তৃতীয় পর্ব

630 25 0
                                    

পুরো রিসোর্ট জুরে মাত্র দুজন! রাজা রানী! হা হা হা..

হেসে উঠলো শীতুল। বিশাল বড় রাজপ্রাসাদ আকারের রিসোর্ট। এত বড় রিসোর্টে নাকি মাত্র দুজন লোক। বেশ ভালো। রাজপ্রাসাদকে এখন নিজের প্রাসাদ আর নিজেকে রাজা মনেহচ্ছে। আর কর্মচারী দুজন হচ্ছে ভৃত্য। পাশের টেবিলের মেয়েটা কি তাহলে রানী?

ভাবতেই হো হো করে হেসে উঠলো শীতুল। হাসি থামিয়ে মনেমনে বললো, 'আমার রানী তো আমার মনে, আমার কল্পনায়। মিস শ্রাবণ্য হচ্ছেন এ বাড়ির অতিথি।'

খাবার খাওয়ার সময় শ্রবণা বারবার পাশের টেবিলে শীতুলের দিকে তাকাচ্ছিলো। শীতুল আপনমনে খাবার খাচ্ছে। একবার মুখ তুলে তাকাচ্ছেও না। ওর এই ভদ্রতা খুব মনে ধরেছে শ্রবণার। অবশ্য দেখতে হবে না মনের মানুষটা কার?

শ্রবণা নিজে থেকেই বললো, 'তরকারিটা অনেক মজা হয়েছে না?'
শীতুল মাথা ঝাঁকিয়ে বললো, 'হ্যাঁ অনেক মজা হয়েছে।'

তবুও শীতুল মাথা তুলে তাকালো না। শ্রবণা আবারো বললো, 'এদের রান্নাটা আর পরিবেশন বেশ চমৎকার তাইনা?'
- 'হ্যাঁ।'

শীতুলের কথা বলার দিকে কোনো আগ্রহ নেই দেখে আর প্রশ্ন করলো না শ্রবণা। চুপচাপ খাবার খেয়ে নিলো। খাওয়ার শেষ দিকে শুরু হলো বৃষ্টি। শ্রবণা তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করে ক্যান্টিনের বারান্দায় এসে দাঁড়ালো। লেকের জলে টিপটিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। চারিদিকেই টলমল করছে লেকের পরিষ্কার জল। সুবিশাল লেকের মাঝখানে অনেকটা আইল্যান্ড টাইপের ছায়াঘেরা জায়গায় এই রিসোর্ট। রিসোর্ট না বলে রাজপ্রাসাদ বললেও ভূল হবে না। সুন্দর রাজপ্রাসাদে কক্ষের কোনো হিসেব নেই। অথচ আজকে পুরোটা জুরে মানুষ মাত্র দুজন! কি অদ্ভুত!

লেকের জলে বৃষ্টির খেলা দেখছিলো শ্রবণা। দেখতে দেখতে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠছিলো। শীতুল পাশে এসে দাঁড়িয়ে বললো, 'বৃষ্টি ভালোবাসেন?'
- 'খুউউউব। আপনি?'
- 'আমার কালবৈশাখী ভালো লাগে।'

শ্রবণা অবাক হয়ে বললো, 'কালবৈশাখী! এই প্রথম শুনলাম কারো এটা ভালোলাগে।'
- 'লাগতেই পারে। প্রত্যেকের ভালোলাগার জায়গা আলাদা। আপনি তো বৃষ্টিবিলাসী। যান, বৃষ্টিতে ভিজুন।'
- 'আপনি ভিজবেন?'
- 'আমি তো বৈশাখ বিলাস। আমি কালবৈশাখীতে ভিজবো।'

প্রিয় অসুখTempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang