আমি innocence নিয়েই সম্পর্কে জড়িয়েছিলাম। ওকে ভালোবেসেই, ভিন্ন উদ্দেশ্য আমার আদৌ ছিল না। তবে আমাদের সম্পর্কটাই ছিল ভীষণ উল্টো.....
সাধারণত ছেলেরাই একটা সম্পর্কে জড়ায় casual sex এর জন্যে। অন্তত psychology সেটাই বলে। আর মেয়েরা জড়ায় নিরাপত্তার জন্যে। শারীরিক, মানসিক আর আর্থিক নিরাপত্তা। যৌনতা সেখানে একটা অংশ, কিন্তু প্রধান উদ্দীপনা নয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে সেক্সটাই সব, অন্তত সব না হলেও ৯৯% তো বলাই যায়!
আমাদের ক্ষেত্রে সমীকরণটা উল্টো কেন বলছি, নিশ্চয় বুঝতে পারছেন। এই লেখার এই পর্যন্ত পড়ে নিশ্চয় আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে আমার personality কেমন। Social outcast, completely. এর সাথে আরেকটা জিনিসও আছে, সেটা হলো Alpha male বলতে যেটা বোঝায়, আমি আসলে সেটা নই। আমাদের সম্পর্কে dominant character সব সময়ই Arpita. সম্পর্কের গতি সব সময় ওই নির্ধারণ করত। এক বছরের সম্পর্কে সবটাই ও নিয়ন্ত্রণ করেছে, শুরুটা ওর "হ্যাঁ" তে, আর শেষটাও ওর "না" তেই হয়েছিল।
তবে একটা মেয়ে শুধু সেক্সের জন্যেই সম্পর্কে জড়াবে, এই জিনিসটা আমার পক্ষে বিশ্বাস করা খুব কঠিন ছিল। যখন বুঝতে পেরেছিলাম, তখন কিছুই বদলানোর ছিল না। আমার সাথে সম্পর্কের আগে অর্পিতার আরেকটা সম্পর্ক ছিল। সেই ছেলেটার সাথে ও এসব করে এসেছে। হঠাৎ করে ব্রেকাপ করে ফেলে ছেলেটা ওর সাথে, তাই ও অনেক বেশী desperate ছিল। এজন্যই মাত্র দেড়মাসেই আমার সাথে ও সম্পর্কে জড়িয়ে যায়। ভালোবাসার জন্যে না, যৌনতার desperation থেকে। আর ওর desperation এর ফলাফলটা আমাকেই পোহাতে হয়।
এবং পরবর্তী জীবনে আমার উপর এটার প্রভাব পড়েছে ভীষণ তীব্র ভাবে। আমি এখনও কোনো মেয়েকে আর বিশ্বাস করতে পারিনি। যে কোনো মেয়ের দিকে তাকালেই মনে হয় যেন এরাও সবাই অর্পিতার মতো। শুধু নিজের শারিরিক চাহিদার জন্যেই অন্যকে মিথ্যে ভালোবাসার কথা শুনিয়ে যায়।
আমি আর কোনোদিন কাউকে ভালোবাসতে পারব কী না, সেটা আমি এখনও বুঝতে পারিনি। হাতের পাঁচটা আঙুল যেমন সমান নয়, তেমনি সব মেয়েই সমান নয়। Theorize করে সবই বলা যায়, কিন্তু বাস্তবে আবার ভুল কাউকে ভালোবেসে জীবনটাকে এলোমেলো করে ফেলার সাহস আমার নেই।
অনেকেই হয়তো ভাবছেন জীবন আর বদলালো কোথায়। আমি যদি অর্পিতাকে ভালোই বাসতাম, তাহলে হয়তো ওর সাথে এসব করতাম না। আমিও ওর সাথে তাল মিলিয়ে সব কিছুই করে গিয়েছি, ব্রেকাপের পরও। তাহলে আমি আর কষ্টই বা পেলাম কোথায়।
Nuance টা এখানেই। পার্থক্যটা এতো সূক্ষ্ণ, যে আপনাদের বোঝাতে পারব না। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে ও ব্রেকাপের পর আসছে, আমিও সেক্সুয়ালি সব করে গিয়েছি। কিন্তু সত্যিটা হলো ওকে না বলার ক্ষমতা আমার কখনওই নেই। আমি জানি না কীভাবে, কিন্তু ওর কোনো কিছুই আমি ফেলে দিতে পারি না। সম্পর্কটা ভেঙে যাওয়ার পর ওর সাথে আমার সেক্সুয়াল সম্পর্কটাই ছিল, অন্য কোনো কথা হতো না। In fact, ও বলত না। তাই ওর সাথে কথা বলার লোভে পড়ে হলেও আমি এগুলো করেছিলাম তখন।
হঠাৎ ফোন বেজে উঠল। স্ক্রিনে ভাসছে- Arpita Sen. রিসিভ করলাম।
"হ্যালো!"
"শাওন, আমার কাজিনের ওয়াইফ মারা গিয়েছে। সেখানে যেতে হবে। I'm so sorry!"
"কীভাবে মারা গিয়েছে?"
"ক্যান্সার ছিল।" কিছুক্ষণ চুপ, তারপর আবার বলল, "আচ্ছা শোনো, এখন বের হব। তোমার সাথে পরে কথা হবে।"
"ঠিক আছে। সাবধানে থেকো।"
ও ফোন রেখে দেওয়ার পর আমি আবার আমাদের সম্পর্কের dynamics সম্পর্কে ভাবতে লাগলাম। যতোই গভীরে যাচ্ছি, মনে হচ্ছে সব যেন আমার ভুলেই হয়েছে। অপরাধবোধ জেগে উঠতে শুরু করল আমার মাঝে হঠাৎ করেই। মনে হতে লাগল যা করছি একদমই ঠিক করছি না!
**********
ESTÁS LEYENDO
যেসব রাতের নাম
Fantasíaস্বাগত সবাইকে! 🍀☘️ লেখাটা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য। তাই আপনি যদি ১৮ বছরের কম বয়সী হোন, অনুরোধ করব এড়িয়ে যাওয়ার জন্যে। যাহোক, এটা আমার প্রথম লেখা। আগে কখনও লিখিনি। প্রথম লেখা হিসেবে কেন erotica বেছে নিচ্ছি, জানি না। হঠাৎ লিখতে ইচ্ছে হলো, তাই লিখছি। একজন...