আজকের আকাশটা আসলেই খুব মেঘলা,যেকোনো সময় ভয়ংকর বৃষ্টি হয়ে পারে। আজকের মতো সুন্দর একটা দিনে বৃষ্টি হলে খুব রোমান্টিক লাগে। কিন্তু যে ঘন কালো মেঘে চারপাশ পুরো অন্ধকার হয়ে গেছে,তাতে রোমান্স হোক বা না হোক, বন্যা অবশ্যই হবে। আর আমার মনে হয় না বন্যায় কেউ প্রেম করতে সদা ব্যাস্ত থাকবে।
সাদমান এখনো আসেনি। ধ্যাত! বেটা প্রোপস করবে কিন্তু ওর জন্য আমাকে ১০ মিনিট ধরে ওর বাসার নিচে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। কি মুশকিল, তাড়াতাড়ি রিকশা না পেলে কিছুক্ষণের ঝুম বৃষ্টিতে আমি কাকভেজা হয়ে যাবো। ছাতাটাও আনতে ভুলে গেছি। ও হ্যা ছাতা! দেরী করা যাবে না, দ্রুত ফোনটা বের করে দুটো ছাতার কথা সাদমানকে বলতে হবে,কিছুক্ষণেই এসে যাবে। যা ভাবা তাই কাজ। ইতিমধ্যে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে।
যথাসময়ের ঠিক ১৫ মিনিট পরে সাদমান বেটা হাজির হলো। বলা বাহুল্য, দারূন লাগছিল। সাদা শার্ট এর উপর লাল চেক, হাতে ৩ বছর আগে বার্থডে তে দেয়া সেই নীল ঘড়ি আর ডিপ ব্লু জিন্স।লম্বা হাতা কনুই পর্যন্ত বটানো। চুল কেটেছে বোধহয়, ওয়েক আপ সিডের রনবীরের চুলের কাট মনে হয়। এক কথায়, রক্সটার!!
সাদমান আমাকে একটু মুচকি হাসলো, সাহস খুজে পাওয়ার হাসি।
"তোর এত লেট কেন হলো???", আমি প্রায়ই আঁৎকে উঠলাম।
"অই না.... আম্মু মনে হয় একটু সন্দেহ করেছে। অনেকগুলো প্রশ্ন.... আবার ঘর থেকে বের হবার সময় তোর আবার মেসেজ, ছাতা একটাই ছিলো, তো....."
"তো এক ছাতায় কিছু দূর হেটে যেতে হবে। সমস্যা হবে না, চল দেরী করিস না। "
"হ্যা চল।"
আমরা বেরিয়ে গেলাম।মেঘলা দিনে রিক্সাওয়ালার দামও অনেক বেড়ে যায়। যে ভাড়া ২০ টাকার উপরে যাই না সেটা হয়ে যায় ৪০। রিক্সাওয়ালাও মানতে নারাজ, ২০ টাকা যাবেই না। শেষে ৩০ টাকায় উঠে পড়লাম।
আমি একনজরে সাদমানের অবস্থা খুঁজে বের করলাম। যত সামনে যাচ্ছি, বেটা ততই নার্ভাস হচ্ছে। সবার প্রথম প্রমাণ রিকশার কাঠের অংশটাতে অজান্তেই খোঁচাখুঁচি করছে। আমি শেষে কাধে সামান্য চাপড়ে বললাম,
BINABASA MO ANG
কিছু শব্দের গল্প..
Short Storyনূপুর-চুড়ির আওয়াযে,অলিতে গলিতে,বইয়ের ২ পৃষ্ঠার ফাঁকে, নীরবতার প্রহরে,কয়েক সেকেন্ডের চোখাচোখি কিংবা ভাজ পড়া উড়োচিঠির শব্দে যে গল্পগুলো জেগে ওঠে, এটি তাদেরই গল্প।