহিনীতে সবে ঢুকেছেন।টগবগে তরুণ! উনাকে দেখতে যে তখন কি ভালো দেখায়। ভীষণ লম্বা, গভীর চোখ, অার সবথেকে সুন্দর উনার হাসি।শুধু মাথাভর্তি ঝাকরা চুলটাই ছোট করে ছাটা। ইস! এমন হ্যান্ডসাম ছেলে সারা পৃথিবীতেই বুঝি অার একটাও নেই।পৃথিবীতে কেনো, অাশে পাশের কোনো গ্রহেও নেই।
আয়ানের সাথে প্রিয়ন্ময়ীর প্রথম পরিচয় হয় ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরীতে। ওদের বন্ধুত্ব একটা সময় বন্ধুত্বের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে প্রেমে রুপ ন্যায়। কিন্তু এর পরেই কিছু ঘটনা প্রবাহ প্রিয়ন্ময়ীর জীবনকে উলোট পালোট করে দিয়েছে। প্রিয়ন্ময়ী কি পারবে আবার তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে?? অমীমাংসিত এক ভালোবাসার গল্প। (১-১১ পরিচ্ছেদ) Co...
অামার অার সেলিব্রিটি হওয়া হলো না! কিন্তু অামি এখন একজনের কাছে সেলিব্রিটি।অামাকে দেখলে একজন এখনও ভীষণ নার্ভাস হয়ে যায়......
২০০৮ সাল।ইন্টারমিডিয়েট পাস করেছি তখন।দেখতে ভালো হওয়ায়, বিয়ের খুব প্রস্তাব অাসতো।অামি ছাত্রী ভালো ছিলাম।পড়ার অাগ্রহ ছিলো, বিয়ে করার প্রশ্নই অাসেনা।তারপর ?
চমকে উঠে তার দিকে তাকায় চারজন সিআইডির অফিসার। সবচেয়ে বেশি অবাক হয়েছে সুমিতা। বিরক্তি ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠে তার চোখেমুখে। কি একটা উটকো ঝামেলায় জড়াচ্ছে অরুপ নিজেকে? আপনি কি করে নিশ্চিত হলেন এটা হত্যাকাণ্ড? একজন সন্দেহের চোখে তাকায় তার দিকে। - কিছুক্ষণ আগে আমি ঐ ঘরে ঢুকেছিলাম। বুঝতেই পারছেন আপনাদের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার উপর আম...
অামি সিলেট থেকে ট্রেনে উঠেছি।মেয়েটির টিকিট ও সিলেট থেকে ছিলো, কিন্তু সে উঠলো কুলাউড়া থেকে। কমবয়সী, সুদর্শনা।লম্বা ছিপছিপে গড়নেরহাসি হাসি সুন্দর মুখ!
অন্যরকম অাচ্ছা নোভা, অামি যদি ভিন্নধর্মী হতাম, ধরো হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান?? তখন কি তুমি অামায় এমন করে ভালোবাসতে?? বলো না প্লিজ....
পুনমকে অামি প্রথম দেখি বিয়ের দিনই! রেজিস্টৃর পরে যখন মালাবদলে অামাকে ও'র কাছে নিয়ে যাওয়া হলো, ও কিন্তু একবার ও তাঁকায়নি অামার দিকে। শাড়ি ঠিক করার অজুহাতে নিচু হয়ে টিস্যু চেপে বারবার চোখ মুছছিলো।
"আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকল খানে আছে সে নয়নতারায়, আলোকধারায় তাই না হারায়....." প্রতিটা মানুষের ভালোবাসার নিজস্ব ধরন থাকে৷তাই সেই ভালোবাসার প্রকাশ ও হয় স্বতন্ত্র৷কিন্তু একটা বিষয় সব ক্ষেত্রেই এক৷ মনের মানুষ মনের চিলেকোঠায় যে চিরস্থায়ী ঘর বানায়,শত মাইলের দুরত্বেও সে ঘরের কোনো পরিবর্তন হয় না৷ অবস্...
