আরেকবার ঘড়ির দিকে তাকালাম আমি।সকাল ১০.৩০।
মেজাজটা খারাপ হতে শুরু করেছে।মোর্শেদকে বারবার বলে দিয়েছি সকাল ১০টার মধ্যে চলে আসবি, দেরী যেন কোনভাবেই না হয়।ইতিমধ্যেই আধা ঘন্টা বেশি পেরিয়ে গেছে, নবাবজাদার আসার কোন নাম নেই।
মোবাইলটা প্যান্টের পকেট থেকে বের করলাম।নাহ, কোন মিসকল নেই।
মোর্শেদের নম্বর ডায়াল করলাম।এনগেজড।
টুট... টুট... মনে মনে মোর্শেদকে গালি দিলাম।শালা, একেতো লেট, তার ওপর ফোন এনগেজড।নিজেও ফোন দেবে না, কারো ফোন রিসিভও করবে না।
আবার ঘড়ির দিকে তাকালাম। ১০.৩৫।
মোর্শেইদ্দা... মনে মনে আবার টুট টুট চলল।
১৩ ফেব্রুয়ারীর সকাল, পহেলা ফাল্গুন। বসে আছি হাফ ওয়ালে, ক্যাম্পাসে।আমার চারপাশে হলুদ শাড়ি-গাদা ফুল আর সাদা পাঞ্জাবি-জিন্সে গিজগিজ করছে।এদের মাঝে আমিই একমাত্র কুচকানো শার্ট আর পুরনো জিন্স পড়ে বসে আছি।নিজেকে মনে হচ্ছে হাজার হাজার "জাগো" কর্মীর মাঝে একজন পথশিশু!
হঠাত দেখি ক্যাফেটেরিয়া থেকে বেরিয়ে আসছে সেলিম।আরে পাশে এটা কে?
ঐ সেলিম।আমি ডাক দিলাম।ক্যাফে থেকে বান্ধবীসমেত বেরিয়ে হঠাৎ নিজের নাম শুনে একটু চমকে গেল সেলিম।আমি হাত নাড়লাম। এদিকে।
অবশেষে আমাকে দেখতে পেল সেলিম।মেয়েটিকে কি যেন বলল, তারপর এগিয়ে আসতে লাগল আমার দিকে।
কিরে দোস্ত, কি খবর? সেলিম জানতে চাইল।
কি বললি? আমি ভ্রু নাচালাম।
কাকে কি বলব? সেলিম যেন লুকাতে চাইল।
ঐ ব্যাটা, আমি কি আন্ধা? চোখের দুই পাতা কি একসাথে বান্ধা?
YOU ARE READING
তোমার বসন্ত দিনে ... ...
Romanceহলের দিকে পা বাড়াব, হঠাৎ যেন সময়টা থমকে দাঁড়াল।ক্যাম্পাসের গেট দিয়ে প্রবেশ করল এক হলুদ শাড়ি। মাথায় গ্রীক দেবিদের মত গাদা ফুলের ক্রাউন, কোমরে গাদা ফুলের বিছা।কোমরে সমুদ্রের ঢেউ তুলে চলতে লাগল সামনের দিকে,আমি আর সেলিম অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম। আমি মেয়ে...