২৪

362 1 0
                                    

জুলিয়েটের সাথে ঘটনার পর কয়েকদিন পুরা ঘোরে কাটালাম। কি হচ্ছে না হচ্ছে আশে পাশে তার খেয়াল নেই। মিলির ব্যাপারটাও মাথায় নেই তখন। এর মধ্যে কোথায় কি হচ্ছে তা পাত্তা দিচ্ছি না। মাথায় ঢুকছে না কিছু। জুলিয়েট একদিন ক্লাস শেষে বাসায় যাবার জন্য ভার্সিটির বাস ধরবে। আমি এগিয়ে দিতে গেলাম। ক্লাসের আর কয়েক জন ঐ রুটে যায়। সবাই কিছুক্ষণ গল্প করার পর বাস আসল। হুড়াহুড়ি করে বাসে উঠার জন্য সবাই দৌড় দিল। সিট বাসে দূর্লভ বস্তু। জুলিয়েট বাসে কিছু না বলেই উঠে গেল। জুলিয়েট এমন। কখন কি করে ঠিক নেই। আমি উলটা ঘুরে হাটা দিলাম। একটু দূরে যেতেই দেখি বাস পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে। জুলিয়েটের গলা শোনা গেল। চিতকার করে আমার নাম ধরে ডাকছে। মাহি, এ মাহি। তাকাতেই বলল কল দিস। আমি জোরে হ্যা বলে হাত নাড়াতেই আবার বলল স্কাইপেতে। আমি আবার হাসি দিলাম। এইভাবে সাপ্তাহে অন্তত দুই দিন স্কাইপে আড্ডা আর দিনের বেলা ঘোরের মাঝে চলাফেরা করতে করতে একমাস চলে গেল। সেকেন্ড ইয়ারের শেষের দিকে আমাদের একটা ফিল্ড ট্রিপ হয় সিলেটে। তিন দিন বা চার দিন থাকে। একাডেমিক কাজের সাথে প্লেজার ট্রিপ। ফিল্ড ভিজিটের সাথে সাথে ঘোরাঘুরি। এর মাঝে একদিন শুনি আগামী পরশু নাকি ফিল্ড ট্রিপ শুরু। ঘোরের কারণে কোন কাজ ভালভাবে করা হয় নি। তাই টাকা জমা দেওয়া হয় নি, অন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয় নি। দ্রুত ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানের পারমিশন নিয়ে শেষ মূহুর্তে টাকা জমা দিয়ে নাম লিখালাম। সবাই ট্রিপ নিয়ে উত্তেজিত আমার অবশ্য বিরক্ত লাগছিল। কারণ এই কয়দিন অন্তত স্কাইপেতে কথা বলার উপায় নেই।
ট্রিপের প্রথম দিন সকাল বেলা রওনা দিয়ে দুপুরের দিকে সিলেট পৌছালাম। যে হোটেলে থাকার কথা সেখানে উঠে ফ্রেস হয়ে দুপুরের খাবারের পর বিকালে যে যে যার যার মত ঘুরতে বের হল। আমরা সবাই একসাথে বের হলাম। সাদিয়া মাজারে যাবে তাই যাওয়া হল। পরে সবাই কেনাকাটার জন্য ঘোরাঘুরি করল। মনিপুরি জিনিসপত্র কিনল। আমি বাসার সবার জন্য টুকটাক জিনিসপত্র কিনলাম। এদিকে বেড়াতে এসে খালি মেয়েদের সাথে ঘোরার জন্য রাতে রুমে ফিরে বাকি ছেলেদের ভালো একটা টিজ খাওয়া লাগল। পাত্তা দিলাম না।
