কি? চেনা যায়? মোম জ্বেলে তো দেখলেন না?
থতমত খেয়ে গেলাম সেজেগুজে আসা শাড়ী পড়া মেয়েটার কথা শুনে, আমার সাথে থাকা বন্ধুরাও হতবাক, ঘটনা কি?
আফিসার্স ক্লাবে সিনিয়র ভাইয়ের বিয়ে খেতে এসেছিলাম, কিন্তু বাদামী চোখের চাহনী সময়কে রিওয়াইন্ড করে দুবছর পেছনে নিয়ে গেল।আর্কির এক সিনিয়র ভাই টিউশনিটা দিয়েছিল। আগের টার্ম ফাইনালসের সময় পুরোনোটা ছেড়ে দিয়ে ভালরকম অর্থসংকটে পড়ে গিয়েছিলাম। এটাও মাত্র তিনমাসের, ভর্তি পরীক্ষার জন্য, তবে সাত হাজার দেবে সেটাই ভরসা। বনানীতে এপার্টমেন্টের নীচে এসে একটা কল দিলাম, আগেও এই মহিলার সাথে কথা হয়েছে ওনার মেয়ে পড়বে। লিফট পার হয়ে দরজা নক করতে ৫/৬ বছরের একটা বাচ্চা খুলে দিল, ফর্সামত মোটাসোটা একটা মহিলা টিভি দেখছে, ফোনের মহিলা উনিই হবেন। পরিচয় পর্ব শেষে উনি যা বললেন তার সারমর্ম হলো মেয়েকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াতে হবে, সানরাইজে ভর্তি হয়েছে, তারওপর বাসায় আমাকে এসে পড়াতে হবে। অনেক কথা হলো, একফাকে সাত হাজারের ব্যাপারটা কনফার্ম করে নিলাম। ঘরভর্তি দামী আসবাব পেইন্টিং এ ভরা। আব্বু সাহেব ঘুষখোর না হয়েই যায় না। ড্রয়িং রুমের সাইজ দেখে অনুমান করি অন্তত আড়াই থেকে তিন হাজার স্কয়ারফীটের ফ্ল্যাট হবে।
উনি বললেন, ঠিকাছে তাহলে নাবিলার রুমে যাও, ও রুমে আছে।
এই বলে কাজের মেয়েটাকে ডেকে বললেন, টিউটর এসেছে ওনাকে নিবির রুমে নিয়ে যাও।
মেয়ের নাম তাহলে নাবিলা। দুটো নাবিলাকে চিনি, দুটৈ সুন্দরী এবং মহাবজ্জাত, দেখি তৃতীয়টা কেমন হয়। আমি জুতাটা বাইরে খুলে রেখে এসেছি, কিন্তু গান্ধা মোজাটা খুলে আসতে মনে ছিল না। ফ্লোর যে পিচ্ছিল মোজায় মোড়ানো পা না হড়কে যাই। লিভিং রুম কিচেন সব ঝকঝকে এপ্লায়েন্স আর ফার্নিচারে ঠাসা। করিডোর পার হতে গিয়ে আরেকটা হোচট খেলাম। দেয়ালে ছোট সাইজের ফ্রেমে জিন্নাহর ছবি। কিভাবে সম্ভব? বাংলাদেশে?
কাজের মেয়ের ঢলঢলে পাছা দেখতে দেখতে নাবিলার রুমের সামনে গেলাম। ঢাকা শহরে যত কাজের মেয়ে দেখেছি তাদের সবার সেক্সী ফিগার থাকে। এ ব্যাপারে আমার একটা থিওরী আছে। কাজের মেয়েরা দিনে রাতে ১৬/১৭ ঘন্টা খাটাখাটুনি করে এক্সারসাইজের সুযোগ পায়, এজন্য দেহের বাধুনীগুলো থাকে মারাত্মক।
ESTÁS LEYENDO
তানিম সিরিজ (১৮+)
Romanceতানিমের ইরোটিক জগতে আপনাকে স্বাগতম। তানিম সিরিজের সবগুলো গল্প একসাথে। (সংগৃহীত সিরিজ)