১৪

398 1 0
                                    

আস্তে আস্তে ছুটি শেষ হয়ে গেল। ক্লাস শুরু হল সেকেন্ড ইয়ারের। প্রথম দিকে ক্লাসের গতি কম থাকে। স্যার ম্যাডামরাও অত তাড়া দেন না। বাড়ি থেকেও ক্লাসের সবাই ফেরত আসে নি। তাই ক্লাস আর পড়াশুনা যতটা হয় তার থেকে বেশি হয় গল্প। মিলি আর সাদিয়া চলে এসেছে। সুনিতিও এখন নিয়মিত। তাই আড্ডা টা আবার বেশ জমজমাট। তবে অন্যদের চোখে পরল কিনা জানিনা তবে আমার মনে হল মিলির ভিতর কোথাও কোন একটা পরিবর্তন হয়েছে। আগের সেই শাইনেস টা অনেকটাই নাই। কথার উত্তরে বেশ পালটা কথা বলছে। আগে জামা কাপড়ে একটা মফস্বল মফস্বল ভাব ছিল। ওর কালার কম্বিনেশন দেখলেই ফারিয়া আর সুনিতি বলত তুই খালি বুড়াদের কালার পরিস কেন। আজকাল মিলি দেখি বেশ কালারফুল জামা পড়ছে। সবমিলিয়ে সুক্ষ কিন্তু একটা বেশ ভাল পরিবর্তন এসেছে মিলির। এর মধ্যে ফারিয়া, জুলিয়েট আর আমার মাঝে একটা ইন্টিমেসি গড়ে উঠল। আমরা নিজেদের মাঝে এমন জিনিস শেয়ার করা শুরু করলাম যা হয়ত অন্যদের সাথে করতাম না। আসলে ঐদিন সন্ধ্যার পর থেকে আমাদের নিজেদের মধ্য ট্রাস্ট আর শক্ত হয়েছে। সুনিতি একটু আজকাল গম্ভীর থাকে। আসলে বাসার চাপ সামলে বেচারা বেশির ভাগ সময় হাপিয়ে উঠে। সাদিয়ার পরিবর্তন টাও বেশ দৃশ্যমান। আগে যেখানে শালা শব্দটাই বললে চোখ পাকাত আজকাল সেখানে এর থেকেও ডেঞ্জারাস শব্দে কিছুই হয় নি বা শুনে নি এমন ভাব নিয়ে বসে থাকে। সুনিতি একদিন হাসতে হাসতেই বলল কিরে সাদিয়া হুজুর থেকে তো ডিস্কো হুজুর হয়ে যাচ্ছিস। আর আমার কথা? সাদিয়া তো অইদিন বলেই দিল খুব তো মেয়েদের সাথে কথা বলা শিখছিস। আগে তো আমাদের সাথে গল্পে সারাদিন মেপেমেপে কথা বলতি। আসলে গত এক বছরে সবার মাঝেই অল্প বিস্তর পরিবর্তন এসেছে।
সেকেন্ড ইয়ারে তিনটার পর ক্লাস নেই। মিলির বিকেলে টিউশনি আছে বলে বিকেলে অকে আর পাওয়া যায় না খুব একটা। সুনিতি আর ফারিয়া বাসায় চলে যায়। সাদিয়ার হলে সিট হয়েছে আর দু্পুর বেলা তার ভাত ঘুম দিতে হলে যাওয়া চাই। তাই বেশির ভাগ সময় থাকি শুধু আমি আর জুলিয়েট। মাঝে জোর করে সাদিয়া কে ধরে রাখে জুলিয়েট। মাঝে মাঝে আর পারে না। তখন সাদিয়া কে বলে যা যা নিরামিষ। হলে গিয়ে ঘুম দে। সাদিয়া উত্তর দেয় আসছে আমার আমিষ। বাসের টাইম হলে তো তুইও ভাগিস। বাসা কাছে হলে দেখতাম কত থাকিস। সন্ধ্যার পর মাঝে মাঝে টিউশনি শেষে হলে যাওয়ার সময় মিলি লাইব্রেরির সামনে আড্ডা দিয়ে যায়। সাদিয়া সন্ধ্যার দিকে বের হয় কালে ভদ্রে। এইভাবেই আমাদের সেকেন্ড ইয়ারের আড্ডার দিনলিপি চলছিল।