পরের দিন প্রথমে সকালে ফিল্ড এক্টিভিটিস আর এরপর বিছানাকান্দি ভ্রমণ। সকাল সাতটায় বাস ছাড়ল। ফিল্ডে পৌছে কাজ করতে করতে বেলা একটা প্রায়। এরপর ছুটি। ছেলেপেলে পানিতে নামবে। নামব না নামবা না করেও শেষ পর্যন্ত নেমে গেলাম। পানিতে ঝাপাঝাপি দাপাদাপি ভাল পরিমানেই হল। বর্ষা মোটে শেষ তাই পানি ভাল পরিমানে আছে। স্রোত আছে তবে খুব বেশি না। সাতার জানি তাই অন্যদের মত তীরে না থেকে বেশ সাতার দিলাম। একটু পরে সবাই বেশ ছাড়াছাড়া হয়ে গেল। যে যে যার যার মত বা গ্রুপে পানিতে দাপাদাপি করতে থাকল। বেশ ঠান্ডা পানি। বেশ পরিষ্কার। নিচের পাথর বোঝা যায়। আমাদের গ্রুপের বাকিরা আর ক্লাসের আর কয়েকজন সহ পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে। আমিও কিছুক্ষণ গ্রুপের বাকিদের সাথে পানিতে দাপাদাপি করলাম। এর মধ্যে পানিতে সবার জামা কাপড় ভিজে লেপ্টে গেছে। খেয়াল করলাম ভেজা কাপড়ে সবার শরীরে কাপড় চামড়ার মত লেগে আছে। অবয়ব বোঝা যাচ্ছে সবার। সবাই ঝাপাঝাপিতে ব্যস্ত, কেউ কার দিকে তেমন খেয়াল করছে না। সাজ্জাদ আর শায়লা একটা বল নিয়ে ঝাপাঝাপি করছে। বল নিয়ে খেলতে গিয়ে সাজ্জাদের হাত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করছে। শায়লা ব্যাপারটা খেয়াল করছে বা করলেও কিছু মনে করছে বলে মনে হয় না। আশেপাশে তাকিয়ে দেখি আমাদের গ্রুপের মেয়েরা আর শায়লা সাজ্জাদ ছাড়া বাকিরা বেশ দূরে। তাকাতেই দেখি ফারিয়া, সুনিতি, সাদিয়া, মিলি আর জুলিয়েট মিলে সাতার কাটার চেষ্টা করছে। আসলে সাদিয়া ছাড়া বাকিরা কেউ সাতার জানে না, পানি কম তাই সাতার কাটার একটা চেষ্টা করছে। হাত পা ছেড়ে ভেসে থাকার চেষ্টা করতে গিয়ে ঢুবে যাচ্ছে আবার ভেসে উঠছে, সাদিয়া আবার টিপস দিচ্ছে কিভাবে ভেসে থাকতে হবে। আমি একটু কাছে যেতেই সাদিয়া বলল দেখ গাধা গুলা একদিনেই সাতার শিখে ফেলতে চায়। একদিনে কি সাতার শেখা যায় বল? উত্তর না দিয়ে আমিও এই সাতার শেখানোর মিশনে যোগ দিলাম। জুলিয়েট প্যান্ট আর শার্ট পরা। ফারিয়া, মিলি আর সুনিতি সালোয়ার কামিজ আর সাদিয়া স্বভাবসুলভ বোরকা। পানিতে ভিজে সবার ড্রেস গায়ের সাথে লেগে আছে। এমনিতেই জুলিয়েটের সাথে স্কাইপে তে সেক্স চ্যাটিং হচ্ছে না তাই মাথা গরম। এখন পানির মাঝে সবার অবস্থা দেখে আমার তখন আসলে পুরা চমকানোর মত অবস্থা। এতদিনে মিলি বা জুলিয়েটের সাথে যাই হোক না কেন পুরো গ্রুপের এরকম অবস্থা এই প্রথম আমার জন্য। একেতো পানিতে ভিজে কাপড় লেগে আছে গায়ের সাথে আবার সেইদিকে বাকিদের কোন খেয়াল নেই। সবাই যার যার মত মজা করছে। মাথার ভিতর খালি দুষ্ট চিন্তা নড়াচড়া করে উঠছে।
