২০শে আষাঢ়, ১৪২৫

126 22 6
                                    

আজ ১৫ দিন হলো মামনিও আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন। গতকালই সব কাজকর্ম মিটলো।

তাঁর ইচ্ছানুযায়ী, মামনির দেহদান করা হয়েছে। মানুষটার কথা এখনো মনে পড়ে,
"আমি মরে গেলে, আমাকে পোড়াবি না। দেহদান করে দিবি।"

মামনির চলে যাওয়া ইস্তক আমি ঘুমাতে পারিনা। জানি না কেন, চোখ বুঝলেই অগ্নিভর সেই অবস্থার ছবিটা বারবার ভেসে ওঠে। আমার পক্ষে সেটা সহ্য করা অসম্ভব।

আমাদের বাড়ির বাগানে ছোট করে শ্রাদ্ধের আয়োজন করেছিলাম। পাড়ার অনেকেই এসেছিলেন, আর তার সাথে অগ্নিভ আর বাপির কয়েকজন বন্ধু। কোনো খাওয়া-দাওয়ার arrangement ছিল না, কারণ শ্রাদ্ধে খাওয়াটা আমি, মামনির মতোই, অপছন্দ করি। অতিথিদের জন্য অল্প মিষ্টি আর শরবতের ব্যবস্থা করেছিলাম।

আমার বাবা মায়ের অবশ্য ইচ্ছে ছিল, তাঁদের বাড়িতে শ্রাদ্ধ হউক, যেহেতু মামনি সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কিন্তু আমি তা চাইনি। যে বাড়িতে মানুষটা জীবনের অর্ধেকের বেশি কাটিয়েছে, যেটা আঁকড়ে ধরে বেঁচে থেকেছে সেখানেই শেষ কাজটা করা হয়েছে।

|| শিমন্তীনি || ✔️Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang