১৮

375 1 0
                                    

জুলিয়েট আর আমার এই ফ্যান্টাসি খেলার শুরুর এক মাস আমার স্মৃতিতে পুরো আবছা। শুধু স্পষ্ট ভাবে আছে ফ্যান্টাসি খেলার সময় গুলো। এইসময় বাকিদের সাথে কি বলেছি, কি করেছি তেমন তা খেয়াল নেই। ফ্যান্টাসি খেলার এই সময়ে যে জিনিসটা প্রথম আবিষ্কার করলাম সেটা হল জুলিয়েট নিজে থেকে রাজি না হলে কোন ভাবেই তাকে এই ফ্যান্টাসি ফ্যান্টাসি খেলায় আনা যায় না। যেই দিন আবার সে ইচ্ছে করে সেদিন নিজ থেকেই খেলা শুরু করে বা নানা আকার ইংগিতে বুঝতে দেয় আজকে খেলার মুডে আছে। এখান থেকেই নারী জাতি সম্পর্কে যে শিক্ষা টা পাই তার একটা হল যদি মেয়েরা মুডে থাকে তাহলে যে শারীরিক সম্পর্কের এমন স্তরে যাওয়া যায় যেটা আর কোন ভাবে, কোন কিছুর মাধ্যমে আপনি পেতে পারেন না। আপনার সংগীর অবস্থা বোঝা, তার পালস ধরতে পারা আর সেই অনুযায়ী কাজ করেন দেখবেন আপনার সংগী আপনার জন্য এমন কামাসূত্রা তৈরি করবে যা আর পৃথিবীর কোথাও নেই। শুধু আপনার আর তার। আর পরে এই জিনিস টা বুঝতে পারি যে জুলিয়েট যখন পাবলোর সাথে সম্পর্ক খারাপ যেত তখন তার হর্নিনেসটা বেড়ে যেত। পাবলোর সাথে ওর শারীরিক সম্পর্ক থাকলেও সেটা ছিল বছরে এক দুই বারের ব্যাপার। মাঝে মাঝে ফোন সেক্স করত ওরা। আর ঝগড়া চললে বা পাবলো কোন কাজে ব্যস্ত থাকলে জুলিয়েট ওর সেক্সুয়াল রিলিজেরে কোন জায়গা পেত না। সেই সময় টাতে ও বেশি হর্নি থাকত। এইসব জ্ঞান অবশ্য অনেক পরের ব্যাপার। সেই সময় টাতে আমি খালি ইম্পাস আর জুলিয়েটের বিহেভিয়ার রিড করে কাজ করার চেষ্টা করতাম। এর মধ্যে অবশ্য গ্রুপের সবার মধ্যে পরিবর্তন আসছে এই জিনিসটা আমার চোখে এড়িয়ে গিয়েছিল। জুলিয়েট মাঝেমধ্যে বললেও আমি খেয়াল করতাম না। এদিকে পাবলোর সাথে জুলিয়েটের সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হয়ে এলে আমাদের ফ্যান্টাসি ফ্যান্টাসি খেলায় বিরতি পরল। সমস্যা হল একবার রক্তের স্বাদ পেলে সবজিতে স্বাদ পায় না বিড়াল। আগে যেখানে পর্ন বা চটি সাইট বা চোখ বন্ধ করে কল্পনা ছিল মাস্টারবেশনের সহায়তায় এখন সেখানে এই সব গুলো কে পানসে লাগতে শুরু করল। আমার অবস্থা তখন ছিল হেরোইন আসক্ত মানুষের মত। হেরোইনের সোর্স না পেয়ে পাগল অবস্থা প্রায়। আর এই সময় আরেক টা ঘটনা আমাকে আবার এই জগতে ফিরিয়ে নিয়ে আসল।
