1 0 0
                                    

মুসলিম মস্তিষ্ক: কিছু সরল-বক্র অভিব্যক্তি

Ups! Gambar ini tidak mengikuti Pedoman Konten kami. Untuk melanjutkan publikasi, hapuslah gambar ini atau unggah gambar lain.

মুসলিম মস্তিষ্ক: কিছু সরল-বক্র অভিব্যক্তি

'বিজ্ঞানে মুসলিম সভ্যতার অবদান' বিগত কয়েক বছর যাবৎ বহুল চর্চিত বিষয়। বিষয়টি নন্দিত ও স্বমহিমায় ভাস্বর, তবে খানিকটা নিন্দিতও বটে। এই নিন্দাচারির দুইটা মাত্রা (dimension) আছে। একটা হচ্ছে কিছু অল্প-জানা মুসলমানদের 'অতিরঞ্জিত' কিংবা 'অসঙ্গতিপূর্ণ' প্রতিক্রিয়া, যা এক বিবেচনায় স্বাভাবিক বটে। তবে আরেকটা মাত্রা ঘৃণিত ও অমার্জনীয়, যা সামনের কথাগুলিতে অপ্রচ্ছন্নভাবে ও উপসং‌হারে প্রচ্ছন্নভাবে আসবে ইন শা আল্লাহ।

পরীক্ষামূলক (empirical) বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির জনক বলা হয় রজার বেকনকে; কিন্তু ব্যাপারটা কেমন হয়ে যায়, যখন বেকারের তিন/চারশ' বছর আগে 'হাসান ইবনে হায়সাম' এই পদ্ধতিতে দেদারসে তাঁর বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালাচ্ছেন, অথচ স্বীকৃতির কুরসিতে বেকারকে গোঁ ধরে বসিয়ে রেখেছেন মোড়লরা? একই সুরতে ফুসফুস-ধমনির মধ্যবর্তী রক্ত সঞ্চালনের আবিষ্কারক হয়ে বসলেন উইলিয়াম হার্ভি, আর ওইদিকে শাফেয়ী মাযহাবের ফকীহ, হাদীসবিশারদ ও চিকিৎসাবিদ ইবনে নাফিসের কৃতিত্বের আয়নার অনবরত পরছে ধূলির আস্তরণ। এভাবেই ক্রুসেডের হালালজাদা, ইউরোসেন্ট্রিক, আত্মকেন্দ্রিক ওরিয়েন্টালিস্টদের হাতের ঝাঁড়া ধূলাবালির ফলে মুসলিম সভ্যতার ইতিহাসের আয়নায় জমছে আনমনে। হাতে গোনা ব্যতিক্রমী কিছু সৎ ইতিহাসবিদদের ফুৎকারে আয়নার ধূলিকণা কিছুখানি উড়লেও এখনও তা মুখ দেখার মত স্বচ্ছ হয়ে উঠেনি। দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই আয়না স্বচ্ছ করার মেহনত-কোশেশ জারি আছে, একাডেমিক ও জনপরিসরে। বাঙলাতেও একাডেমিক ও জনপরিসরে করেছে অনেকেই, তবে আরমান ফিরমানের 'মুসলিম মস্তিষ্ক' অপেক্ষাকৃত তথ্যবহুল, গবেষণাভিত্তিক ও পরিমার্জিত প্রয়াস। বইটি ২০২১ সালে গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স থেকে প্রকাশিত হয়েছে।

কিতাব পর্যালোচনা (Book Reviews)Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang