শরতের মেঘমুক্ত আকাশের নীচে সাদা মাখনের মত জমে থাকা বালুর আস্তরণের উপর দেখা যায় অল্প কিছু নুড়ি পাথরের আনাগোনা। পানির হিল্লোলে তারা আসছে, যাচ্ছে, কখনো ভাসছে, হারিয়ে যাচ্ছে। এই পৃথিবীতে জন্ম নেয়া অল্প দিনের অভিযাত্রীদের মত অনেকটা।
তরঙ্গের উপর দিয়ে সোঁ সোঁ করে বাতাস ছুটে আসছে দ্বীপের ভিতরেও। যে বাতাসে উত্তপ্ত বালুর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অস্তিত্ব মিশে আছে। দ্বীপের যাবতীয় সমস্ত কিছুর ঘ্রাণ মিশে অদ্ভুত একটা পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।
প্রকৃতি প্রেমীদের ঘ্রাণ ও অনুভূতি শক্তি- জন সাধারণের চেয়ে এক দুই ডিগ্রী উপরেই থাকে বৈকি।
অদ্ভুত সে ঘ্রাণের খানিকটা বিনা সংকোচে ঢুকে পড়েছে আবীরের ঘরের জানালা দিয়েও।
আবীর এই মুহূর্তে তার বাবার লেখা প্রকৃতির সবচেয়ে গোপনীয় আর যুগান্তকারী বৈপ্লবিক বইটি খুলতে যাচ্ছে। যে বইয়ের প্রথম পাঠক তার বাবা হলে পরের জন সে নিজেই।
এটা সত্যিকারের বইয়ের মত মনে হলেও এটা একটা অত্যাধুনিক ইলেকট্রিকাল হলোগ্রাফিক ডিভাইস বই। বই খুললেই এর নীচের ধাতব পাত থেকে লেখাগুলি উপরে উঠে শূন্যের মাঝে ভাসছে। আবীর অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখে, ফিউচারে বই হয়ত এমনই হবে দেখতে।
" THE IMMORTAL GHOST NATURE & THE UNSEEN CRACK OF THE REALITY "
' আমি ডঃ এরিক কার্নেল। একজন বিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন স্পেশালটি থাকে, পদার্থ বিজ্ঞানী, নৃবিজ্ঞানী, পরমাণু বিজ্ঞানী, জীব বিজ্ঞানী ইত্যাদি। আমারো আছে, আমি একজন কথিত পাগল বিজ্ঞানী। হাহা।
প্রথমেই বলে রাখছি, আমি যখন এই বইটি লিখছি তখন আমরা পৃথিবী থেকে ১২ হাজার কোটি আলোক বর্ষ দুরুত্বের এক সুপার নোভা বিস্ফোরণের পাশ দিয়ে চলে যাচ্ছি। যে নক্ষত্র পুঞ্জকে অতিক্রম করছি, তা শুধু অসাধারণ নয়, একেবারে অবিশ্বাস্য। এ অনুভূতি নতুনদের জন্য শ্বাস রুদ্ধকর হবার কথা। কিন্তু এর কোন নাম নেই। থাকবে কিভাবে? কে দেবে নাম?
YOU ARE READING
আবিরের ডায়েরি তেপান্তরের বালুকায় [completed]
Science Fictionপ্রকাশিত: বইমেলা ২০১৮, রোদেলা প্রকাশনী। (Nominated for The Fiction Award (TFA) 2017) #Highest_Rank1 [for 1 year] ___মুহূর্তের মধ্যে মৃদু শব্দটা গগনবিদারী শব্দে রুপান্তরিত হল! প্রচন্ড শব্দে পুরো আকাশ যেন কাঁচের মত ঝনঝন করে ভেঙে পড়তে চাইছে! আঁখি কানে...