আসলে মেয়ে মানুষের সংস্পর্শ ছাড়া কাটানো উনিশ বছর পর হঠাত জুলিয়েটের সাথে গড়ে উঠা এই ঘনিষ্ঠতা ওর উপর এক ধরনের ক্রাশ তৈরি করল। এটা প্রেমে রূপ নিতে পারত আমার দিক থেকে কিন্তু একদিন একটা ঘটনাতে ব্যাপারটা খোলাসা হল। জুলিয়েট একদিন কথায় কথায় জানাল যে পাবলো আর ওর সম্পর্ক আগের মত ভাল হয়ে গেছে। আমি মাঝখানে ওদের ঝামেলা নিয়ে প্রশ্ন করলে ও বলল এটা প্রায় হয়। ওর কথা বলার মধ্যে আমি লক্ষ্য করলাম পাবলোর প্রতি ওর চোখে গভীর অনুরাগ। ভিতরের যুক্তিবাদি মন এই প্রথম আমাকে দেখাল আমাদের মাঝে ফ্যান্টাসি খেলা আসলেই খেলা। এর কোন বাস্তব ভিত্তি নেই। ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট কথাটা আগে শুনলেও এই প্রথমবারের মত মর্মার্থ ধরতে পারলাম। দুই একদিন ব্যাপার টা নিয়ে একটু মাথায় বোঝা থাকলেও আস্তে আস্তে নেমে গেল এটা। আমি বুঝে গেলাম জুলিয়েট হল আমার ফ্রেন্ডস উইথ বেনিফিট।
আবার গ্রুপের সবার সাথে নিয়মিত হলাম। জুলিয়েট আজকাল ক্লাসের পর কম থাকে। বয়ফ্রেন্ডের সাথে ঘুরতে যায়। তাই আবার বাকিদের সাথে আমার আড্ডা জমে উঠল। ফারিয়া আগের মত ক্যাম্পাসের ছেলেদের ক্রাশ। খেলায় কিন্তু কার সাথে ঝুলে পরে না। মিলি আগের তুলনায় এক্টিভ বেশি। ড্রেসাপে একটা পরিবর্তন এসেছে আগেও বলেছি। ব্রেকাপের পর মানুষ নানা রকম এক্সপেরিয়মেন্ট করে নিজেকে নিয়ে এখন ওর এই ফেজ যাচ্ছে। কাপড় আর ব্যবহার এই দুইয়ে নানা পরিবর্তনে আমরা তখন তেমন একটা চমকাই না। সুনিতি আন্টির জন্য এখনো খুব বেশি সময় দিতে পারে না আড্ডায়। সাদিয়া পড়াশুনায় সদা ব্যস্ত। জুলিয়েটের ভাষায় জ্ঞানী হুজুর। এর মাঝে কয়েক মাস চলে গেছে। সেকেন্ড ইয়ারের তখন মাঝামাঝি। মিলি একদিন ক্লাসের শেষে বল দোস্ত বিকালে ফ্রি আছিস। আমি বললাম কেন? একটু একটা জায়গায় যেতে হবে। আমি বললাম কোথায়? মিলি বলল, ওর বড় ভাই ইংল্যান্ড থেকে এক বন্ধুর মাধ্যমে একটা পার্সেল পাঠিয়েছে। শাহজানপুরের কাছ থেকে গিয়ে নিয়ে আসতে হবে। একা শাহাজানপুর চিনে না আর একা একা একটু অসস্তি হচ্ছে। আমি বললাম আচ্ছা। যাবি কখন? বলল চার টার দিকে বের হব। আমি বললাম ঠিক আছে আধা ঘন্টা আগে মনে করিয়ে দিস।
চারটায় বের হবার কথা থাকলেও বের হতে হতে সাড়ে চারটা বেজে গেল। ক্যাম্পাস থেকে রিক্সা নিয়ে শাহাজানপুরের দিকে রওনা দিলাম। আসলে এটা শাহজানপুর হলেও শান্তিনগরের কাছাকাছি। আমরা ভুলে রাজারবাগের কাছে নেমে ঠিকানা খুজে পাচ্ছিলাম না। ফোন দিয়ে ঠিকানা বের করে যেতে যেত দেরি হয়ে গেল। লোকজনও ঠিকমত বলতে পারে না। আবার এই ঢাকা শহরে অনেকে কিছু না জেনে খুব কনফিডেন্টলি বলে এই এড্রেস তো ঐদিকে। আসলে দেখা গেল পুরা উলটা দিকে। শাহজানপুর পানির পাম্পের কাছে বেশ ভিতরে সেই বাসা খুজে বের করে পৌছাতে পৌছাতে প্রায় সোয়া ছয়টা বেজে গেল। বাসায় গিয়ে জিনিস টা নিয়ে বের