৩৬

363 1 0
                                    

থার্ড ইয়ারের ক্লাস তখন প্রায় শেষ পর্যায়ে। সব কোর্সের সেকেন্ড মিড হয়ে গেছে। এক কোর্স ছাড়া বাদবাকি কোর্সের ক্লাস শেষ। আর এক সাপ্তাহ ক্লাস হবে। ফাইনালের ডেট দেয় নি যদিও তবে সম্ভবত তিন থেকে চার সাপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে ফাইনাল। ফর্ম ফিলাপ শুরু হয়ে গেছে ফাইনালের এর মধ্যে। বছরের শেষ সময়। আমরা যারা ক্লাসে অত মনোযোগি না আবার রেজাল্টও অত খারাপ করতে ইচ্ছুক না তারা বেশ পড়াশুনায় ব্যস্ত। আমার রেজাল্ট খারাপ না। তব সারা বছরের মনযোগি ছাত্র না। এই শেষ সময়ে তাই তাড়াহুড়া করে যতটুকু সম্ভব শেষ করা যায়। সাদিয়া ছাড়া বাকিদের অবস্থাও সেরকম। আমাদের মধ্যে সাদিয়াই ভাল ছাত্রী, বাকিরা আমার মত মাঝারি বা বলা যায় মাঝারিদের মধ্যে উপরের লেভেলের। আর এরকম তাড়াহুড়ার পড়ায় গ্রুপ স্টাডি বেশ কাজের। আর গ্রুপ স্টাডির জন্য সবাই যখন কলা ভবনের সামনের মাঠ বা টিএসসিতে ব্যস্ত তখন আমাদের আর ভাল জায়গা আছে। আমার বাসা। আমি ব্যাচেলর মানুষ পুরা এক বাসা নিয়ে থাকি আজিজ মার্কেটে। আর আজিজ মার্কেট প্রায় বলা যায় ব্যাচেলরদের তীর্থস্থান। এখানে বসবাসকারী লোকজন ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ব্যাচেলর বা পরিবার ছাড়া থাকে। আগেই বলেছি (পর্ব ২) যে আমার বাবা বেশ আগে লাভের আশায় ফ্ল্যাট কিনেছিলেন আজিজ মার্কেটের শুরুর দিকে। সে আশায় গুড়েবালি। মালিকনা সংক্রান্ত ঝামেলায় আর পরে বিক্রি করা হয়ে উঠে নি। ভাড়া দেওয়া হত। আমি ঢাকায় আসার পর আমিই থাকি। বাসায় কেউ থাকে না আমার সাথে। মাঝে মাঝে যদি সিলেট থেকে বাবা মা কেউ আসে তাহলে অন্য কথা। বুয়া এসে রান্না করে দিয়ে যায় তাই খাই। এরকম বাসায় আসলে গ্রুপ স্টাডি করার জন্য ভাল জায়গা। কেননা যত লিবারেল ফ্যামিলিই হোক না কেন বাংলাদেশে কোন মেয়েদের বাসায় ছেলে গিয়ে গ্রুপ স্টাডি করলে বাবা মা একটু খুত খুত করবেই। সেখানে এই জায়গায় কার কোন হস্তক্ষেপ নাই, কার বিব্রত হওয়ার ভয় নাই।
একদিন এরকম পড়াশেষে বিকাল বেলা মিলি আর জুলিয়েট উঠে যাচ্ছিল। ঐদিন আর কেউ আসে নি। আমরা তিনজন মিলে ম্যাথ প্রাকটিস করছিলাম স্ট্যাটের। আমিও ওদের সাথে নিচে নামলাম। দুপুর হয়ে গেছে। বুয়া আসে নি আজকে তাই বাইরে খেতে হবে। নামতে নামতে জুলিয়েট বলল তুই আমাদের সাথে চল। আমি বললাম আবার কোথায়। জুলিয়েট বলল গাউছিয়াতে। মিলির একটা জিন্সের প্যান্ট কিনেছে ঐটা নিচে কাটাতে হবে। মিলি বলল আরে ওকে নেওয়ার দরকার নাই। তুই গেলেই হবে। আমি বললাম একটা জিন্সের প্যান্ট কাটাতে এতজন যাওয়ার দরকার কি। জুলিয়েট মিলি কে একটা ধমক দিয়ে বলল, আরে চুপ কর। দরকার আছে। আর আমার দিকে তাকিয়ে বলল গাউছিয়া আর চাদনি চকের দোকানদার গুলো অসভ্য। একা কেউ গেলে গলা কাটা দাম রাখে আর না দিলে অপমান করে। চল একসাথে গেলে সমস্যা কম হবে। আমি আর কথা বাড়ালাম না। বেশ কয়েকদিন আগে এক মেয়ে গাউছিয়ায় একা কেনাকাটার সময় দরদাম করে না কেনায় বেশ অপমান করেছিল দোকানদাররা। পরে হলের ছেলেপেলে গিয়ে মার দেওয়ার মাফ চায়। আমি ভাবলাম বেশ কয়েকজন থাকলে সমস্যা কম হবে। আমি এইবার বললাম ক্ষুধা লাগছে আগে খেতে হবে। ঠিক হলো গাউছুল আজমের উপরের মামার দোকানে খাওয়া হবে। তারপর জিন্সের রিসাইজ।
গাউছুল আজমের দোতালায় খাওয়া দাওয়া শেষে ডলফিন গলির ভিতর দিয়ে গাউছিয়ার দিকে হাটা দিলাম সবাই মিলে। প্রথমে জিন্সের রিসাইজ। এই দোকান সেই দোকান করে এক দোকান ঠিক হল। তবে দোকানদার ১২০ টাকা নিবে। ৪০০ টাকার প্যান্টের রিসাইজ করাতে ১২০ টাকা অনেক টাকা। দরদাম করে ঠিক হলো ৬০ টাকা দেওয়া হবে। তবে ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘন্টা পরে আসতে হবে। আগের কাজের সিরিয়াল আছে। অন্য দোকানে যাওয়া যায় তবে সেখানে কেউ দাম কমাচ্ছে না। আমি অধৈর্য্য হয়ে গেলাম। এই দরদাম আর দোকানে দোকানে ঘুরা তার উপর আবার এক ঘন্টা অপেক্ষা করা। আর এদের এক ঘন্টা মানে অনেক সময় দেড় ঘন্টা। মিলি আমার অধৈর্য্য হওয়া দেখে বলল তুই তাহলে চলে যা। জুলিয়েট বলল তোর না আর কেনাকাটা আছে? মিলি একটু আস্তে করে বলল ঐটা তুই আর আমি মিলে করতে পারব। জুলিয়েট বলল তোদের যে কি সমস্যা। সব কিছু নিয়ে এত লুকোচুরির কি আছে। আমি বুঝলাম না কি নিয়ে কথা হচ্ছে। জুলিয়েট মিলি কে বলল এসব সবাই জানে আর এতে লজ্জার কিছু নাই যে লুকাতে হবে। আমি কথা কি নিয়ে হচ্ছে বুঝার জন্য ওদের কথা ফলো করতে থাকলাম। জুলিয়েট এবার দিকে তাকিয়ে বলল আজকে আমাদের সাথে থাক। তোকে অনেক কিছু শিখাবো। পরে কাজে লাগবে। দেখবি একদিন আমাদের ধন্যবাদ দিবি এই কারণে। হাটতে হাটতে গাউছিয়ার এই গলি ঘুপচির ভিতর দিয়ে জুলিয়েট আর মিলি এক তলা থেকে দোতালার দিকে হাটা দিল। আমি বললাম কি কিনবি। জুলিয়েট এবার বলল আন্ডার গার্মেন্টস। মিলি দেখি একটু লাল হয়ে গেল। কয়েক মিনিট হাটার পরেই