দেবায়নকে নিয়ে অনুপামা সোজা দেবায়নের বাসায় উঠলো। আসতে আসতে রাত ৮টা বেজে গেলো। অনুপমা তার মাকে ফোন দিয়ে বলে দিলো আজ রাতে সে দেবায়নের বাড়ীতেই থাকবে। পারমিতা দেবায়নকে দেখতে বাসায় আসতে চাইলো, কিন্তু অনুপমা বললো কষ্ট করে এতো রাতে আর আসতে হবে না কাল আসলেও চলবে। পারমিতা অনুপমাকে দেবায়নের যত্ন নিতে বলে ফোন রেখে দিলো। কতোদিন সে দেবায়নের স্পর্শ পায়নি, আজ মন ভরে তার আদর নিবে এই চিন্তা মাথায় আসতেই অনুপমার শরীর গরম হয়ে গেলো।
এদিকে দেবশ্রী ছেলের আগমন উপলক্ষে তার পছন্দের সব আইটেম রান্না করেছে। খেতে বসে তার পছন্দের সব খাবার দেখে আনন্দে মাকে জড়িয়ে ধরে মায়ের গালে ভিজে চুমু এঁকে দিলো দেবায়ন, ঠিক তার বান্ধবীর মতো। অনেক দিন পর গালে ছেলের ঠোঁটের স্পর্শ পেয়ে দেবশ্রীর শরীরে শিহরণ খেলে গেলো। আর একজন নারী কখন শিহরিত হয় তা আরেকজন নারী ঠিকই বুঝতে পারে। দেবায়নের স্পর্শেই যে দেবশ্রী শিহরিত হয়েছে তা ঠিকই অনুপমা বুঝতে পেরেছে। এমনিতেই দেবায়নেকে অনেকদিন পর কাছে পাবে চিন্তাতে সে গরম হয়ে ছিলো তার উপর ছেলের স্পর্শে দেবশ্রীর চোখ বন্ধ হয়ে গেছে, তা দেখে অনুপমা আরও উত্তেজিত হয়ে উঠলো। এটা যে নিষিদ্ধ কামের উত্তেজনা তা বুঝতে পেরে অনুপমার গাল লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। সে নিজেকে শান্ত করে নিলো। দেবশ্রীর জন্য অনুপমার অনেক খারাপ লাগলো। তার হবু শাশুড়ি (যাকে নিজের মায়ের থেকেও বেশি ভালবাসে অনুপামা) যে অনেক দিনের অভুক্ত তা বুঝতে পারে সে। জানে ধৃতিমানের পর তার লক্ষী মামনিটা আর কাউকেই আপন করে কাছে টেনে নেয়নি। দেবায়ন যেমন অনুপমার মায়ের চাহিদা পূরণ করেছে তাকে কাছে টেনে অনুপমা মনে মনে ঠিক করলো দেবায়নের মায়ের দৈহিক চাহিদা মিঠানোর ব্যবস্থা সেই করবে।
এদিকে অনেকদিন পর ছেলের এমন উষ্ণ আলিঙ্গনে দেবশ্রীর মাথা প্রায় নষ্ট হয়ে যাওয়ার অবস্থা। হঠাৎ অনুপমার কথা মনে হতেই লজ্জায় কান লাল হয়ে গেলো তার। কোনমতে দেবায়্নকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো দেবশ্রী। লজ্জায় অনুপমার দিকে তাকাতে পারলো না সে। দেবায়ন অবশ্য এই স্বল্প সময়ে তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই নারীর মধ্যে কি ঘটেছে তা বুঝতে পারলো না। সে চেয়ার টেনে বসে পড়লো খেতে। দেবশ্রী অনুপমার পাশে বসলো। দুজনের থালায় খাবার দিয়ে নিজেও নিলো, কিন্তু কেন জানি সে খেতে পারছে না। নিজের হবু বউমার সামনে তারই নিজের ছেলের আলিঙ্গনে সেক্সের জ্বালায় পাগল হয়ে যাওয়ার জন্য নিজেকে ধিক্কার দিলো।
CZYTASZ
'পাপ কাম ভালোবাসা - ২'
Romansটানা ২০ দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকার পর ছাড়া পায় দেবায়ন। দেবায়ন আগেই চলে আসতে চেয়েছিলো, কিন্তু সবার এক কথা... সম্পূর্ণ সুস্থ না হয়ে হাসপাতাল থেকে বের হতে পারবে না সে। কি আর করা? বাধ্য হয়েই তাকে এই কয়দিন হাসপাতালে থাকতে হলো। যদিও সে জানে সবাই তা...