হয়তো আমাদের ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে নাফিসা। হ্যা সে সুন্দরী, তবে আমি মনে করি না সে সবার থেকে অধিক সুন্দরী। কিন্তু আমাদের ক্লাসের ম্যাক্সিমাম ছেলেরই পছন্দ সে। প্রতি তিনজনের ২জন ছেলেই নাফিসাকে পছন্দ করে।
অন্যদিকে আমি হচ্ছি ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে সাধারণ এক ছেলে। আমি চুপচাপ দাড়িয়ে থাকলে অনেকে অনেক সময় ভুলেই যায় আমি সেখানে এখনও উপস্থিত।
আমার এখনও মনে আছে ক্লাসের প্রথমদিনের কথা। সেদিন ক্লাসে ঢুকেই সবার আগে আমার চোখ যার উপর পড়েছিল সে হলো নাফিসা। চোখ পড়তেই আমাদের চোখাচোখি হয়। এবং বলতে গেলে সাথে সাথেই আমি চোখ সরিয়ে নি। আমি তখন ভাবতাম সুন্দরী মেয়েরা অহংকারী হয়। তাই প্রথম থেকেই পাত্তা দেই নি আমি। তবে আমার কিছু বন্ধুদের দেখতাম নাফিসাকে দেখলেই অজ্ঞান হয়ে যেত।
এভাবে ক্লাস শুরু পর প্রথম শুক্রবারে ক্যাম্পাস থেকে একটু দূরে একা একাই গেলাম আশেপাশের জায়গা চিনতে। ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ১৫-২০ মিনিট হেঁটে হেঁটে একটি পার্কের কাছে এলাম। পার্কটিকে আশেপাশের বিল্ডিং গুলোর মাঝে বেশ উদ্ভট লাগছিল। বেশ কিছু ছেলেপুলেরা পার্কে খেলা করছে দেখতে পেলাম। দেখতে ভালই লাগছিল। এমন সময় আমি দেখলাম পার্কের এক পাশে একদল সেচ্ছাসেবী গরীব ছেলেমেয়েদের নতুন জামাকাপড় থেকে শুরু করে খাবার দাবার ইত্যাদি দিচ্ছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে তারা তাদের এসব বিনামূল্যে বিতরণ করছে না!
দুই তিনজন সেচ্ছাসেবী তাদের কিছু পড়াশুনা শিখাচ্ছে এবং শিখানো শেষে তাদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছে। যারা পারছে তাদের পুরষ্কার হিসেবে জামাকাপড় এবং খাবার দাবার ইত্যাদি দিচ্ছে। আমার এ উদ্যোগটি বেশ ভালো লাগলো। আমি এগিয়ে গেলাম এ সেচ্ছাসেবী দলে যোগ দিতে। কাছে গেলে খেয়াল করলাম যে তিনজন সেচ্ছাসেবী শিক্ষক হিসেবে পড়াচ্ছেন তাদের মাঝে একজন হচ্ছে নাফিসা! আমার আর ওইদিন সাহস হয় নি সামনে গিয়ে জিজ্ঞাসা করার।
পরেরদিন ক্লাসে স্যার আমাদের গ্রুপ টাস্ক দিলেন। দুজন ছেলে কিংবা দুজন মেয়ে মিলে একেকটি গ্রুপ করে দিলেন স্যার। ছেলেদের মাঝে আমি ও মেয়েদের মাঝে নাফিসা অবশিষ্ট থাকায় আমাদের পেয়ার করে দিলেন স্যার।
YOU ARE READING
A Series of "Frost"
Short StoryShort stories are the mirror of life. They mirror life. These are the short stories of many different genres.