সেই অাট বছর অাগে, এক বিকেলে শিহাবের এক দুসম্পর্কের ফুফা এসে বাবার হাত ধরে কেঁদে বলেছিলেন, ----অাপনার মেয়েকে অামার বোনপোর জন্য চাই। বাবা-মা মরা দুঃখ দুর্দশায় একা বড় হওয়া ছেলেটা, জীবনে নিজের জন্য কিছু চায়নি। এই প্রথম নিজের জন্য কিছু পছন্দ করে চেয়েছে। যদি অাপনার মর্জি হয়??
মুক্তি এমন একটা চাওয়া যেখানে শান্তির একটা অদ্ভুত আশা থাকে, থাকে মুক্ত বিহঙ্গের মত খোলা আকাশে উড়ে বেড়ানোর মত এক অনাবিল আনন্দ... সেই আনন্দের একটা ছোঁয়া থাকে ভালবাসাতে... ভালবাসা নাকি মুক্তির আরেক নাম তাই না? কিন্তু যদি সেই ভালবাসাই আপনাকে আবদ্ধ করে?? কেড়ে নেই আপনার সব কিছু তখন??? কিন্তু সবাই যা চাই তা কী সব সময় মেলে? ম...
আমার ব্লগে প্রকাশিত আগের গল্প গুলো এক এক এখানে জমা করা হবে । ছোট ছোট গল্প একেক পার্টে একেকটা শেষ । আস্তে আস্তে সব গুলো গল্প জমা করবো এখানে । এর আগে একটা ভলিউম বের করেছি । আজকে দ্বিতীয়টা । এভাবে চলতে থাকবে !
অনেকটা ঝোঁকের বশেই লিখতে বসেছিলাম গল্পটা। 😊 গল্পের চরিত্রটি কাল্পনিক। তবে ঘটনাগুলো সত্য। নানান নিউজ এবং আর্টিক্যাল পড়ে ঘটনাগুলো কালেক্ট করে গল্প আকারে লিখেছি। 😊
একই বাসায় থাকি । আমি ভাড়াটিয়া সে বাড়িওয়ালা । মেয়েটির সাথে কথা, হইয় দেখা হয় ! আমি যেমন আগ্রহী ঠিক সেও তেমনি ! সামনে এগিয়ে চলে দুজনের পথ এক সাথে !
নিম্মি মহাবিরক্ত তার স্বামীর উপর,ভীষণ রাগ হচ্ছে। বিয়ের আগে তো এমন ছিল না,তবে এখন কেন?! *************** বাস্তবতা বদলে দেয় সবাইকে।গাছের কচি পাতাও পরিপক্ক হয়ে শুকিয়ে ঝড়ে পরে। কিন্তু ভালোবাসা? ভালোবাসার গাছের পাতাও এভাবে কালের অন্ধকার গহ্বরে হারায়? নাকি নতুন পাতায় প্রতি ঋতুতে নতুন রঙ ধারণ করে?এই ভালোবাসার গাছ কেমন করে সা...
অামার ৪বছর বয়সে মা যখন দেশে এলেন, দেখলেন, অাপনি গুছিয়ে সংসার করছেন।মায়ের সারপ্রাইজ টা ছিলাম অামি।অামার ভালো ফটোগ্রাফার হওয়ার জিনটা কিন্তু অাপনার থেকেই পেয়েছি, মায়ের সব সুন্দর ছবিগুলো তো অাপনিই তুলে দিয়েছেন??
নাইম চোখ মুখ কুচকে বলল ও অাচ্ছা খেলামণি তাহলে, সোজা খালামনি থেকে অামায় খেলামণি করে দিলো!
