পর্ব ৮

23 1 0
                                    

রাফি ফোনটা পাওয়ার পর থেকেই ছুটতেছে। ছুটে চলেছে প্রায় মিনিট তিরিশের মতো। রাফির অন্য কিছু ভাববার সময় নেই। তাকে যত শীঘ্র সম্ভব সেখানে পৌঁছাতে হবে। পথ যেন শেষ হচ্ছে না। আশ্চর্য এতো সময় লাগছে কেন পৌঁছাতে !? এই রাতের বেলাতেও লম্বা জ্যাম বেঁধে আছে রাস্তায়। রিকশা, অটোরিকশা, গাড়ি সব যেন কচ্ছপের গতিতে এগিয়ে চলেছে। এ গতিতে রাফি চললে হবে না। তাকে আরো দ্রুত যেতে হবে। নিজের উপর ভীষণ রাগ ধরছে। বিকাল থেকে বাইরে বাইরে কাটিয়েছে। বাইকটা পর্যন্ত সাথে নেই। আজ তাকে আর কত খারাপ খবর শুনতে হবে। সকালবেলাতে অধরার মৃত্যুর খবর শোনার পর থেকেই তার মন খারাপ। এখন আবার তার মা ফোন করে বললেন তার বাবার নাকি বুকে ভীষণ ব্যথা উঠেছে। হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। রাফিকে দ্রুত চলে আসতে বললেন সেখানে। রাফির বুকটা দুরুদুরু কাঁপছে। এমনিতেই তার বাবার এর আগে দুবার স্ট্রোক হয়েছে। এবার যদি কিছু হয়ে যায় ? রাফি এ নিয়ে আর চিন্তা করতে পারছে না।

ঘোড়ার মতো ছুটে চলেছে সে। এরকম ভাবে দৌড়ানোর অভ্যেস নেই তার। পা দুটো অসার হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সেটা অনুভব হওয়ার বিন্দু মাত্র লক্ষণই নেই। বাইরে থেকে নিজেকে যতই শক্ত দেখানোর চেষ্টা করুক না কেন, তার আপনজনদের কিছু হয়ে গেলে সে আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না। অবশেষে তার পথের সমাপ্তি হলো। স্যাপিয়ার হার্ট ক্লিনিকের সামনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণের জন্য দৌড়ের সমাপ্তি ঘটালো। রাফির মনে হচ্ছে তার হৃৎপিণ্ড এখনি বেরিয়ে আসবে। বড় বড় করে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। পা যেন এই মুহূর্তে আর চলতে চাইছে না। কিন্তু এখন থামলে চলবে না। রাফি হাসপাতালটির মধ্যে প্রবেশ করল। সারা হাসপাতালের এ ঘর সে ঘর করে ঘুরতে ঘুরতে শেষমেশ তার মায়ের দেখা পেল। তার মায়ের সাথে তার ছোট চাচা আর চাচীও আছেন। রাফি কাছে যেতেই তার মা শক্ত করে তাকে জড়িয়ে ধরলেন। রাফিও শক্ত করে তার মাকে জড়িয়ে ধরল। রাফি বুঝতে পারছে তার মা কান্না করছে। কিন্তু তাকে আটকাবে কিভাবে ? তার তো নিজেরই চোখের জল বাঁধ মানছে না। তাকে বলে দিতে হলো না তার বাবার অবস্থা খারাপ পর্যায়ে চলে গেছে। অন্তত পরিবেশ দেখে তাই মনে হচ্ছে। রাফি তার ছোট চাচীকে জিজ্ঞেস করল,

দি আর্টিস্টWhere stories live. Discover now