পর্ব ৩

32 1 0
                                    

রুমি আর নিধি পুরো বিকেলটাই বাইরে এদিক সেদিক ঘুরে কাটিয়ে দিল। নিধি একবার ঘোরাঘুরি করার সুযোগ পেলে হাতছাড়া করতে চায় না। রুমির বলতে গেলে খোলা বাতাসে ঘোরাঘুরি করতে মন্দ লাগে না। সারাদিন বদ্ধ ঘরে থাকলে মনটা বিষাদ হয়ে যায়। সারাদিন এদিক ওদিক করে সন্ধ্যা বেলা যখন গার্লস হোস্টেলে প্রবেশ করলো, মনে হলো হোস্টেলের পরিবেশটা হঠাৎ কেমন যেন অন্যরকম ঠেকছে। ব্যাপার কি !? আবার কোনো ঝামেলা হলো নাকি !? তাদের ঘর থেকে কিছুদূরে কয়েকজনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। ওটা তো নিতুদের ঘর ! অধরাকে নিয়ে আবার কিছু হলো নাতো !? রুমি আর নিধি দুজনেই ছুটে গেল সেদিকে। বাইরের ভির ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করলে। ভিতরে গিয়ে দেখলো তামান্না আপু অধরাকে শক্ত করে চেপে ধরে আছে। অধরা যেন অনেকটা মুড়ছে গেছে। চোখ দুটো বন্ধ। যেন ক্লান্ত হয়ে গেছে শরীরটা। রুমি পাশে জেরিনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কানে কানে জিজ্ঞেস করে ফেলল,

: কি হয়েছে ?

জেরিন রুমির দিকে তাকালো। একটা ছোট নিঃশ্বাস ফেলে বলল,

: অধরা আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল।

: কি ? কেন ? কিভাবে ?

ঘরের ভিতরে এসব বলা থাকবে ঠিক হবে না। জেরিন রুমি আর নিধির হাত ধরে টেনে ঘরের বাইরে নিয়ে আসে। তারপর সেখান থেকে একটু দূরে সরে এসে বললো,

: একলা ঘরের মধ্যে অধরা একটা কাটার নিয়ে এসে হাতের রগ কাটতে যাচ্ছিল। ওই সময় নিতু এটা দেখে ফেলে একটা চিৎকার দেয়। প্রথমে নিতু অধরাকে আটকানোর চেষ্টা করতে গেছিল। কিন্তু অধরা কাটার উঁচিয়ে ধরে কাছে আসতে নিষেধ করে। নিতুর চিৎকারে আমরা ছুটে এসে দেখি এই কান্ড। একটু পরে তামান্না আপুও এলো। কিছুক্ষণের জন্য অধরার মন অন্যমনস্ক হতেই তামান্না আপু ছুটে গিয়ে অধরার হাত থেকে কাটার কেড়ে নিতে যায়। কিন্তু কাটারটা কেড়ে নিতে গিয়ে ভুলক্রমে তামান্না আপুর হাত একটু কেটে যায়। এটা দেখে অধরা ভয়ে কাটার ফেলে দেয়। তারপর কান্না করতে শুরু করে। তখন তামান্না আপু অধরাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে শান্ত করে।

দি আর্টিস্টTahanan ng mga kuwento. Tumuklas ngayon