আন্ডার গার্মেন্টেসের দোকান শুরু হয়ে গেল। কিছু দোকান খালি আন্ডার গার্মেন্টস বেচে আর কিছু অনান্য কাপড়ের সাথে আন্ডার গার্মেন্টস বেচে। এভাবে কখনো এই জায়গায় আসা হয় নায়। ছেলেদের আড্ডায় মেয়েদের আন্ডার গার্মেন্টেস নিয়ে নানা শীল অশ্লীল জোকস হয়। এই ব্যাপারে ছেলেদের কৌতুহলের শেষ নেই। তারপর বাংলাদেশের এই পরিবেশে মেয়েদের আন্ডার গার্মেন্টস একটা ট্যাবু। সবাই জানে এটার ব্যাপারে কিন্তু কোন প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়া যাবে না। বাকি ছেলেদের মত আমারো কৌতুহল আছে, আমি নানা সাময় নানা শ্লীল অশ্লীল আলোচনায় অংশ নিয়েছি মেয়েদের আন্ডার গার্মেন্টেস নিয়ে কিন্তু এই জায়গায় এসে কেন জানি একটু লজ্জা লজ্জা করতে লাগল। চারপাশের দোকান গুলোর অধিকাংশ সেলস ম্যান ছেলে। মেয়ে খুব কম, নেই বললেই চলে। ছেলেরা কি অবলীলায় কাস্টমার মেয়েদের বলছে, আপা নিয়ে যান। ভাল ব্রা প্যান্টী আছে। ভাল কাপড়ের। পড়ে আরাম পাবেন। বেশ অবাক করা কান্ড। এই মার্কেটের ভিতর যেন ট্যাবু নেই।
আমি লজ্জা লজ্জা চোখে আশেপাশে তাকাতে থাকলাম। সাপ্তাহের মাঝখানে ভর দুপুরবেলা। গরম পড়েছে প্রচন্ড। তাই আজকে সম্ভবত কাস্টমার কম। দোকানিরাও ভিতরের ভ্যাপসা গরমে হাসফাস করছে। বেশির ভাগ পাখা বা রুমাল জাতীয় কিছু দিয়ে নিজে নিজে বাতাস করছে। এর মধ্যে আমাদের দেখে অনেকেই হাকডাক দিচ্ছে দোকানে আসার জন্য। মিলি একবার এক দোকানের দিকে যেতে জুলিয়েট মানা করল। বলল তোকে আজকে একটা দোকান চিনিয়ে দিয়ে যাই। পরে নিজে আসলে এখানে আসিস। ভাল লোক। এখানে বেশির ভাগ দোকানের সেলসম্যানরা অসভ্য হয়। কেনার সময় ইংগিত পূর্ণ কথা বলে। আমি যে দোকানে নিচ্ছি সেখানের চাচা এমন না। চাচা চাচী দুই জনে মিলে দোকান চালায়। আমার পরিচিত অনেকেই এই দোকান থেকে কিনে। হ্যারাস হবি না আর দামও রিজেনেবল। চয়েস পাবি অনেক। দেশি বিদেশি অনেক ব্রান্ড আছে। আর এখানে ভাল কালেকশন আর ভদ্র দোকান এরকম দুইটার কম্বিনেশন আর পাবি না। আজকে চিনিয়ে দেই তোকে। হাটতে হাটতে এক চিপা গলির ভিতরে একদম শেষ মাথায় একটা দোকান। উলটা দিকে দোকান নাই সিড়ি। ভিতরে যথেষ্ট লাইটিং করা। অন্য দোকানের তুলনায় সাজসজ্জা ভাল মনে হল। নাম নাজ হোসিয়ারি। পুরান ধাচের নাম। দোকানে এক মধ্য বয়স্ক লোক বসে রয়েছে। জুলিয়েট ঢুকে বলল চাচা, চাচী কই? দোকানদার বলল আজকে কাস্টমার কম, গরম বেশি তাই চাচী চলে গেছে। আমি নিজেই সামলাই। জুলিয়েট আর মিলি দুই জনে দোকানে ঢুকল। আমি দরজার কাছে দাঁড়ানো। জুলিয়েট বলল চাচা বসার টুল নাই? একটা কাপড় অল্টার করাতে দিছি, সময় লাগবে। আপনার এখান থেকে কিছু জিনিস নিব আর অপেক্ষা করব। চাচা বলল তাইলে ভাল হইছে। এমনিতে এই সময় কাস্টমার নাই। একটু টয়লেটে যাওয়া দরকার আর নামায টা পড়ে আসতাম। আপনারা তাইলে বসেন। মিনিট বিশের মধ্যে আমি আসতেছি। আর আপনে তো সব সময় আসেন। দেখেন কি নিবেন। আসলে তখন টাকা দিয়েন। চাচা এই বলে বের হয়ে গেল ক্যাশে তালা মেরে।
আমি বললাম কিরে তোরে দেখি চাচা হেবি বিশ্বাস করে। জুলিয়েট বলল এই দোকানে আমরা দুই পুরুষ ধরে শপিং করি। আমি বললাম দুই পুরুষ মানে। জুলিয়েট বলল আমার মা খালারা শুরু করেছিল, এখন আমরা করি। আমাদের থেকে শুনে শুনে আর আমাদের রেফারেন্সে আমাদের কাজিনদের বন্ধুদের একটা বড় অংশ এই দোকানে আসে। সেই জন্য দোকানদার খুব পছন্দ করে। আম্মু আসলে কফি না খাইয়ে ছাড়ে না। জুলিয়েট যেভাবে নিজের আত্মীয় স্বজনদের আন্ডারগার্মেন্টস কেনার বৃত্তান্ত খুলে বসে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নাই। ওর মতে পরতে পারলে বলতে সমস্যা কোথায়। মাথার উপর একটা সিলিং ফ্যান আর সাইডে একটা স্ট্যান্ড ফ্যান ঘুরছে। দোকানের ভিতর তাই বাইরে থেকে ঠান্ডা বেশি। আমি দরজার থেকে ভিতরে এসে দাড়াই। জুলিয়েট আর মিলি বসা। মিলি মোবাইল টিপতে থাকে। জুলিয়েট বলল কি নিবি? মিলি আস্তে করে বলে চাচা আসুক তারপর বলব। জুলিয়েট বলল তোর এত লজ্জা ভাল লাগে না। আরে মাহি আছে সমস্যা কি। নাকি ও জানে না মেয়েরা আন্ডারগার্মেন্টস পড়ে। মিলি লাল হতে থাকে। আমি কথা অন্য দিকে ঘুরানোর জন্য বললাম, আমার লাভ কি? জুলিয়েট বলল কিসের লাভ? আমি বললাম আসার সময় বললি না আসলে লাভ হবে, পরে কাজ দিবে। জুলিয়েট বলে আচ্ছা। শোন, ছেলেদের আন্ডারগার্মেন্টস কয় রকম? নিজেই উত্তর দিল একরকম। আন্ডারওয়ার, তোরা অনেকে বলিস জাইংগা। যাই হোক ঐ ঘুরে ফিরে ব্রিফ, না হলে পুরতন স্টাইলের তিনকোণা আর না হলে হাফপ্যান্ট স্টাইল। আর মেয়েদের? মেয়েদের আছে হাজার রকমের? গার্লফ্রেন্ড বা বউ হলে এইসব জানলে কাজে লাগবে। কিনে নিয়ে যেতে পারবি। আমি বললাম গার্লফ্রেন্ডের খবর নাই আবার বউ। জুলিয়েট বলল হতাশ হইস না, তোর উপর আমার আস্থা আছে। আমি বললাম আরে রাখ আস্থা। ইউনি লাইফের অর্ধেক শেষ আর এখনো প্রেম করা হইলো না। জুলিয়েট বলল আরে প্রেম করা কি সব? আমি প্রেম করে কি সব পাইছি? প্রেম