ফারিয়া হচ্ছে ক্লাসের মামুনের ভাষায় ক্লাসের সবচেয়ে হট এন্ড সেক্সি মেয়ে আর খাটি বাংলায় বললে পুরা মাল। পাঁচ পাঁচ হাইটে গায়ে সামান্য ফ্যাট। ঠিক মোটা বলা যাবে না বরং এই বেবি ফ্যাট যেন শরীরে আর আগুন যোগ করে দিয়েছে। আজকে কামিজ যেভাবে শরীর জড়িয়ে আছে ফিগার আর বোঝার কিছু বাকি নেই। ঝাপাঝাপিতে কামিজ উপরে উঠে সালোয়ার স্পষ্ট। আর সালোয়ারের ভিতর আগুন আর স্পষ্ট। ভিজে কাপড় পাছার ফাকে আটকে আছে আর পুরা পাছা যেন আগুন হয়ে বোঝা যাচ্ছে, এমন কি ভিতরে প্যান্টিও কাপড়ের ভিতর থেকে বোঝা যাচ্ছে। আর উড়না কোমড়ে বাধা তাই উপরে ফোলা বুক স্পষ্ট। মনে হচ্ছে জামার ভিতর থেকে যেন ডাকছে। মিলি উড়না কাধ থেকে ক্রস করে কোমড়ের কাছে বেধে রেখেছে তাই ঠিক ভাল ভাবে বুঝা না গেলেও কাপড় গায়ে লেগে থেকে একটা আলো আধারির খেলা তৈরি করছে। আর ভিজে কাপড়ে কিউট পাছাটা পরিষ্কার। সুনিতির বুক অত বড় না হলেও পাছা যথেষ্ট বড়। আগেও বলেছি সুনিতি গুরু নিতম্বিনি। ছোট বুক আর বড় পাছা মিলে ওর এক অদ্ভুত সমন্বয়। অন্য সময় বেশ আড়াল করে রাখলেও আজকে ভিজে কাপড়ে ওর পাছা লুকানোর উপায় নেই। মনে হচ্ছে ধরে কামড়ে দিই। আর সাদিয়া? ওর ব্যাপারটা পুরা বিস্ময় হিসেবে ধরা দিল আমার কাছে। আজকে ও পরে আসছে হাটু পর্যন্ত এক ধরনের তার্কিশ বোরকা পাওয়া যায় সে রকম বোরকা। সম্ভবত পানিতে ভিজবে তাই। নিচে প্যান্ট পরা। পানি বোরকা কে গায়ের সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে একবার ফারিয়া ওকে কোমড়ের কাছে ঝাপটে ধরে পানিতে ফেলার চেষ্টা করছিল তখন বোরকা শরীরের সাথে এমন ভাবে লেপ্টে গেল যে প্রথমবারের মত বুঝতে পারলাম জুলিয়েট যে মাঝে মাঝে ক্ষেপানোর জন্য বলে কি যে লুকিয়ে রেখেছ মামা সেটা মিথ্যা না। এত কাপড়ের ভিড়ে এতটুকু অন্তত বোঝা গেল আর যাই হোক সাদিয়ার বুক আর যাই হোক অন্তত ছোট কিছু নয়। পাছাও ফারিয়া বা সুনিতির মত বড় না হলেও খুব খারাপ হবে না। এই নতুন আবিষ্কার একটা ধাক্কা দিল। কারণ গ্রুপের বাকিদের সম্পর্কে যাই ভাবি না কেন সাদিয়া সম্পর্কে অন্তত কিছু ভাবি নি। আজকে মনে হল বাকিদের মত ও একজন। এই বোরকার ভিতর আরেকটা মানুষ আছে যাকে জানা দরকার। তবে ভড়কে দিল জুলিয়েট।
