মায়ের ডাকাডাকিতে আমার সাধের ঘুম ভেঙে গেল। অনেক কষ্টে তাকিয়ে দেখি আব্বা আমাকে মারতে আসছেন আর বলছেন,"অলসের বাচ্চা, বিয়ার দিনও দুপুর পর্যন্ত ঘুমানো লাগে?" আমি আব্বাজানের এমন একশন দেখে দৌড়ে পালাতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আব্বার কথা শুনে থমকে গোলাম আর বললাম,"কি কইলেন আব্বাজান? আমার বিয়া?" আমার কথা শুনে আব্বার মুখখানা এমন হয়ে গেল যে আমার মনে হতে লাগল যে আব্বার মাথার উপর একটি পাতিলে চাল আর পানি দিয়ে দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ভাত হয়ে যাবে। অনেক কষ্টে উক্ত স্থান হতে একরকম মুখ লুকিয়ে পালিয়ে গোসল সেরে নিয়ে ভাবলাম যে বিয়ে যখন হচ্ছেই, তখন বসে বসে বিয়ের মজা নেওয়াই উত্তম। কেমনে কি হচ্ছে সেটা চিন্তা না করাই ভালো। শুধু শুধু মাথার চুল পাকানোর দরকার নেই। কিন্তু একটু কষ্ট লাগছিল। কেননা অনেক ইচ্ছা ছিল একখানা গার্লফ্রেন্ড বানিয়ে প্রেম করব। পরে ভাবলাম বিয়ের পরেই না হয় বউয়ের সাথে প্রেম করা যাবে। এই খুশিতে নাচতে নাচতে রেডি হয়ে নিলাম। রেডি হয়ে নিচে গিয়ে দেখি যে সবাই বিয়েতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। শুধু আমার আর আমার আব্বাজানের জন্য অপেক্ষা করছে। মা বলল যে আমার রেডি হতে দেরি হচ্ছে বিধায় আমার আব্বা আমার জন্য একখানা বাঁশ আনতে গেছেন। একথা শুনে আমি দৌড়ে গাড়িতে উঠে বসলাম আর ডিফেন্সের জন্য কয়েকটা বন্ধুকে সাথে নিয়ে নিলাম।
কিছুক্ষণ পর আব্বা এলে আমার বরযাত্রী পাত্রির বাড়ি, আই মিন আমার বৌয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা করল। বিশাল বড় এক রাজকীয় বাড়ির সামনে আমার গাড়ি থামল। বিশাল বড় এক গেট সাজানো। গেটের সামনে দাড়িয়ে বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধন করছেন কয়েকজন সুন্দরী রমনি। পরে জানতে পারলাম তারা আমার শালি! মনের ভেতর আনন্দে নাচানাচি করছিলাম। এর মাঝে শুনতে পেলাম আমার এক বন্ধু বলছে, "শুন দোস্ত, তোমার একটা শালির সাথে আমার লাইন লাগায়ে দিবা কিন্তু..." সালার কথা শুনে তখনই সালারে আছাড় মারতে ইচ্ছা করছিল। কিন্তু কাজটা স্থগিত রাখতে হল। কেননা পেছন থেকে আব্বাজানের কণ্ঠস্বর শোনা গেল, "কিরে?" আব্বার ডাক শুনে আর অপেক্ষা করলাম না। আমার শালিদের একরকম ধাক্কা দিয়েই ঢুকে পড়লাম বিয়ে বাড়িতে। ভিতরে ঢুকার পর আমার এক বন্ধু বলল, "দোস্ত তোর শালিগুলাই কত সুন্দর,আর তাইলে তোর বউ না জানি কত..."
অনেক কষ্টে বিয়ে করে শালিদের সাথে গল্প করতে করতে আমার রুমে গেলাম। বৌয়ের সাথে সারারাত আড্ডা দিব এই নিয়ত ছিল। ঘরে ঢুকে দেখলাম বউ ঘোমটা দিয়ে আমার জন্য অপেক্ষা করছে। ঘরে ঢুকে বললাম, "বউ,তোমার ঘোমটাটা একটু সরাও তো।" বউ বলল,"আপনি সরান।" আমি বললাম,"আমি সরালে পাঠক জুতাপিটা দিবে।" বউ আমার বলল,"আচ্ছা, ঠিক আছে।" বৌয়ের মধুর কণ্ঠে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। তাই বৌয়ের সাথে কি কি বিষয়ে গল্প করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করছিলাম। এমন সময় দেখি বউ আমার ঘোমটা খুলেছে। বৌয়ের চেহারা দেখে আমি চিৎকার করে বললাম,"মা গো, আব্বা গো, তোমরা তোমাগো কথা রাখলা গো। পেত্নির সাথে আমার বিয়ে দিলা বৌয়ের মধুর কণ্ঠে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। তাই বৌয়ের সাথে কি কি বিষয়ে গল্প করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করছিলাম। এমন সময় দেখি বউ আমার ঘোমটা খুলেছে। বৌয়ের চেহারা দেখে আমি চিৎকার করে বললাম,"মা গো, আব্বা গো, তোমরা তোমাগো কথা রাখলা গো। পেত্নির সাথে আমার বিয়ে দিলা গো।" চিৎকারের চৌটে আমার ঘুম ভেঙে গেল। সামনে তাকিয়ে দেখি আব্বা আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন। আমার আব্বাজান এতটাই অবাক হয়েছেন যে কিছুই বলতে পারছিলেন না। আমি আর কি করব, আব্বা স্বাভাবিক হওয়ার আগেই বগলের নিচে জুতা নিয়ে দৌড় দিলাম!
ESTÁS LEYENDO
A Series of "Frost"
Historia CortaShort stories are the mirror of life. They mirror life. These are the short stories of many different genres.