দ্বিতীয় অংশ

380 1 0
                                    

আমার কর্মদিবস শেষ হলো রাত ১ টার পর। দেশে বসে বিদেশী কোম্পানিতে কাজ করার এই এক অসুবিধা। টাইম জোনের কারণে অসময়ে কাজ করতে হয়। আইরিশ একটা কম্পানিতে ডেভলপার হিসেবে কাজ করি। দেশে বসে ইউরোতে বেতন! ব্যাপারটা লোভনীয়। আজ weekdays এর শেষ মিটিং ছিল, সেটা শেষ করতেই এরকম রাত হলো। না হলে রিমোট জব হবার কারণে বেশ flexibility আছে। ইচ্ছে মতো সময়েই সাধারণত কাজ করা সম্ভব। তবে মিটিং থাকলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। তবুও the flexibility of remote job outruns everything else, অতুলনীয়! Thank you, Covid! সব খারাপেরই কিছু ভালো দিক থাকে। কোভিড না আসলে কেউই হয়তো এভাবে remote job এর চিন্তা করত না।

ফোনটা সাইলেন্ট ছিল। কাজের সময় ফোনটা দূরে, সাইলেন্ট করেই ফেলে রাখি। প্রোডাক্টিভিটি গুরুদের থেকে শিখেছি। তবে ঘুমানোর আগে ফোন ব্যবহার করা উচিত নয়, এটা ঠিক এখনও incorporate করতে পারিনি। তাই বিছানায় শুয়েই ফোন হাতে নিলাম। আনলক করতেই দেখলাম বহু আকাঙ্ক্ষিত সেই মেসেজ, অর্পিতা WhatsApp এ লিখেছে-

"Hello!"

১১:৩৮ এ এসেছে মেসেজটা। অনেকক্ষণ পেরিয়েছে। গভীর রাত। তবুও উত্তর করলাম।

"Sorry, ফোনের কাছে ছিলাম না। একটু ব্যস্ত ছিলাম কাজ নিয়ে।"

সাথে সাথেই উত্তর! ওয়াও! অর্পিতা তাহলে actively chat করাও শিখে গিয়েছে। আগে তো একটা মেসেজ দিয়ে অপেক্ষা করতে হতো উত্তরের জন্য।

"সমস্যা নেই। তুমি কী করছ? কল করা যাবে?

আমিই কল করলাম ওকে।

" সরি, একটা মিটিং ছিল। এজন্য ফোনটা সাইলেন্ট করে রেখেছিলাম।"

"ঠিক আছে, এতো apologise করতে হবে না। একটু তো বদলাও এখন। যেখানে নিজের দায় নেই, সেটাও কেন নিজের মাথায় তুলে নাও?"

কিছু বললাম না। ব্রেকাপের পর আমি জানতাম না ও অন্য কারো জন্যে আমার সাথে breakup করেছে। ও নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছে, সেটা অনেক পরেই জানতে পারি। ঐ সময়ে সব কিছু আমার দোষে হয়েছে, সব কিছুর দায় নিজের উপর নিয়ে ওর কাছে নত হয়েছিলাম। আমার শত সহস্র অনুরোধেও তখন ওকে ফেরাতে পারিনি। এতদিন পর ও সেই রেফারেন্সই কথা বলল। কী বলব বুঝতে পারছি না। ও ছেড়ে যাওয়ার পর আমার জীবনটা কী দূর্বিষহ হয়ে পড়েছিল, সেটা যদি ওকে কখনও দেখাতে পারতাম। 

যেসব রাতের নামWhere stories live. Discover now