পর্ব ১০

155 16 0
                                    


তেইজিনের বয়স ১৮ বছর।  এই মুহুর্তে সে তাত পিতা মাতার সামনে বসে আছে। আর তার পাশে একজন ২৫ বছর বয়সী যুবক বসে আছে। তাদের ভাস্যমতে তারা একে অপরকে ভালবাসে। এমনকি তাদের ভালবাসার ফল ইতমধ্যে তেইজিনের গর্ভে অবস্থান করছে। 

যা পড়েছেন তা সত্য। তেইজিন এখন ৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। 

তেইহুইংঃ এর অর্থ তোমরা বিয়ে করে ফেলবে??
ক্রিস, তেইজিনের বয়ফ্রেন্ড, আস্তে করে মাথা নাড়ে। তেইজিন অনেক লজ্জা পাচ্ছে। ক্রিসকে তেইকুক অনেকদিন যাবত চিনে। ওদের এক প্রতিবেশিরই ছেলে। ভদ্র ছেলে। বাবা মায়ের কথা মানে। কিন্তু সে যে এই কাজ করবে তা ওরা ঘুনাক্ষরেও বুঝেনাই। হঠাত জাংকুক ডুকরে কেদে উঠে। 


তেইহিউংঃ কি হয়েছে সোনা? কাদছো কেনো?
জাংকুকঃ ওগো, তোমার ছেলে পর হয়ে যাবে। আর মায়ের খোকা থাকবেনা। একজনের বউ হবে। একজনের মা হবে...
তেইজিনঃ মা তুমি এতো চিন্তা কোরোনা। ক্রিসের বাসা তো পাশেই তাইনা?
জাংকুকঃ{আরো জোরে কেদে উঠে) দেখেছো সে কি বলছে? আমার মুখে মুখে কথা বলছে। (তেইজিনের দিকে ফিরে) তুই আর কি বুঝবি মায়ের কষ্ট। হুহুহু(ডুকরে কেদে দেয় সে আবার)
তেইজিনঃ মা, মানে... 

তেইজিন কথা শেষ করার আগেই মাথা ঘুরে পড়ে যায় জাংকুক। তেইহিউং পাশে থাকায় সে ধরে ফেলে তাকে। 



১ ঘন্টা পর। 

জাংকুকের জ্ঞ্যান ফিরেছে। বলা বাহুল্য ক্রিস একজন ডাক্তার।  তেইজিন  ইতঃমধ্যে ক্রিসের বুকের উপর কান্না করছে আর বলছে ঃ" আমার মার কি হয়েছে? আপনি কিছু বলেন না কেন? কিছু তো বলেন?"
ওদেরকে এভাবে দেখে জাংকুকের মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গিয়েছে। সে চিতকার করতে যাবে এমন সময় মিসেস কিম ঘরে মাশরুম স্যুপ আনলে জাংকুক দৌড়ে বাথরুমে যায় আর অনেক বমি করে। এরপর ক্রিস কিছু না বলে বের হয়ে যায়। ৫ মিনিট পরে সে হাতে একটি ফার্মেসির ব্যাগ নিয়ে ফেরত আসে। 

ক্রিসঃ মা, না মানে আঙ্কেল... 
জাংকুকঃ এম্নেও আমার ছেলেকে কয়েকদিন পর বিয়ে করবা। আমাকে চাইলে মা বলতে পারো। আর কি বলবা জলদি বলো। আমার মাথা ঘুরাচ্ছে। 
ক্রিসঃ আমমম কিছু যদি না মনে করেন... এটা একটু ট্রাই করে দেখবেন? 

বলে ব্যাগটা জাংকুকের হাতে তুলে দেয়। জাংকুক ব্যাগ খুলে লজ্জা পেয়ে যায়। কারণ ভিতরে একটা প্রেগন্যান্সি কিট।


জাংকুকঃ আশা নাই...
ক্রিসঃ কেন?

জাংকুকঃ কি যে বলোনা বাবা। আমার বয়স ৪০ আর তোমার শশুরের বয়স ৪৫। কি করে সম্ভব?
ক্রিসঃ মা, একবার ট্রাই করে তো দেখেন। 

এবার জাংকুক একবার তেইহিউং এর দিকে তাকায়। সে সম্মতি দিতেই সে বাথ্রুমে যায় আর প্রায় ৫ মিনিট পরে জোরে চিতকার দিয়ে ওঠে। ওর চিতকার শুনে তেইহিউং দৌড়ে বাথরুমে যায়। 


তেইহিউংঃ কি হয়েছে? 

জাংকুক কিছু বলেনা। সন্তর্পনের কিটটা তেইহিউং এর দিকে বাড়িয়ে দেয়। সেটা দেখে তার চোখ ২ টা আবার চকচক করে ওঠে। ১৯ বছর আগে যেভাবে চকচক করে উঠেছিল ঠিক সেইভাবে। কারোর আর বুঝতে বাকি থাকেনা যে মা ও ছেলে একইসাথে অন্ত্বঃসত্ত্বা। 


=) ইঞ্জয়

কিন্ডারজয় 

কিমসWhere stories live. Discover now