#পাহাড়ী_ডাকিনী
পর্ব-৫
লেখা : নীলা মনি গোস্বামীএকবারতো বিচ্ছিরি এক কাহিনী ঘটে গিয়েছিলো। দুপুরের খাবার খাচ্ছিলাম অফিসের সবাই মিলে। এমন সময় বিকট শব্দে হাঁচি দিয়ে বসলো তন্দ্রা। আর সাথে সাথে নাক ফুড়ে বের হয়ে এলো একগাদা থকথকে আঠালো তরল পদার্থ। খানিকটা তরল বুলেট গতিতে উড়ে গিয়ে পড়লো বসের খাবারের প্লেটে। বস তো একেবারে রেগেমেগে অস্থির । আর তন্দ্রার চেহারাটাও হয়েছিলো সেদিন দেখার মতো।
ওর সেদিনের অসহায় চেহারাটার কথা মনে করে হেসে উঠলাম আমি আপনমনে। ঠিক তখনি দেখলাম হেলেদুলে আমার ঘরে এসে ঢুকলো আহাদ।চোখ মুখ কুঁচকে বললো, " ঘরের ভেতর বসে বসে বিরক্ত হচ্ছিলাম অনেক। তাই আড্ডা দিতে চলে এলাম এখানে। ফ্রি আছিস তো?
আর ফুলিকে চা আনতে বলেছি। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে আড্ডা ভালোই জমবে। কি বলিস? "মৃদু হেসে সম্মতি জানালাম ওর কথায়। কাজের মেয়ে ফুলি দু'কাপ চা আর প্লেট ভর্তি পাকোড়া নিয়ে ঢুকলো ঘরের ভেতর। হেসে হেসে বলল - " খালি চা মজা নাই।ভাজা পুরি দিয়া খান। আরাম পাবেন অনেক। "
খুশি হয়ে উঠলাম আমি। পাকোড়া চিবাতে চিবাতে বললাম - " বাহ! ফুলি তো দেখি দারুন বুদ্ধিমান। "
" হু।আমার বাপেও বুদ্ধিমতি ডাকে আমারে।! " বত্রিশ কপাটি বের করে জবাব দিলো ফুলি।
তারপর বেনী দুলাতে লাগলো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে। তার ঠোঁটের কোণে দেখলাম মিষ্টি মিষ্টি হাসি। একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে আহাদের দিকে। বোধহয় প্রেমে পড়ে গেছে ছেলেটার।সেদিকে তাকিয়ে হেসে ফেললাম আমি।
আহাদের সেদিকে একদমই ভ্রুক্ষেপ সেই। সে ব্যাস্ত হয়ে আছে তার আপন ভুবনে। খুব মনযোগ সহকারে লাইটার দিয়ে সিগারেট ধরাচ্ছে। এগারো টাকা দামের বিড়িটায় টান দিতে দিতে আমার দিকে মুখ তুলে তাকালো আহাদ। আমার বিরক্ত মুখের দিকে তাকিয়ে শয়তানী ধরনের একটা হাসি দিলো সে। তারপর সদ্য ধরানো সিগারেটটা এগিয়ে দিতে দিতে বলল - " বিড়ি খাবি? "রাগে গজ গজ করে উঠলাম আমি। কঠিন স্বরে কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে গেলাম। পাশে তাকিয়ে দেখলাম হাসতে হাসতে রীতিমতো মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে ফুলী। আহাদের কথায় মজা পেয়েছে অনেক।
" আচ্ছা পাহাড়ী ডাকিনীর ব্যাপারে কিছু জানো ফুলি? " হঠাৎ কথা বলে উঠলো আহাদ।
মূহুর্তের মধ্যেই কেমন যেনো চুপসে গেলো ফুলীর মুখ।হাসির জায়গাটা দখল করে নিলো একরাশ ভয় আর আতঙ্ক।
( চলবে)
সরি একটু বিজি। তাই নেক্সট পার্ট টা দিতে দেরী হলো। কাল থেকে নিয়মমতো দিবো।😖