হতে হতে সাড়ে ছয়টা। অফিস ছুটি হয়ে গেছে এই সময় রিক্সা ক্যাম্পাসের দিকে পাওয়া কষ্ট। আবার শান্তিনগর থেকে ছয় নাম্বার বাস মৌচাক, মগবাজার হয়ে বাংলা মোটর যায়। ওখানে উঠতে পারলে বাংলা মোটর নেমে একটু হেটে ক্যাম্পাস। তাই আমরা বের হয়ে শান্তিনগর মোড়ে চলে আসলাম। এর মধ্যে বেশ বাতাস শুরু হল। দেখতে দেখতে ধূলাঝড় শুরু হল। আমরা একটা দোকানের ভিতর আশ্রয় নিলাম। এরপর শুরু হল বৃষ্টি। পুরা ঝমঝম ভারী বৃষ্টি। আর বৃষ্টিতে শান্তিনগর মোড়ে পানি উঠবে না এতো হয় না। মিলি বলল কি করব? আমি বললাম একটু অপেক্ষা কর। উপেক্ষা করতে করতে দেখি সাতটা বাজে। দেরি হয়ে যাচ্ছে। মাঝে বৃষ্টি একটু কমে আসলে রিক্সা খুজলাম কিন্তু এইখান থেকে ক্যাম্পাসে যেতে সবাই এখন দুইশ টাকা চায়। অন্য সময় হলে ষাট টাকায় চলে যাওয়া যেত। মিলি বলল এই এত টাকা চাওয়ার মানে কি। আমি বললাম বৃষ্টি। সবাই দরদাম ঠিক না করে উঠে যাচ্ছে। তাই শালাদের পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। এর মধ্যে দেখি একটা ছয় নাম্বার বাস আসছে। বেশ ফাকা মনে হল। মিলি বলল চল বাসে উঠে পড়ি। আমরা যে দোকানের সামনে দাঁড়ানো সেখানের সামনে বেশ পানি উঠেছে। বৃষ্টি হচ্ছে তখনো বেশ। আগেরমত জোরে না হলেও খুব কম কিছু না। মিলি বলল চল দৌড় দি। আর বেশিক্ষণ দাড়ালে হলে পৌছাতে দেরি হয়ে যাবে।
প্রথমে আমি আর তারপর মিলি দুই জনেই দৌড় দিলাম। রাস্তায় পানিতে পা জিন্স সব ভিজে গেল আর সাথে বৃষ্টি। সব মিলিয়ে জামা কাপড় ভিজে বিশ্রি অবস্থা। বাইরে থেকে ভাল করে বুঝা না গেলেও ভিতরে দেখি সব সিট বুক। এদিকে বাস শান্তিনগর মোড়ে পৌছাতে পৌছাতে লোক বেড়ে গেল। শান্তিনগর ছেড়ে মোচাক পর্যন্ত পৌছাতে পৌছাতে আর ভিতরে দাড়ানোর অবস্থা নেই এই রকম ব্যাপার হয়ে গেল। এদিকে কিছু গার্মেন্টস আছে। সন্ধায় শিফট ছুটি হয়। গার্মেন্টেসের কাজ করা মেয়েরা সামনের দিক বেশ কিছু সিট আর সামনের প্রায় বেশির ভাগ দাড়ানোর জায়গা দখল করে নিল। এরমধ্যে আমি আর মিলি পরে গেলাম দাড়ানোর জায়গায় ছেলে আর মেয়েদের মাঝামাঝি। আমি শেষ ম্যান ছেলেদের আর মিলি প্রথম জন মেয়েদের। মৌচাকে পানি জমে জ্যাম লেগে খারাপ অবস্থা। গাড়ি এগুচ্ছে না। ভিতরে লোক বেশি। দাড়ানোর জায়গা নেই ঠিকমত। পার্সেলের প্যাকেট টা এক হাতে অন্য হাতে বাসের হ্যান্ডেল। ব্যালেন্স রাখা কঠিন। বাইরে বৃষ্টি বাড়ছে। ঠান্ডা বাতাস মাঝে মাঝে আসলেও ভিতরে ঘাম আর বৃষ্টিতে ভেজা মানুষের গন্ধ মিলে এক কড়া গন্ধ। তাল সামলাতে কষ্ট হচ্ছে। এর মধ্যে আর মানুষ বাসে উঠার চেষ্টা করছে। হেলপার খালি বলছে আরেকটু ভিতরে চাপেন। ভিতরে চাপেন। কে যেন গালি দিয়ে উঠল ঐ খানকির পুত কত ঢুকাবি লোক। আরেকজন কে যেন উত্তর দেয়, ভাই বৃষ্টি বাইরে লোক উঠতে দেন। গাড়ি ছয় সাত গজ গিয়ে গিয়ে ব্রেক কষছে। এক হাতে তাল সামলে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ব্রেক কষলেই পিছনের লোক সামনে এসে ঠেলা দিচ্ছে তাল সামলাতে না পেরে বারবার সামনে হেলে পরতে হচ্ছে। বারবার বহু কষ্টে সিটের সাথে হেলান দিয়ে আটকে রাখছি। সামনে মিলির অবস্থাও একিরকম। খালি আমার সামনে থাকায় পিছনের ধাক্কা টা সামালোনো লাগছে না। পাশের সিটে বসা এক মহিলা কে বললাম আন্টি প্যাকেট টা একটু রাখতে পারবেন। এটা সহ দাড়াতে কষ্ট হচ্ছে। আন্টি আমার দিকে একবার তাকিয়ে বললেন ঠিক আছে। হাত খালি হওয়ার এক হাতে উপরে বাসের হ্যান্ডেল আরেক হাতে সিট ধরে ব্যালেন্স রাখতে সুবিধা হচ্ছে।
এর মধ্যে বাস আস্তে আস্তে মগবাজার আড়ং এর সামনে এসে আবার আটকে গেল। বাইরে বৃষ্টি আর বাতাসের দারুণ তেজ। বাসের অফিস ফেরত মানুষ সব ঝিমাচ্ছে। এই লোকাল ছয় নাম্বার বাসে এমন প্রাকৃতিক এসি সবদিন পাওয়া যায় না। আমারো একটু ঝিম ধরে এসেছিল এই সময় আবার ব্রেক আর পিছনের ধাক্কায় তাল সামলাতে না পেরে সামনে মিলির উপর গিয়ে পরলাম। হেলপার সামনে থেকে বলে উঠলে সবাই ভাল করে ধইরা রাইখেন। নাইলে পইড়া যাইবেন। মিলি ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকাতে আমি বললাম স্যরি তাল সামলাতে পারিনি। মিলি বলল ঠিকাছে আমিও তাল সামলাতে পারছি না। এর মধ্যে আর মিনিট কয়েক পর বাসের আবার ব্রেক এইবার মিলি তাল সামলাতে না পেরে পিছনে আমার উপরে এসে পরল। ওর পিঠে হাত দিয়ে কোন রকমে সামলালাম। একটু পর আবার ব্রেক, বেশি জোরে না কিন্তু মিলি আবার এসে পরল আমার উপর এবার বেশ জোরে। আমি আটকানোর আগেই আমার উপর এসে পরল। আমি বললাম ঠিক করে ধর এত আস্তে ব্রেকে পরে গেলে জোরে ব্রেক কষলে তো মাটিতে পরবি। ও পিছনে ঘাড় ঘুরিয়ে একটা হাসি দিল।
এদিকে বাস আস্তে সামনে এগিয়ে আবার মগবাজার মোড়ে সিগন্যালের জ্যামে পরল। রাস্তায় পানি উঠে খারাপ অবস্থা। এমনিতেই মগবাজার মোড়ে ভীড় বেশি তারপর রাস্তা থেকে মানুষ উঠে বাসে আর চাপ বাড়াল। সামনে মহিলা আর পিছনে পুরুষ আর উঠল বাসে। তাই ভিতরের দিক চাপ আর বাড়ল। আর লোক নেওয়ার উপায় নেই। কে জানি গালি দিয়ে উঠল। এইবার ভীড় এত বেশি যে কেউ আর লোক বেশি নেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেখাল না। পিছনের চাপে আমি প্রায় মিলির গায়ের উপরে উঠার মত অবস্থা। এমনিতে ঢাকা শহরের লোকাল বাসে সন্ধ্যায় অফিস ফেরত ভীড়ে খারাপ অবস্থা হয়, আজকে তারপর আর বৃষ্টির কারণে সর্বোচ্চ ভীড় বাসে। মিলিও সামনে থেকে চাপে পিছেয়ে এসে আমার গায়ে উঠে পড়ার অবস্থা। একটু আগেও একটা লাইট জ্বালান ছিল বাসের মাঝ বরাবর। এখন মাঝখানের দাড়ান যাত্রীরা চিতকার শুরু করল আলো চোখে লাগে। এর মাঝে প্রবল বৃষ্টি। তাই ড্রাইভার লাইট বন্ধ করে দিল মাঝখানে। একটা ঘুম ঘুম পরিবেশ। স্টার্ট বন্ধ করে বৃষ্টির মাঝে বাস দাঁড়ানো। আশেপাশের গাড়ি গুলোও জ্যামে আটকা। বাসের রেডিওতে চলছে এফএম। শ্রাবণের মেঘ গুলো জড়ো হল আকাশে গানটা বাজছে। এরমাঝে পিছনের ধাক্কায় এইবার পুরা মিলির গায়ের উপর গিয়ে পরলাম। গায়ের উপর মানে একদম গায়ের উপর। বুক ধাক্কা দিল পিঠে, সাবধানতাবশত শরীরের মাঝখানের অংশ টা মিলির পিছনে লাগানোর হাত থেকে বাচালাম। সামনে সিগনাল একটু ছাড়ল। বাস ছেড়ে প্রায় পঞ্চাশ গজ গিয়ে আবার ব্রেক। একই অবস্থা। পিছনের চাপ। মিলির সাথে ধাক্কা, কোমর পিছন দিকে দিয়ে মিলির পিছনের সাথে ধাক্কা লাগানোর থেকে নিজেকে বাচাতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এভাবে ভারসাম্য রাখা কষ্টকর। না পেরে মিলি কে বললাম, এই সামনে আগা এইভাবে দাড়ান যায় না। তুই একটু সামনে এগিয়ে দাড়া। মিলি পিছন ফিরে বলল সামনে আর জায়গা নেই। তুই তোর মত করে দাড়া সমস্যা নেই। আসলে এইভাবে অদ্ভুত স্টাইলে সামনে ঝুকে কোমড় পিছনে বাকিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করা যায় না তাই সেই চেষ্টা বাদ দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে দাড়ালাম। আর মিলি বলেছে বাসে কিছু করার নেই। এতক্ষণ কি এভাবে দাড়ান যায়।
ঠিক করে দাড়ানোর একটু পরেই টের পেলাম মিলির শরীরের সাথে আমার শরীর পুরো লেগে আছে। এমনিতেই বেশ কয়েকদিন খেচা হয় নি, তার উপর বৃষ্টি ঠান্ডা হাওয়া, মিলির শরীরের তাপ, শরীরের সাথে লেগে থাকা একটা নরম শরীরের আশ্বাস এবং মিলির গন্ধ সব মিলিয়ে হঠাত ছয় নাম্বার বাসের ভিতর টা যেন মাথার ভিতর এক ভিন্ন আবহ তৈরি করল। ঘাম, বৃষ্টি আর পারফিউম মিলে মিলির গায়ে এক ভিন্ন অদ্ভুত ধরনের সোদা গন্ধ তৈরি করেছিল। এই গন্ধের মাদকতা ভিন্ন। এই গন্ধ যেন মাথার ভিতর অন্য এক অংগ কে জাগিয়ে তুলছিল। ঘুমন্ত এক দৈত্য। মনে হচ্ছিল আরেকটু ঝুকে মিলির শরীরের এই সোদা ঘামের গন্ধ টা ভাল করে মাথায় গেথে নিই। আসলে আমাদের মাথার ভিতর কখনো কখনো ভিন্ন মানুষ খেলা করা শুরু করে। পিছনের ধাক্কায় এইবার তাই আর না সামলে আর হেলে পরি। মিলির চুলের কাছে নাক নিয়ে সোদা গন্ধ মাথায় গেথে নিই। প্রত্যেক মানুষের শরীরে আলাদা গন্ধ থাকে। কার কার