অন্যদের থেকে আমাকে ভাল পড়তে পারে জুলিয়েট। আর ওর দৃষ্টি প্রখর, এমন সব জিনিস খেয়াল করে যা অন্যদের চোখ এড়িয়ে যায়। আমি যে এই ঝাপাঝাপির মাঝেও অন্যদের কে দেখছি এটা ওর চোখ এড়াল না। আস্তে করে আমার পাশে সরে এসে বলল কি দেখিস। আমি খেয়াল করি নি কখন জুলিয়েট আমার পাশে চলে এসেছে। তাই চমকে গেলাম। বললাম কিছুই না। জুলিয়েট বলল মিথ্যা বলবি না একদম। বল কি দেখিস। আমি পালটা ঝাড়ি দিলাম। বললাম বেশি বুঝিস না। জুলিয়েট বলল তুই খারাপ হয়ে গেছিস। আমি ক্ষেপে গেলাম, বললাম খারাপ কি করলাম। জুলিয়েট বলল দেখ আমি বুঝি। পানিতে সবার কাপড় লেপ্টে গেছে আর তুই সবাই কে দেখে এই অবস্থায় পাগল হয়ে গেছিস। এই বলে মুচকি হাসতে লাগল। ধরে পরে তখন আমার লাল হবার দশা। এটাক ইজ দ্যা বেস্ট ডিফেন্স। তাই আমি বললাম সব তোর দোষ। তুই স্কাইপেতে আমার অভ্যাস খারাপ করে দিছিস। এখন না চাইলেও চোখ চলে যায়। জুলিয়েট বলল তাহলে আমাকে দেখ। আমি বললাম তোকে কিভাবে দেখব। পড়েছিস জিন্সের মোটা শার্ট আর ঢোলা প্যান্ট। সব কি আর ওদের মত বুঝা যায়। স্বভাবসুলভ ভাবে জুলিয়েট এইবার বোম ফাটাল। সব কি উপর থেকে বোঝা যায়, কিছু জিনিস ভিতরে থাকে। এই বলে কানের কাছে এসে বলল ভিতরে আজকে কিছু পরি নি। বুঝছিস। ওর কথা বুঝতে বুঝতে এল দ্বিতীয় চমক। কোমড় পানিতে দাড়ান আমরা। হঠাত পানির ভিতর দিয়ে প্যান্টের উপর হাতের অস্তিত্ব টের পেলাম। একটা জোরে চাপ দিল। আমি অবাক হয়ে তাকাতেই জুলিয়েট একটা মুচকি হাসি দিল। বলল এটা পুরষ্কারের ট্রেইলার। সময় মত পুরষ্কার পাবি। এত অবাক হয়েছিলাম সেদিন যে আর পুরষ্কার কোন প্রশ্ন করতে পারি নি।
সেদিন বিছানাকান্দি থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে বিকালের দিকে সবাই মিলে গেল রাতারগুল। নৌকায় চড়া, ওয়াচ টাওয়ারে ছবি তুলা সব হল। এর মধ্যে সন্ধ্যার সময় বাস ছাড়ার আগে দেখা গেল চাকা পাংচার। সেই চাকা ঠিক করতে করতে প্রায় ঘন্টা খানেক লেগে গেল। এদিকে শুরুতে ছেলে মেয়ে সবাই মিলে গোল হয়ে গান গাইলেও একটু পরে সব ক্লান্ত হয়ে গেল। এমনিতেই সকালে বের হয়ে ফিল্ড ট্রিপে কাজ করতে হয়েছে তারপর পানিতে ঝাপাঝাপি করে যথেষ্ট এনার্জি গেছে। তাই রাত আটটায় যখন বাস ছাড়ল তখন সবাই দারুণ ক্লান্ত। বাস ছাড়তে প্রায় সব ঘুম বা ঝিম মেরে গেল। খালি বাসের সিডি প্লেয়ারে আতিফ আসলাম বাজতে থাকল। আমার পাশে এসে বসল মিলি। আসলে আর অন্য জায়গা খালি ছিল না ও উঠেছে পরে তাই আমার পাশেই বসতে হল। সোহরাওয়ার্দীর উদ্যানের ঘটনার পর মিলি আমাকে এভোয়েড করার চেষ্টা করে আগেই বলেছি। কলা ভবনের ঘটনার পর ও আর মিইয়ে গেছে আমার সামনে। সবাই সামনে থাকলে নরমালি বিহেভ করে কিন্তু অন্য কেউ না থাকলে যত কম পারা যায় কথা বলে। তাই আজকে বাসে আমার পাশে বসতেই দুই জনেই বেশ অস্বস্তিতে থাকলাম।
