-"তিন্নি খেতে এসো !!"
Diary ta বন্ধ করলো তিন্নি ওরফে তিলোত্তমা চ্যাটার্জী, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের branch manager।
গতমাসে কাজের সূত্রে ব্যাঙ্গালোর যেতে হয়েছিল তিন্নিকে। সেখানেই একটা মন্দিরের পাশে সে এই diary টা খুঁজে পায়। চারদিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও diary র মালিকের খোঁজ না পাওয়ায় তিন্নি এটাকে বাড়ি নিয়ে আসে।
নীচে খেতে গিয়ে দেখলো অন্যদিনের মতোই সবাই খেতে বসেছে, শুধু তার মা দাঁড়িয়ে। কারণটা তিন্নির জানা। সবার খাওয়া শেষ হলে মা খাবে। টেবিলের একটা chair ফাঁকা।
তিন্নি জানতো তাঁর মায়ের প্রতি সবার বিরূপ আচরণের কারণ। তিন্নির মামাবাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো না। মামা একটা খুব অল্প মাইনের চাকরি করতেন। তাছাড়া তিন্নির মাও মাধ্যমিকের পর আর পড়তে পারেননি।
প্রত্যেকদিনের মতো এদিনও তিন্নির জেঠি কিছু বলতে যাচ্ছিলেন নিজের ছোট জাকে উদ্দেশ্য করে। কিন্তু তার আগেই তিন্নি বলে উঠলো,
-"আজ থেকে আমার মায়ের সঙ্গে কেউ যদি খারাপ ব্যবহার করে আমি কিন্তু তাকে ছেড়ে কথা বলবো না ।"
-"তিন্নি !!" চিৎকার করে উঠলেন তার বাবা।
-"যেটা এতদিন তোমার করা উচিত ছিল সেটা আমি করছি বলে তোমার খারাপ লাগছে, বাবা ?"
তিন্নির বাবার মাথা হেঁট হয়ে গেল।
-"একটা কথা আজ আমি স্পষ্ট বলে দিচ্ছি, আমার মা যদি তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা এখানে না পান ,আমরা কিন্তু বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যাব।" এই বলে টেবিল ছেড়ে উঠে গেল তিন্নি।
******
অনেক রাত্রে যখন ওর মা জিজ্ঞেস করলো,
-"তোর কী হয়েছে ??"
তিন্নি ভাঙা গলায় উত্তর দিল,
-"এটা অনেক আগে হওয়া উচিত ছিল। আমাকে ক্ষমা করে দিও মা।"
YOU ARE READING
|| শিমন্তীনি || ✔️
Short Story" শীমন্তীনি " ~ যে নারীর সিঁথি ভরা সিঁদূর ।। **Written in the form of a diary** Cover by @Elegiac_Damsel 💗