না করেও এখন কতকিছু পাচ্ছি। এইবলে চোখটিপ দিল। মিলি বলল কিরে চোখ টিপ দিলি কেন? জুলিয়েট কথা ঘুরিয়ে বলল, প্রেম করা অবস্থায় পাওলো কে কখনো এখানে আনতে পারি নাই কিন্তু দেখ মাহি প্রেম না করেও কীভাবে আমাদের সাথে চলে আসল। মিলি সায় দিল। বলল হ্যা প্রেম না করেও অনেক কিছু পাওয়া যায়। এই বলে আমার দিকে তাকাল। আমি মনে মনে ভাবলাম জুলিয়েট আর মিলির দুইজনের ডাবল মিনিং কথার অর্থ ওরা সম্ভবত একে অন্যেরটা ধরতে পারে নাই। আমি তাড়াতাড়ি প্রসংগ অন্য দিকে নেওয়ার জন্য বললাম আমাদের জ্ঞান দে এখন।
জুলিয়েট বেশ গম্ভীর গলা করে মাস্টার মাস্টার ভংগিতে বলল আজকের ক্লাসের বিষয়বস্তু মেয়েদের অন্তর্বাস। তোমরা নিশ্চয় জান মেয়েদের আর ছেলেদের অন্তর্বাসে ব্যাসিক ডিফারেন্স হচ্ছে ছেলেদের অন্তর্বাস ওয়ান পিস আর মেয়েদের অন্তর্বাস টু পিস। ছেলেদেরটা আন্ডারওয়ার বা বাংলায় জাইঙ্গা বলে পরিচিত। এর খুব বেশি রকমফের নেই। আমি হাত তুলে বললাম, ম্যাডাম ছেলেদের অন্তর্বাস সম্পর্কে আপনি এত জানেন কীভাবে? জুলিয়েট বলল, জানতে হয় বতস। পড়াতে হলে অনেক কিছু জানতে হয়। মিলি দেখি মুচকি মুচকি হাসছে। জুলিয়েটের সেন্স অফ হিউমার ভাল। ও সব জিনিস বেশ লঘু করে বলতে পারে। আমরাও তাই গরমে ফ্যানের বাতাস খেতে খেতে দোকান পাহারা দেওয়ার সাথে সাথে জুলিয়েটের অন্তর্বাস সম্পর্কিত লেকচার শুনতে থাকলাম। জুলিয়েট বলল এইবার আসা যাক মেয়েদের প্রসংগে। মেয়েদের উপরের অন্তর্বাস কে বলে ব্রা আর নিচের টা কে প্যান্টি। আমি আবার হাত তুলে বললাম বাংলায় কী বলে ম্যাডাম। মিলি দেখি আমার প্রশ্ন দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। জুলিয়েট বলল উপরের অংশ কে বলে বক্ষবন্ধনী, যেহেতু এটা মেয়েদের বক্ষ কে ঢেকে রাখার কাজে ব্যবহৃত হয় এই জন্য এটাকে বলে বক্ষবন্ধনী। এটা বলার সময় জুলিয়েট নিজের বুক দুই হাত দিয়ে ধরে সেদিকে ইংগিত করল। মিলির চোখ দেখি আর বড় হয়ে গেছে। জুলিয়েট এই তিন বছরে অনেক শকিং মোমেন্ট তৈরি করেছে কিন্তু নতুন কিছু করতে ওর কখনো উপাদানের অভাব পড়ে না। জুলিয়েট বলে চলছে, আর প্যান্টির বাংলা হচ্ছে যোনি বন্ধনি। মিলি কাশি দিল, আমি চোখ বড় করে বললাম কি?জুলিয়েট বলল হ্যা ঠিক শুনেছ ক্লাস, যোনি বন্ধনি। বক্ষবন্ধন করলে যদি বক্ষবন্ধনি হয় তাহলে যোনি কে রক্ষা করলে তো যোনি বন্ধনি হওয়া উচিত। আমরা ওর অকাট্য যুক্তির পর আর কথা বাড়ালাম না।