অচেনা এক লোক সিদ্রাকে কিডন্যাপ করে নিয়ে এলো জঙ্গলের এক কুঁড়েঘরে। শুরু করলো একের পর এক অত্যাচার। এমন অপরাধের শাস্তি ওকে দেয়া হচ্ছে যা করার কথা ও ভাবতেও পারেনা। কিন্তু তাহলে ও শাস্তি পাচ্ছে কেন? এই অত্যাচারের শেষ কোথায়? লেখিকার কথা: সম্পূর্ণ শখের বশে একটা ড্রামার প্লটকে বেস করে লেখা শুরু করেছিলাম গল্পটা। শুরু করার সময়ে...
''মেঘের ভেজা ভেজা আবেগ, সূর্যের তীব্র ভালোবাসা, বিরহীদের কান্না নিয়ে, ভোর হওয়ার শুরু। ঝাপসা চোখের তারা, সব আশায় গুড়ে বালি, একটুখানি ভালোবাসার জন্যে, একটু ভালো থাকার জন্যে।"
মাঝে মাঝে জীবনের গল্প বলতে হাজার শব্দ লাগে না। মাত্র অল্প কয়েকটা লাইন দিয়েই বলা হয়ে যায় পুরো গল্প। পরমানু অনু গল্প গল্প গুলো এমনই। ছোট গল্পের জগতে আপনাকে স্বাগতম ।
গল্প লেখা শুরু সেই ২০১১ সালে । সেখানে বেশ কিছু গল্প জমা হয়েছে ব্লগে । সেই গল্প গুলোই এখানে আস্তে আস্তে এনে জমা করা ইচ্ছে আছে । প্রত্যেকটা ভলিউমে ১০০ টা করে জমা করবো । অনেকের পড়া আছে গল্প গুলো যাদের পড়া নেই তারা পড়বেন আশা করে । আর যাদের পড়া আছে তারা আবার পড়েন । প্রত্যেক ভাগে আলাদা আলাদা গল্প স্পোস্ট দেওয়া হবে ।
এই বইয়ের গল্প গুলো যদিও আমিই লিখেছি কিন্তু এই থিম গুলো আমার নয় । আমার ইনবক্সে অনেকে অনেক সময় অনুরোধ করে তাদের নিয়ে গল্প লিখে দিতে । অনেকে নিজেদের কাহিনী শোনায় । সেই রকম কিছু থিম নিয়ে আমি এই কয়েকটা গল্প লিখেছি । সেগুলো এই ভালবাসা দিবস উপলক্ষ্যে প্রকাশ করলাম । সামনে আরও লিখবো যদি আপনার দেওয়া থিমটা আমার পছন্দ হয় ।
নীরা সামনে এগিয়ে গেলো। একজন স্যুট টাই পরিহিত ভদ্রলোক উহ্ অাহ্ করছেন! তাঁর হাত কেঁটে গেছে। গলগল করে রক্ত পড়ছে।রক্তে নীল স্যূটের বেশিরভাগই মাখামাখি।মেঝেতে পরে অাছে কিছু এলোমেলো কাগজপত্র। বেশিরভাগেই রক্ত! কিন্তু লোকটা কাটা হাত নিয়ে অাহাম্মকের মত ফাইল ঘেটে কিছু একটা গাড়ির অাশেপাশে খুঁজছেন! নীরা বিব্রত এবং বিরক্ত হয়ে এগিয়ে...
আমার বেশির ভাগ গল্প ছোট ছোট । তবে মাঝে মাঝে কিছু বড় বড় গল্প লিখেছি । সেই গল্প গুলোই এই বইতে এক পর্বে কিংবা কয়েক পর্বে পোস্ট করবো ! সব গুলো বড় গল্প আস্তে আস্তে এখানে এসে জমা হবে । পড়ার আমন্ত্রন রইলো ।
মাঝে মাঝেই ভুতের গল্প লিখি । এখানেই তেমনি কিছু গল্প যুক্ত হবে । কিছু পুরাতন গল্পও এড হবে যেগুলো আগে লিখেছি । গল্প বেশি বড় হয়ে গেলে দুই পর্বে নয়তো এক পর্বেই শেষ হবে প্রতিটি গল্প । রাফায়েল সিরিজের সমস্ত গল্প এখানে পাওয়া যাবে ।