বিকেল বেলা জুলিয়েটেরে বাস পাঁচ টায়। তাই প্রায় দিন তিনটা থেকে পাচটা পর্যন্ত আমি আর জুলিয়েট ছাড়া কেউ থাকত না। ফলে আমাদের আড্ডা হত নানা বিষয়ে। ক্লাস থেকে ক্লাসমেট, রাজনীতি, সিনেমা, ধর্ম, প্রেম ভাব ভালোবাস কিছুই বাদ যেত না। অন্য ডিপার্টমেন্টের এক মেয়েকে আমার বেশ ভাল লাগত। অনন্যা নাম। জুলিয়েটের ভাষায় বেশি হট। তোর দৌড়ের বাইরে। আসলে ঘটেছিলও তাই। অনন্যা প্রেম করতে ওদের ডিপার্টমেন্টের সজল ভাইয়ের সাথে। ভার্সিটি ফুটবল টিমে খেলে, ভাল ছাত্র। ডিবেট করে। যাকে বলে টল ডার্ক হ্যান্ডসাম। জুলিয়েটের ভাষায় আমি সজল ভাই কে দেখি তুই অনন্যা কে দেখ। আমাদের দুই জনেরই প্রেম আছে (আমার কাল্পনিক প্রেমিকার কথা গ্রুপের বাকিরা বিশ্বাস করত) তাই এটা নিয়ে কথা উঠলেই জুলিয়েট বলত আরে আমরা তো খালি দেখি। দেখতে সমস্যা নাই। তুইও দেখ আমিও দেখি। ক্রাশ, বুঝলি ক্রাশ। একদিন বিকেলের দিকে সোরওয়ার্দী উদ্দ্যানের ভিতরে সজল ভাই আর অনন্যা কে কিস করতে দেখে আমাদের দুই জনের ক্রাশ ক্রাশ খেল।
সেইদিন বিকেলে আমাদের দুই জনের মন খারাপ। যদিও ক্রাশ তাও মনে মনে একটা ভাললাগা ছিল। অন্যের দখলে যেতে খারাপ লাগে। জুলিয়েট এই নিয়েই কথা শুরু করল। নানা কথা বলতে বলতে ও কিসে গিয়ে পরল। বলল খেয়াল করেছিস কিভাবে কিস করছিল। বিকাল বেলা সোরওয়ার্দীর এই পার্টে লোক নাই প্রায়। তাই মনে হচ্ছিল সজল ভাই অনন্যা কে খেয়ে ফেলবে পুরা। জুলিয়েট বলল অনেকদিন কেউ কিস করে না রে। আমি বললাম কেন, পাওলো ভাই কি করে। বলে আরে ও ব্যস্ত। পরীক্ষা ফাইনাল ইয়ারের সামনে। তাই দেখা হয় না। পরীক্ষার সময় দেখা হলে মনযোগ বলে পরীক্ষা থেকে চলে যাবে। আর আজকাল তো কিসও করতে চায় না। বলে পরে পরে। বুঝছিস পিরিয়ড রেগুলার হওয়ার জন্য ডাক্তার আমাকে একটা ঔষধ দিয়েছে। এটার সাইড এফেক্টে সারাদিন না হর্নি থাকি। জুলিয়েটের মুখে তেমন কোন কথা আটকায় না আর ঐদিনের পর আমার সামনে থাকলে মনে হয় আর কিছুই আটকায় না। বলল আজকে কিস করতে দেখে না পুরা বুকে কেমন করল। দুই পায়ের মাঝে মনে হল যেন শির শির করছে। কিস দেখে যা মাথায় এসেছিল