জুলিয়েট বলল ছেলেদের অন্তর্বাসে ভ্যারাইটি কম। মেয়েদের অনেক। মিলি বলল অনেক ভ্যারাইটি? জুলিয়েট বলল এই জন্যই তো আগে বললাম আমার সাথে আসলে অনেক কিছু শিখবি। বিয়ের পর জামাই কে অনেক কিছু দেখাতে পারবি আর বিয়ের আগে বয়ফ্রেন্ড কে। মিলি বলল তোর কথার শেষ নাই। জুলিয়েট বলল এইবার বতসরা মনযোগ দিয়ে শুন। ব্রা অনেক রকমের হয়। সামনে হুক থাকলে ফ্রন্ট হুক আর পিছনে থাকলে ব্যাক হুক। আগে ফ্রন্ট হুক ব্রা বেশি ছিল এখন ব্যাক হুক বেশি। অবশ্য পুরান স্টাইলের মত ফ্রন্ট হুক আবার ব্যাক করেছে। আমি বললাম মানে সোজা কথায় সামনে খোলা আর পিছনে খোলার উপায়, এই তো? জুলিয়েট বলল হ্যা ভাল করে মনে রাখিস। বউয়ের ফ্রন্ট হুকের ব্রা পিছনে খুলতে যাস নে। মিলি ফিচ করে হেসে দিল। জুলিয়েট বলল হাসিস না ছেলেরা যতই মেয়েদের পিছনে ছোক ছোক করুক আর ক্লাসে কার ব্রার স্ট্রাপ দেখা যায় আলোচনা করুক খুলতে দিলে দেখবি সব ভজঘট পাকাবে। জুলিয়েট বলল আজকাল অনেকে অবশ্য স্পোর্টস ব্রা পড়ে, আরামের জন্য। ওটাতে খুলাখুলির ব্যাপার নেই। গেঞ্জির মত পড়ে নিতে হয়। আমি হাত তালির ভংগি করে বললাম বাহ, বাহ। এটা হল প্রাথমিক ভাগ। আমি বললাম আর ভাগ আছে? জুলিয়েট বলল আর আছে। আর বহু ব্যবহার আছে। যেমন ধর যদি উচু বুক দেখাতে চাস তাহলে পুশ আপ ব্রা। এই বলে মিলির দিকে তাকিয়ে বলল তুই আজকে পুশ আপ ব্রা কিনিস, ভাল দেখাবে। মিলি আবার লাল। জুলিয়েট বলল এইবার প্যান্টির আলোচনায় আসা যাক। প্যান্টির এত খোলাখুলির সিস্টেম নাই। ডাইরেক্ট একশন একভাবেই। প্যান্টের মত নিচে টেনে নামাতে হবে। তবে ধর স্টাইলের কারনে নানা রকম হয়। যেমন ধর এক ধরনের আছে পুরা পাছা আর সামনের দিক ঢেকে রাখে, বেশ ফোলা ফোলা। বাংলাদেশে বেশির ভাগ দোকানে পাবি আর ভাল দোকানে গিয়ে মমস প্যান্টি বললে পাবি। জি স্ট্রিং আছে সি স্ট্রিং আছে। থং আছে। পর্ন দেখে নাম গুলা পরিচিত। তাই অবুঝের ভান করে প্রশ্ন করলাম এগুলা কি? জুলিয়েট বলল মামা চালাকি কইরো না। পর্ন দেখ আর এগুলার নাম জান না। না? আমি ধরা পড়ার পর কি করব বুঝলাম না। জুলিয়েট বলল পর্নে তো দেখছ এগুলা সামনে পুরা ঢাকা থাকে তবে পিছনে পুরা পাছার খাজে ঢুকে থাকে। আমি একবার কিনছিলাম পড়ে আরাম নাই। পোলাগুলা যে কেন খালি এটারে সেক্সি ভাবে, খালি পাছা দেখার চিন্তা। আর এই বাইরে ব্রা প্যান্টির মিশ্রণ ঘটিয়ে আর কয়েকরকমেrর আছে অন্তর্বাস। যেমন ধর হল্টার আর কোরসেট। এগুলা খুব বেশি মানুষ পড়ে না। তবে ধর যদি