মিলিই কথা শুরু করল। ট্যুর নিয়ে নরমাল কথাবার্তা। কেমন লাগছে, পরে কই যাব, কি দেখার আছে ইত্যাদি। পাশ দিয়ে চলে যাওয়া গাড়ির হেড লাইটের আলোতে গাড়ির ভিতর টা মাঝে মাঝে আলোকিত হয়ে উঠছে তারপর আবার অন্ধকার। হঠাত হঠাত আসা আলোতে মিলি কে অপ্সরীর মত মনে হচ্ছিল। মাথার ভিতর আগে বাসে ঘটে যাওয়া ঘটনা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘটে যাওয়া ঘটনা, কলা ভবনের সামনে হওয়া কথা সব ঘুরছিল। ভাবতে ভাবতে মনে হল মিলিও আমার মত কনজারভেটিভ মিডল ক্লাস থেকে আসা মফস্বলের মেয়ে। মনে যাই থাক ওর ভিতরে থাকা সমাজের ভয় ওকে তা প্রকাশ করতে দিবে না। তাই কাউ কে না কাউকে এই ভয় ভাংগতে হবে। তাহলে আমিই কেন তা হই না। মিলি কে তাই জিজ্ঞেস করলাম মিলি তোর কলা ভবনের সামনে আমি কি বলেছিলাম মনে আছে? আমার প্রশ্নে মিলি চমকে গেল বুঝা গেল কারণ ওর কথা থেমে গেছে। কি বলবে ও হয়ত বুঝছে না, আমি সরাসরি এই কথা বলব ও হয়ত ভাবে নি। আমি বলে চললাম, তোর বয়ফ্রেন্ড তোকে ফেলে চলে গেছে কারণ দেখিয়েছে তুই পানসে। তোর মধ্যে উত্তেজনা নেই। গাধাটা যাই বলুক আমি জানি তোর মাঝে কি আছে। তুই দেখিয়েছিস সেই ঝড়ের রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। তোর মধ্যে প্যাশন আছে। তুই লুকিয়ে রাখিস তাই কেউ দেখে না। আমি দেখিছি। সেই সময় তোকে যা লাগে তুই কল্পনাও করতে পারবি না। তুই লুকিয়ে রাখিস না তোর ভিতরের মানুষটা কে। দেখিস তখন কেউ তোকে পানসে বলে চলে যেতে পারবে না। আমি বললাম আমি সত্যিই তোকে দেখলে মনে হয় তোর ঘাড়ের কাছটা চেটে দিই। কান টা কামড়ে দিই। আলো আধারিতে দেখা সেই বোটা দুটো মুখের ভিতর পুরে দিই। দুই হাতে তোর বুক ধরি। প্যান্টের ভিতর লুকিয়ে রাখা তোর গুদে মুখ দিই। জঙ্গগ সরিয়ে দখল করি তোর গুদের। তোর গুদের গন্ধ এখনো নাকে এসে লাগে আর আমি পাগল হয়ে যাই। তোর ঘামের গন্ধ আমার মাথা খারাপ করে দেয় তুই জানিস। বলতে বলতে দেখি রাস্তা থেকে আসা আলোতে মিলির নাকের পাটা ফুলছে। আমাদের পাশের রো তে দুই সিটে ফারিয়া আর সাদিয়া ঘুম। তাই আমি নিশ্চিন্তে বলি তোর নাকের উপর জমা ঘাম আমি চেটে পরিষ্কার করে দিতে চাই। ভাব কেমন লাগবে এই জিহবা টা তোর চামড়ায়। তোর পেটে আমি দাতের দাগ দিয়ে জায়গা দখল করব। মিলি যেন কেপে উঠে, আলো আধারিতে আমি ভাল ভাবে বুঝে উঠতে পারি না। হঠাত করে আমার কোলের উপর মিলির হাতের অস্তিত্ব টের পাই। আমার যে অনুমতির দরকার ছিল আমি সেটা পেয়ে গেছি টের পাই।
আমার হাত আস্তে আস্তে কামিজের সাইড দিয়ে ঘোরা ফেরা শুরু করে। মিলির শরীর থেকে আসা উষ্ণতা যেন টের পাই। অন্ধকারে ওর বুকটা চেপে ধরতেই মিলি যেন উফ করে উঠে। আমার হাত আস্তে আস্তে নেমে ওর পেটের উপর ঘোরাফিরা করতে থাকে কাপড় সরিয়ে আস্তে করে ওর পেটের নরম চামড়া খামচে ধরে। আমার রানের উপর মিলির হাত চাপ দিয়ে ধরে। আমি বুঝি বাধ আবার ভেংগে যাচ্ছে। ওর নাভির উপর আংগুল বুলাতে বুলাতে মাঝে মাঝেই মুঠ করে ওর পেটের মাংস ধরি। প্রত্যেকবার যেন মিলি কেপে উঠে। ওর হাত আমার রানের উপর ঘোরাফেরা করে। মিলি ওর চাদরটা ভালভাবে মেলে ধরে যেন কেউ বুঝতে না পারে। কেউ দেখে ফেলতে পারে এটা যেন আমার উত্তেজনা আর বাড়িয়ে দেয়। আমার হাত আস্তে আস্তে ওর প্যান্টের ইলাস্টিকের ভিতর দিয়ে ভিতরে রওনা দেয়। প্যান্টির বাধা সরিয়ে ঘন জংগল অতিক্রম করে কাংখিত গুদের দেখা পায়। গুদের উপরের চামড়া দুই আংগুলের মাঝে নিয়ে চাপ দিতেই মিলি যেন ককিয়ে উঠে। আমি মাথাটা আস্তে ডানে সরিয়ে ওর কাধে একটা কামড় দিই। চমকে মিলি উঠে বসতে চায় কিন্তু ওর গুদের চামড়া আমার আংগুলের মাঝে তাই টান লাগে মিলি আবার ককিয়ে উঠে। আংগুল দিয়ে ওর গুদের উপর ম্যাসেজ করে দিতে থাকি। মিলি যেন শান্ত হয়ে আসে। আবার দুই আংগুলের মাঝে নিয়ে চামড়াতে টান দিতেই মিলি উফ করে উঠে। ওর শব্দ, ঘামের গন্ধ, বাসের অন্ধকার, কার কাছে ধরা পরার ভয় সব মিলিয়ে যেন উত্তেজনা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। আমি মুঠ করে মিলির গুদ ধরার চেষ্টা করি। মিলি আহ করে নরে বসে। আমি আস্তে করে বলি মিলি এই তোকে দেখলে কেউ আর পানসে বলবে না। আমি জানি তোর ভিতরে কি লুকিয়ে আছে। মিলি আমার রানের উপর হাত দিয়ে চাপ দিয়ে যেন সেই কথার সায় দেয়। এইভাবে সারা রাস্তা আমাদের গোপন খেলা চালাতে চালাতে হোটেলে ফিরে আসি আমরা। রুমে এসে আংগুলের গন্ধ শুকতে শুকতে এই স্টাডি ট্রিপের যেন অন্য মানে পাই আমি।

বন্ধু (১৮+) - সাইমনOnde histórias criam vida. Descubra agora