❝ ফোকলোরের মনোসমীক্ষণ তত্ত্ব ❞

0 0 0
                                    

"মনঃসমীক্ষণ ত্তত্ত্ব" (psycho-analytical   Therory) মানুষের মনের অবচেতন আকাঙ্ক্ষার প্রতীকী প্রকাশ ব্যাখ্যা করা হয়।" মনোসমীক্ষণের স্রষ্টা #সিগমুন্ড #ফ্রয়েড ভিয়েনার এই চিকিৎসক প্রথমদিকে সম্মোহনের সাহায্যে নিউরোসিস, বিশেষ করে হিস্টিরিয়ার চিকিৎসা ...

Oops! This image does not follow our content guidelines. To continue publishing, please remove it or upload a different image.

"মনঃসমীক্ষণ ত্তত্ত্ব" (psycho-analytical Therory) মানুষের মনের অবচেতন আকাঙ্ক্ষার প্রতীকী প্রকাশ ব্যাখ্যা করা হয়।" মনোসমীক্ষণের স্রষ্টা #সিগমুন্ড #ফ্রয়েড ভিয়েনার এই চিকিৎসক প্রথমদিকে সম্মোহনের সাহায্যে নিউরোসিস, বিশেষ করে হিস্টিরিয়ার চিকিৎসা করতেন। রোগীদের দেখা নানা ধরনের স্বপ্ন বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন মানসিক রোগের কারণ এবং মনোসমীক্ষণ পদ্ধতির সাহায্যে তা নিরাময়ের পথ আবিষ্কার করেন। ফ্রয়েডের মতে- আমাদের যে মনটাকে আমরা চিনি, বুঝি- অর্থাৎ যে মনটার মধ্যে ইচ্ছা: "আবেগ", এসব জেগে ওঠে তা হলো 'চেতন-মন; সেই চেতন মনের গভীরে থাকে আর একটা " অবচেতন মন " যার অস্তিত্ব আমরা কৃচিৎ-কদাচিৎ টের পাই।আমরা যখন জেগে থাকি, যখন নানা কাজে ব্যাস্ত থাকি তখন আমাদের ভাবনা,চিন্তা, আবেগ,অনুভূতি -সবই চেতন মনের নিয়ন্ত্রণে। ঘুমের সময় আমাদের অবচেতন মনের আশা- আকাঙ্ক্ষা স্বপ্নের রূপ ধরে আমাদের চেতনার মধ্যে চলে আসতে চায়।
মনোসমীক্ষণ তত্ত্ব অনুযায়ী -আমাদের মন তিনটি অংশের সমাবেশে গঠিত। এরা হলো অদম (Id), অহম (ego),অধিশাস্তা (super ego)। "অদম " হলো আদি অবস্থা -জন্মের সময় মনের যে অবস্থা থাকে। এর মধ্যে থাকে কতগুলো সহজাতবৃত্তি, যা সব সময় বাস্তব অবস্থা এবং বিপদের সম্ভাবনাকে উপেক্ষা করে নির্বিচারে সুখের খোঁজ করে। বাস্তবের সংস্পর্শে এসে 'অদমের' অবস্থার যেই পরিবর্তন হয় তার নাম 'অহম'। এর কাজ হলো বাস্তব অবস্থা এবং অধিশাস্তার (সুপার ইগো) অনুশাসন মেনে অদমের ইচ্ছাশক্তিকে পূরণ করা।
ফ্রয়েড তথাকথিত বিবেক,বাবা মায়ের নৈতিক উপদেশ, সমাজবিধান, জীবনের আদর্শবোধ এগুলোকে একসঙ্গে "অধিশাস্তা" বলে অভিহিত করেছেন। এর কাজ হলো শৈশবের শিক্ষাগত নীতিবোধ ও আদর্শ অনুযায়ী "অহম" কে পরিচালনা করা।
মনোসমীক্ষণের মাধ্যমে স্বপ্ন ও আচার-আচরণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ফ্রয়েড দেখেছিলেন -
সভ্য মানুষ তার অতৃপ্ত ও বিকৃত বা অসামাজিক যৌন কামনা ও আকাঙ্ক্ষাকে অবদমিত করে চেতন-মন থেকে জোর করে অবচেতন মনে পাঠিয়ে দেয়। অবচেতন মনে বন্দি হলেও সেসব কামনা-বাসনা নিষ্ক্রিয় থাকে না, তারা স্বপ্নের মাধ্যমে অথবা মানসিক রোগীর অস্বাভাবিক কথাবার্তা ও আচার-আচরণের মধ্য দিয়ে নিজেদের প্রকাশ করে। চেতন মন ও অধিশাস্তার নজর এড়ানোর জন্য প্রায়ই এদের প্রতীক এক ছদ্মবেশ নিতে হয়। যেমন স্বপ্নের মধ্যে মানুষ জীবনকে বৃক্ষরূপে দেখে। পুরুষাঙ্গ সাপের আকার নিয়ে সামনে আসে, সন্তরণ হয় যৌন সুখের প্রতীক।

ফোকলোর তত্ত্ব ও বাংলা লোকসাহিত্য Where stories live. Discover now