একটু উত্তেজনা আনতে চাস পড়তে পারিস। বুক থেকে পাছা পর্যন্ত এক কাপড়ে ঢাকা। হল্টারে ব্রাটা পুশ আপ। বুক উচু হয়ে থাকে। আর কোরসেটে কোমড় চেপে রাখে পাছা ফুলিয়ে দেয়। ধর মিলির মত কেউ হলে হল্টার পড়া ভাল। বুক উচু করে ধরবে। আর সাদিয়া বা ফারিয়ার মত কাউকে কোরসেট। আমি বললাম সাদিয়া? জুলিয়েট বলল ওকে খেয়াল করছিস। ফারিয়ার মত ফুলা না কিন্তু সেরকম বডি। শালী তো ঢেকে রাখে। ওর কোমড়ে চাপ দিলে পাছা পুরো ফুলে বের হয়ে আসবে। সেরকম হবে দেখতে। কল্পনা করে আমার ধন পুরা খাড়া। আর ধর নাইটির কথা তো জানিস। কেমিসোল আছে ধর গিয়ে সেটাও এক ধরনের নাইটি। আমি কিছু করতে চাইলে কিন্তু কেমিসোল পড়ব। আমার শরীরে মানাবে। আমি মজার করার জন্য বললাম সুনিতি? জুলিয়েট বলল একটা জি স্ট্রিং আর পুশ আপ ব্রা। শালীর উচু পাছার খাজে প্যান্টির লাইন ঢুকে থাকলে সেরকম লাগবে আর পুশ আপ ব্রা বুক উচু করবে। ওর যে ঘরোয়া লুক আছে না সেটাতে পুরা হট খাইয়ে দিবে। এরপর কথা আর আগালো না। মালিক এসে গেল। মিলি দুই সেট ব্রা প্যান্টি কিনল। খেয়াল করে দেখি পুশ আপ ব্রা। সেদিনের ঐ আলোচনা যে পড়ে আর অনেক দরজা খুলে দিবে তা কেন জানত।
সেই রাতে খেচার সময় কল্পনায় যেন সবাই আসল। প্রথমবারের মত সবাই একসাথে কল্পনায় ঘুরতে থাকল চোখের সামনে। জুলিয়েট কেমিসোল পড়ে। হালকা বাতাসে ওর কেমিসোল নড়ে যেন জানিয়ে দিচ্ছে নিচে কিছু নেই। ফারিয়ার বিকিনি স্টাইল। উফ দুধ যেন উপচে পড়ছে। পাছা যেন বের হয়ে আসতে চাইছে। বলছে আমাদের ধর। মিলির ছোট্ট বুক দুটো পুশ আপ ব্রার ভিতর থেকে উকি দিচ্ছে। প্যান্টির ভিতর গোপন বনের খবর উচু হয়ে জানান দিচ্ছে। সাদিয়া কোরসেট পড়া। কল্পনায় ওর বডি আনা সবচেয়ে কঠিন। কিন্তু আজকে তাও এসে গেছে। উফ দুধ উচু হয়ে আছে। আর পাছা যেন কাপছে হাটার সাথে সাথে। মনে হচ্ছে কাছে গিয়ে একটা চুমু খাই। আর সুনিতি? ওর ব্যাপারে জুলিয়েটের জি স্ট্রিং আর পুশ আপ ব্রায়ের কম্বিনেশন যেন মাথার ভিতর থেকে বের হচ্ছে না। ওর উচু পাছার ভিতর যেন ঢুকে যাচ্ছে জি স্ট্রিং এর দড়ি। কল্পনায় যেন কামড়ে দিলাম সুনিতির পাছা। আউফ করে উঠতেই পুশ আপ ব্রায়ে চাপ দিলাম। হাতে যেন কয়েকদিন আগের সেই নরম অনুভূতি ফিরে এল। সেই রাতে ওরা পুরো পাগল করে দিল। তিনবার খেচতে হয়েছিল শেষে। কে জানত জুলিয়েটের ক্লাস এত কিছু নিয়ে আসবে। কে জানত আর অনেক কিছু আসার বাকি।

বন্ধু (১৮+) - সাইমনWhere stories live. Discover now