জুলিয়েটের কথায় সব যেন তাল পাকিয়ে গেল। আমি বললাম হর্নি থাকিস মানে কি। বলল হর্নি মানে বুঝিস না শালা। আমি বললাম বুঝি কিন্তু সেটা কি ঔষুধের সাইড এফেক্ট? বলল হ্যা আমার ঔষধের সাইড এফেক্ট এটা। আমি বললাম অসস্তি লাগে না। বলল হ্যা। সারাদিনে কয়েকবার মাস্টারবেট করতে মন চায়। মনে হয় খেচি। আমি একটু গলা খাকরি দিলাম। বলল এত ভদ্র সাজিস কেন। তুই খেচিস না? আমি হ্যা না কিছুই বললাম না। জুলিয়েট বল সত্যি করে বল তো অনন্যা কে দেখে কয়বার মাল ফেলছিস। আমি বললাম কি হইছে তোর। জুলিয়েট বলল সজল ভাই আর অনন্যা কে কিস করতে দেখে হর্নি হয়ে গেছিরে। প্রায় ফিস ফিস করে বলা জুলিয়েটের কথায় এমন কিছু একটা ছিল যাতে হঠাত করে দুই পায়ের মাঝে ঘুমিয়ে থাকা কেউ মনে হয়ে জেগে উঠল। জুলিয়েট বলল বিদেশ থেকে কাজিন এসেছে বেড়াতে তাই আমার সাথে রুম শেয়ার করছে গত দুই সাপ্তাহ। রুমে মাস্টারবেট করার উপায় নেই। বাথরুমেও করা হয় নি গত সাপ্তাহে। আর শালার ঔষধ খালি পায়ের মাঝে শিরশিরানি বাড়িয়ে দেয়। এই বলে এমন একটা মুখ করল না মনে হল প্যান্টের ভিতর ফেটে পেনিস পারলে বেরিয়ে পরে।
আমরা বসেছিলাম চারুকলার পুকুর পাড়ের কোনায়। আশেপাশে তেমন লোক ছিল না। দূরে রাস্তা দিয়ে মাঝে মাঝে কেউ আসা যাওয়া করছে। মনে হচ্ছিল আমি আর জুলিয়েট ছাড়া কেউ নেই। আর যৌনাবেগ আপনার সংকোচ একধাপে অনেক কমিয়ে দিতে পারে। হঠাত করে কি মনে হল, বললাম দুই পায়ের মাঝে কোথায় শিরশির করেরে জুলি। জুলিয়েট প্রায় ফিস ফিস করে বলল শুনতে চাস। আমি মাথা নাড়ালাম। বলল আমার পুসিতে। বলল তুই শাল খারাপ কথা শুনতে চাস না, ভাল মানুষ সেজে আমার মত অবলা মেয়ের মুখ দিয়ে খারাপ কথা বের করতে চাস। আমি বললাম হ্যা। জুলিয়েট একটু হেসে বলল তোর কি অবস্থা। জীবনে যা করিনি তাই যেন করলাম। বললাম আমার বাড়া টা ক্ষেপে গেছে। খেচা দরকার, রিলিজ দরকার। জুলিয়েট যেন আর লাল হয়ে গেল বলল আর বল। ঠিক এই সময় একটা ফোন আসল জুলিয়েটের। পাওলোর ফোন। দশ মিনিট ধরে কথা হল ওদের। কিছু নিয়ে কথাকাটি হল। ফোন রেখে জুলিয়েট বলল মুড নেই। চল আজ কে যাই। বাসেরও সময় হয়েছে। তবে রাতে বিকালের কথা ভাবতে গিয়ে বুঝলাম আমি আর জুলিয়েট আরেকটা বাধা না বুঝেই ভেংগে ফেলেছি।

বন্ধু (১৮+) - সাইমনTempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang