প্রেয়সীর বাহুডোর

630 1 0
                                    

কলিংবেলের শব্দে অনুপমার ঘুম ভেঙ্গে যায়... বিছানা থেকে উঠে রুম থেকে বাহির হতে যাবে দেখে দেবায়ন মাকে নিবিড় ভাবে জড়িয়ে ধরে আছে... মামনির কামুক চাহনি দেখে অনুপমা আর ঘর থেকে বের হয়না... দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে কি ঘটে... সে মন থেকেই চায় দেবায়ন যেমন করে তার মায়ের চাহিদা পূরণ করেছে ঠিক তেমনি তার মামনির চাহিদাও যাতে সে পূরণ করে... কিছুক্ষন পর তার মামনি দেবায়নকে রুমের দিকে ঠেলে দিচ্ছে দেখে মামনির উপর বিরক্ত হয় এমন সুযোগ হাত ছাড়া করার জন্য... পরক্ষনে এই ভেবে নিজেকে শান্তনা দেয় যে দেবায়ন যখন হাত বাড়িয়েছে তার মামনিকে আর বেশীদিন অপেক্ষা করতে হবে না... দেবায়নকে রুমের দিকে আসতে দেখে সে মুচকি হেসে আবার বিছানায় উঠে কম্বল গায়ে টেনে শুয়ে পরে...

রুমে ঢুকে অনুপমাকে শোয়া দেখে দেবায়ন নিজেকে বলে যে, প্রেয়সীকে উত্যক্ত করে লাভ নেই। ঘরের মধ্যে মৃদু নীলচে আলো ঘরে একটা অপরূপ রোম্যান্টিক শোভার আবহাওয়া তৈরি করেছে। অনুপমা কম্বল গায়ে বিছানায় শুয়ে আছে। বিছানার একপাশে শুয়ে আছে সে, ঠোঁটে লেগে আছে এক অধভুত মিষ্টি হাসি। ডান হাত ভাঁজ করে মাথার নিচে রাখা, উন্মুক্ত মসৃণ ফর্সা হাত। মাথার চুল মাথার পেছনে হাত খোঁপায় বাঁধা বালিশের উপরে এলিয়ে পরে আছে। ঘরের মৃদু নীলচে আলো ওর ত্বকের উপর যেন পিছলে যাচ্ছে। বাম হাত মুঠি করে কম্বলটিকে আঁকড়ে ধরে আছে উন্নত বুকের কাছে। কম্বলে ঢাকা দেহের অবয়াব দেখে মনে হয় যেন সাদা সমুদ্রের উপরে এক মত্ত ঢেউ। উঁচু কাঁধ, সরু হয়ে নেমে এসেছে পাতলা কোমরে তারপরে ফুলে উঠেছে সুগোল নিতম্বদেশ। বাম পা ডান পায়ের সামনে রাখা, যার জন্য দেহের অবয়াব দেখে মনে হয় যেন এক জলপরী শুয়ে দেবায়নের দিকে প্রেমাগ্নির চাহনি নিয়ে তাকিয়ে।

নাকের ডগা লাল, গাল গোলাপি। মুখে প্রসাধনির লেশ মাত্র নেই, কানে দুল নেই, হাতে চুড়ি নেই। কাজল কালো, বাঁকা ভুরু জোড়া যেন ওকে উত্যক্ত করে জিজ্ঞেস করছে, কি ওই রকম ভাবে দেখছ? কোমল লাল ঠোঁট জোড়া অল্প খোলা, তার মাঝে ঝিলিক মারে মুক্ত সাজান দাঁত। চেহারায় এক সুন্দর আলোক ছটা।

'পাপ কাম ভালোবাসা - ২'Donde viven las historias. Descúbrelo ahora