রুমি বেশ অবাকই হলো যখন জানতে পারলো তামান্না আপুও নাকি রবিনকে চিনে। তার যেন মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবার সাথেই রবিনের পরিচয় আগে থেকে শুধু সে বাদে। তার পরিচিত এতজন রবিনকে চিনে অথচ সে কিনা এতদিন ধরে রবিনের সাথে দেখা করার জন্য উঠে পরে লেগেছিল। রাফি ভাই আর তামান্না আপু বেশ কিছু সময় ধরে তাদের সাথে গল্প করল। তারপর রাফি বলল তাদের সবাইকে আজ ফুচকা খাওয়াবে। রুমি আর তামান্না আপু তো একপায়ে খাড়া। কিন্তু রবিন রাজি না। সে ওসব খায় না। ওরা চাইলে গিয়ে ফুচকা খেতে পারে। রাফি ভাই কত করে বলল একদিন খেলে কিছুই হবে না। এমনকি তামান্না আপু পর্যন্ত কত অনুরোধ করলো। কিন্তু রবিন একবার যখন বলেছে না তো তাকে রাজি করানো কার সাধ্যি। ব্যাপারটা কিছুটা এমনই ছিল। তবে রুমি শুধু বলল,
: চলুন না সবাই যখন বলছে।
রুমির কন্ঠে কি ছিল তা রুমি নিজেও জানে না। রবিন কিছুক্ষণ তাকিয়ে ছিল তার দিকে। শেষমেশ রবিন রাজি হলো। তাও আবার রুমির কথায় ! রাফি ভাই আর তামান্না আপু যে এটা নিয়ে চোখাচোখি করছে তা দুজনের কেউই টের পেল না। সবাই মিলে ফুচকার দোকানে গেল। বৃষ্টি থেমে গেছে। বৃষ্টি বাদলের দিন দোকানপাট খোলে না। কিন্তু আজ তেমন তেজ নেই বৃষ্টির। তাই প্রত্যেকটা দোকান খোলা বলতে গেলে। বেঞ্চের উপর বসে যখন চারজনে মিলে ফুচকা খাচ্ছিল তামান্না আপু রুমির কানে কানে জিজ্ঞেস করল,
: রবিন ভাইকে পটিয়ে ফেলেছিস নাকি !?
রুমি চোখ বড় বড় করে বলল,
: পটাবো মানে !? আপু কি বলছেন এসব !?
তামান্না আপু চোখ টিপে হেসে বলল,
: আমাকে বোঝাতে হবে না। বয়স হয়েছে আমার। কি হচ্ছে তা আমি বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছি।
রুমি ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়। তামান্না আপুকে কিভাবে বুঝাবে যে রবিনের সাথে তার প্রেম ভালোবাসার কোনো সম্পর্ক নেই। আজকেই দেখা হলো। তাও ঘন্টাখানেক আগে। এর মধ্যে কেবল বন্ধুত্ব সুলভ একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। অথচ তামান্না আপু মনে করছে রবিনকে রুমি তার প্রেমিক বানিয়ে ফেলেছে !? রুমি বলল,
YOU ARE READING
দি আর্টিস্ট
Mystery / Thriller(গল্পের চরিত্র, ঘটনা, স্থান, কাল, সময় প্রত্যেকটি বিষয় কাল্পনিক। গল্পের সাথে বাস্তবতাকে মেলানোর চেষ্টা করবেন না।) রুমি বেশ অনেক্ষণ ধরে ছেলেটিকে লক্ষ্য করছে। তার আর্ট কলেজের এক্সিবিশন সেন্টারে এখন তেমন কেউ নেই। বলতে গেলে অনেকেই চলে গেছে। কয়েকজন যদিও...