পর্ব ৭

24 1 0
                                    

রবিন আড়চোখে রুমির দিকে তাকালো। রুমি তার পাশে একটু কাছ ঘেষেই হাটছে বলতে গেলে। তার কোলে নিউটন ওড়নায় জড়ানো। যদিওবা এতে নিউটনের ঠান্ডা লাগা থেকে আটকানো যাবে কিনা সন্দেহ। তবুও আশা করা যায় নিউটন সুস্থই থাকবে। রুমির চোখ সামনের দিকে। ল্যাম্প পোস্টের আলোয় চোখ গুলো কেমন যেন অদ্ভুত মায়াবী হয়ে উঠেছে। সেই চোখে রয়েছে হাজারো স্বপ্ন। বৃষ্টির ফোঁটা রুমির মুখে পরতেই যেন রুমিকে আরো বেশি সুন্দর লাগছে। বৃষ্টি যেন রুমির শরীরের সংস্পর্শে আসার সাথে সাথেই হীরাতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। ব্যাপার চিন্তা করাই খানিকটা হাস্যকর। রুমিকে ভীষণ সুন্দর লাগছে এই নীল লেহেঙ্গায়। এটা যথাসম্ভব ভারতীয় ডিজাইনের লেহেঙ্গা হবে।

রবিনের কেন জানি মনে হচ্ছে রুমি তাকে দেখানোর জন্যই এভাবে সেজেছে। এমন মনে হবারও কোনো কারণ নেই। তবুও কেন জানি মনে হচ্ছে বিষয়টা আসলে সেটাই। যায়হোক না কেন রুমির থেকে চোখ ফেরানো সত্যিই কঠিন। এদিকে তারা দুজনেই যে প্রধান সড়কের দিকে চলে এসেছে সেটা তাদের কারোরই খেয়াল নেই। পাশ দিয়ে কতগুলো খালি রিকশা তাড়াহুড়োয় চলে যাচ্ছে। অথচ তাদের যে রিকশা ডাকা উচিত সেটা কারোরই মাথায় আসছে না। যেন হেঁটে হেঁটেই আজ তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাবে। রবিন বলে উঠলো,

: আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করবো ? কিছু মনে করবে না তো আবার ?

রুমি রবিনের দিকে তাকালো না। সামনে তাকিয়েই হাঁটতে হাঁটতে বলল,

: হুম ভ... বলুন।

রুমির মুখ ফস্কে ভকো বের হয়ে যাচ্ছিল। আসলে নিধি তাকে যখন তার কাছে কিছু জিজ্ঞেস করার আগে অনুমতি চেয়ে নেয় যেন পরে যদি না রুমি রাগ করে আবার, তখন রুমি এভাবেই বলে যে, ভকো। রবিনকে এমনভাবে বললে ব্যাপারটা ঠিক কি পরিমাণ লজ্জাজনক হতো তা রুমি কল্পনাও করতে পারছে না। রবিন কিছুক্ষণ বড় বড় করে নিঃশ্বাস নিল। যেন কিছু বলার আগে নিঃশ্বাস না নিয়ে নিলে, হয়তো পরে দম আটকে মারাও যেতে পারে। একটু পরেই রবিন বলল,

: আজকের সাজটা কি মূখ্যভাবে আমাকে দেখানোর জন্যেই ?

রুমি রবিনের দিকে তাকালো। তাদের দুজনের খেয়ালই নেই যে নিউটনও কেমন আশ্চর্যজনক ভাবে সবুজ চোখ দিয়ে একবার রুমির দিকে আরেকবার রবিনের দিকে তাকালো। রুমি কিছুটা আমতা আমতা করেই বলল,

দি আর্টিস্টDonde viven las historias. Descúbrelo ahora