কাছে এই গন্ধ অসহ্য। আবার কার কার শরীরের গন্ধ দেখবেন আপনাকে পাগল করে দেয়। সেক্স ফেরোমেন বলে একটা কথা আছে। সবার শরীরের গন্ধ সবার জন্য নয়। সেইদিন বাসে সেই ভীড়ের মাঝে আমি আবিষ্কার করলাম মিলির ঘামের গন্ধ আমাকে পাগল করে দিতে পারে। রেডিওতে সেই মূহুর্তে বেজে উঠে অঞ্জনের একদিন বৃষ্টিতে, ধরা পরে যাব আমরা দু’জনে। পরিস্থিতি ভেদে গান মানুষের মনে দারুণ প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। অঞ্জনের গান আর মিলির সোদা সেই গন্ধে সেই মূহুর্তে মনে হল আশে পাশের কেউ নেই। আমরা দুই জন শুধু। শরীর যেন নিজে থেকে নিজেই তার কাজ শুরু করল। কোন ঝাকুনি ছাড়াই আরেকটু হেলে পরলাম মিলির উপর। কোমড় টা মিলির হিপ ঘেষে নিজ থেকেই ঘষতে থাকলাম। মিলি একটু সামনে এগোনোর চেষ্টা করে জায়গা না পেয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকল। ঠিক সেই মূহুর্তে বাসের ঝাকুনি মিলি কে পিছন দিকে হেলে আমার সাথে আর সাপটে যেতে হল। ওর পাছার নরম স্পর্শ আমার জেগে উঠা দৈত্য কে আর ক্ষেপিয়ে তুলল। কোমড় আস্তে আস্তে ডানে বামে নাড়িয়ে ওর পাছার দুই ঢিবির উপর নিজের বাড়ার স্পর্শ নেওয়ার চেষ্টা পাগল করে তুলল মাথার ভিতর সব। মিলি হঠাত করে সামনে এগিয়ে একটু আলাদা হওয়ার চেষ্টা করে। আসলে ঐ মূহুর্তে মাথার ভিতর কোন পরিস্থিতি, বিচার বিবেচনা কাজ করছিল না। শুধু ছিল সোদা গন্ধ আর শরীরের নরম কোমল হালকা গরম স্পর্শ। বাসের সেই প্রায় অন্ধকার অন্ধকার অবস্থায় মিলি একটু ঘাড় ঘুরিয়ে অবাক এক দৃষ্টিতে চাইল। অবিশ্বাস আর কিংকর্তব্যবিমূঢতা ছিল সেই চোখে। সেই চাহনি যেন সাপটে আবার বাস্তবে ফিরিয়ে নিয়ে আসে আমাকে।
অনেকটা ভয়ে কিছুটা অস্বস্তিতে একটু পিছিয়ে আসি। বেশি পিছানোর জায়গা নেই আসলে। কি করলাম এই চিন্তা মাথায় চেপে বসে। একটা সুন্দর রিলেশন এইভাবে ভুলে নষ্ট হয়ে গেল। কি বলবে? বাকি সবাই কে কি মিলি বলবে আজকের ঘটনা? জানলে সবাই কি করবে? যদি ক্লাসের বাকিরা জেনে যায়? ভাল ছেলে বলে এতদিনের ইমেজ শুধু শুধু এইভাবে নষ্ট করা। এইসব ভাবতে ভাবতে এই ঠান্ডার মধ্যেও ঘাম দিয়ে উঠে শরীরে। হঠাত করে বাসের ঝাকুনিতে মিলি এসে আবার পরে আমার উপর। কুকড়ে পিছিয়ে যেতে চাই কিন্তু জায়গা হয় না, যতটুকু পিছিয়ে যাই পিছনের ধাক্কায় ততটুকু সামনে চলে আসি আবার। মিলিরও হয়ত সামনে এগোনোর জায়গা নেই। আমার সাথে লেগে থাকে। ওর সোদা গন্ধ পাগল করে তুলে আবার। মাথার ভিতর আবার কি হবে এই চিন্তা। এই সময় হঠাত মনে হল আমার প্যান্টের উপর দিয়ে নরম মাংসের চাপ। সামনে তাকিয়ে দেখি বাসে আর লোক উঠছে সামনের গেট দিয়ে তাই চাপে পিছিয়ে এসেছে মিলির সামনের মহিলা। তার চাপে আমার শরীরের সাথে লেপ্টে যাচ্ছে মিলি।ভবিষ্যতের চিন্তার জায়গায় বর্তমানের অনুভূতি জায়গা দখল করে নিতে থাকে। মাথার নির্দেশ অমান্য করে কোমড় সামনে এগিয়ে যায়। ডানে বামে করে নরম গরম মাংসের স্বাদ নিতে নিতে পাগল হতে থাকে বাড়াটা। দুই স্তর কাপড়ের বাধা যেন কিছুই নয়। নিজেই চিন্তা করতে শুরু করে যেন বাড়াটা। সত্যিকার অর্থে এই প্রথম কোন নারীর সাথে শারীরিক ভাবে এতটা কাছে আসা। জুলিয়েটের সাথে ফ্যান্টাসি খেলার পুরোটাই ভার্চুয়াল। এটা বাস্তব। বাসের ভিতর আলো আধারিতে লোকের সামনে এই ধরা পরার ভয় যেন এর আকর্ষণ আর বাড়িয়ে দেয়। সামনে কি হবে, মিলি কি ভাববে সেটা তুচ্ছ হতে থাকে আস্তে আস্তে। ডানে বামে আর সামনে আস্তে আস্তে কোমড়ের চাপ দিয়ে বাড়াটা নিজেই নিজের জায়গা করে নিতে থাকে মিলির দুই ঢিবির মাঝে। এক বছরে মিলির ওজন বেড়েছে বোঝা যায়। নরম গরম স্পর্শ বলে দেয় এর বেশির ভাগ মাংস লেগেছে পাছাতে। চোখ বন্ধ করে কোমরের গতি বাড়তে থাকে। বাসের ধাক্কা মিলি কে যেন আর সেটিয়ে দেয় আমার ভিতর। ভিজে যাওয়া কাপড় লেগে থাকে মিলির শরীরের আর আমার চাপ যেন তা আর ভিতরে ঢুকিয়ে পুরো ভিতরের খাজের খবর নিতে চায়। মিলি ঘামতে থাকে, ঘাড়ের কাছে জমতে থাকা ঘামের বিন্দু ইংগিত দেয় মিলির অবস্থার। ঘামের সোদা গন্ধ যেন আর মাদক দেয় সেই অবস্থায়। এই অবস্থায় মর্ত্যে ফেরত আসতে হয়। হেলপার ডাক দেয় এই বাংলামোটর, বাংলামোটর। বেশিরভাগ যাত্রী নেমে যায়। আমাদের স্টপ। মিলি আস্তে আস্তে নেমে পরে। পার্সেল নিয়ে আমিও নামি। রাস্তা পের হয়ে মিলি রিক্সা নেয়। আমি কিছু বলবার আগে আমার হাতে পার্সেল রেখে চলে যায় মিলি। বাসের সেই স্মৃতিতে ক্লান্ত অবসন্ন মন আর কিছু নিয়ে ভাবতে চায় না। বাসায় ফিরে না খেয়েই ঘুম দিই। ঘুমের মাঝে আবার সেই বাস আর তার ভিতরের মানুষজন ফিরে আসে। এইবার মিলি যেন কিছু বলবে না এই সাহসে কোমড় দুলতে থাকে, সামনে হালকা চাপ দিতে দিতে মনে হয় মিলি যেন পিছনে দিকে থাপ দিচ্ছে। বাসের হ্যান্ডেল থেকে নেমে এসে পিছন থেকে মিলির বুকে ঘুরে বেড়ায় হাত। জামার উপর দিয়ে আগে দেখা শক্ত বোটা যেন শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। আংগুলের চাপে মিলি বেকে পাছা পিছনে হেলিয়ে আর জোরে পিছন থাপ দেয়। আর সকল ভয় জয় করে যেন বাড়াটা সব মাল ঢেলে দেয় মিলির পাছার খাজে। স্বপ্ন আর বাস্তব মিলে সেই রাত মাথার ভিতর দখল নেয় চিরদিনের জায়গা।

বন্ধু (১৮+) - সাইমনOnde histórias criam vida. Descubra agora