কোথায় যেন একটা কল করল আবীর। তারপর কালো রঙের একটা জ্যাকেট গায়ে দিয়ে সানের সাথে বেড়িয়ে পড়লো রাস্তায়। শীতকাল এখনো আসেইনি পুরোপুরি, অথচ কি ভীষণ হিম হিম করা ঠাণ্ডা।
" আচ্ছা তোকে কি বলেছি, ছোটবেলায় আমাদের ক্রিকেটের বল লেগে প্রিয়ার একটা চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল? মেয়েটা আমাকে খুব পছন্দ করতো, জানিস?" রাস্তায় হাটতে হাটতে বলল সান।
আবীর ঠিক কি যেন চিন্তা করছিলো,
" প্রিয়া কে? "
আবীরের মন কিছুতেই শান্ত হচ্ছেনা। যত দিন যাচ্ছে কিছু অজানা তথ্য জানার ইচ্ছা এবং ভয় তার মাথার ভিতরে হাতুড়ির মত পেটাচ্ছে।
রাতের প্রকৃতির সৌন্দর্য তাকে আজ আর আকর্ষণ করছেনা।
প্রকৃতির কি ধরণের ত্রুটির কারণে সে মহাবিশ্বে প্রলয়ংকারী এক ক্ষমতা নিয়ে টিকে আছে তা তার জানা প্রয়োজন। একই সঙ্গে তার বিভিন্ন স্থানে একই সময়ে উপস্থিতির ব্যাখ্যা কি??
ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই আছে। আইনস্টাইন বলেছেন, এই বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বোধ্য ব্যাপার হচ্ছে, এর সবকিছুই বোধগম্য।
আবীর তাই মহাবিশ্বের সকল রহস্যময় কণা নিয়ে পড়া শুরু করেছে। সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে পড়ছে, পদার্থের সকল অবস্থা নিয়ে পড়ছে। ডার্ক এনার্জি, ডার্ক ম্যাটার, ন্যাগেটিভ ম্যাটার, ন্যাগেটিভ মাস, সুপার নিউট্রিনো, কোয়ার্ক গ্লুয়োন প্লাজমা, জেনারেল ম্যাটার কত কি! কিন্তু কোন কূল কিনারা পায় না সে।
" প্রিয়া কে মানে?"
সানের কথায় আবারো বাস্তবে ফিরে এলো আবীর ,
"যার আত্মাটা ডাকতে যাচ্ছিস তার নাম জানিস না? পরে তো প্রিয়ার আত্মা ডাকতে গিয়ে ফরিদ স্যারের আত্মাটা ডেকে আনবিরে। পড়া বাদ দিয়ে আমাদের চক্রে বসে থাকতে দেখে ক্ষেপে গিয়ে- হাতে গোবর দলা পাকিয়ে আমাদের মুখের উপর মারা শুরু করবেন। কিংবা ছুটে এসে সবার টাকলায় এক খাবলা গোবর কচলে বসিয়ে দেবেন.. যাতে চারা গজাতে পারে! হে হে!"আবীর কিছুই বলল না.. সে কিছু শুনেছে বলে মনে হয়না।
তার মাথায় এখনো ম্যাটার আর অ্যান্টিম্যাটারের ব্যাপারটা ঘুরছে। একই বস্তু যদি হয় ম্যাটার এবং নিজেই এর অ্যান্টিম্যাটার দিয়ে তৈরি, যেমন ধরা যাক 'মেজোরানা পার্টিকেল'* অথচ এরা হবে স্ট্যাবল, বিস্ফোরণ হবেনা। কি আশ্চর্য ব্যাপার!
YOU ARE READING
আবিরের ডায়েরি তেপান্তরের বালুকায় [completed]
Science Fictionপ্রকাশিত: বইমেলা ২০১৮, রোদেলা প্রকাশনী। (Nominated for The Fiction Award (TFA) 2017) #Highest_Rank1 [for 1 year] ___মুহূর্তের মধ্যে মৃদু শব্দটা গগনবিদারী শব্দে রুপান্তরিত হল! প্রচন্ড শব্দে পুরো আকাশ যেন কাঁচের মত ঝনঝন করে ভেঙে পড়তে চাইছে! আঁখি কানে...